আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
64 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (16 points)
আমি বিকাশে এজেন্ট ব্যাবসা করি। বিকাশ কোম্পানি আমাকে প্রত্যেকটা ট্রানজেকশনের জন্য হাজারে চার টাকা করে কমিশন দেই। আর কোম্পানি সার্ভিস চার্জ হিসেবে কাস্টমার থেকে এক হাজারে প্রায় ১৮ টাকা ৯০ পয়সা নেই। আমাদের এজেন্টদেরকে দেয় ৪ টাকা। বাকিটা কোম্পানি নিয়ে নেই।

এখন বিষয় হলো আমাদের মাধ্যমে যারা বিদেশে থেকে বিকাশের ব্যাবসা করে তাদের থেকে আমরা যদি চুক্তির ভিত্তিতে নগদ অথবা বাকিতে যদি এক্সট্রা টাকা নেই এটা কি জায়েজ নাকি হারাম হবে।

বিস্তারিত হচ্ছে, উদাহরণ স্বরূপ আমার বন্ধু প্রবাস থেকে বিকাশে ব্যবসা করে আমার মাধ্যমে। তো আমার বন্ধু প্রতিমাসে আনুমানিক ৫ লাখ টাকা লেনদেন করে প্রতিমাসে। তো সে আমাকে পাঁচ লাখ টাকা এডভান্সই পেমেন্ট করে দিয়েছে। পরবর্তীতে সে প্রবাসের কাস্টমারের মাধ্যমে ভেঙে ভেঙ আমার মাধ্যমে পরিপূর্ণ পাঁচ লাখ টাকা লেনদেন করে। এখন আমি বিকাশে এজেন্ট হিসেবে এই পাঁচ লাখ টাকা লেনদেন করার কারণে বিকাশ কোম্পানি আমাকে প্রতি হাজারে চার টাকা কমিশন করে দিতেছে। আমি তো কমিশন পাচ্ছি ই। এছাড়াও আমি যদি তার সাথে চুক্তি করে প্রতি লাখে এক হাজার টাকা নেই। যেহেতু তার কোন দোকান নেই সে শুধু নাম্বার দেয় আর টাকার পরিমাণ বলে বাকি আমি টাকা পাঠায়। এখন চুক্তির ভিত্তিতে প্রতি লাখে এক হাজার টাকা নেওয়া কি আমার জন্য হারাম হবে।

দ্বিতীয় আরেকটা বিষয় হচ্ছে, কথার কথা আমার প্রবাস বন্ধুর কাছে পাঁচ লাখ টাকা পুজি নেই। সে বাকিতে একমাসে আমার মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকা লেনদেন করে। এক মাস পরে সে কাস্টমারের সবগুলো টাকা একসাথ করে আমাকে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে দিবে। এখন যদি আমি বাকির কারণে তার সাথে চুক্তির ভিত্তিতে ২০০০ টাকা নেই এটা কি হারাম হবে বা সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে? আমি তো কোম্পানি থেকে লেনদেনের কারণে প্রতি হাজারে চার টাকা কমিশন পাচ্ছি ই। এছাড়াও যেহেতু আমার দোকান ভাড়া ইত্যাদি আছে। সেহেতু তার সাথে চুক্তি করে প্রতি লাখে নগদের ক্ষেত্রে এক হাজার এবং বাকির ক্ষেত্রে বাড়িয়ে দুই হাজার নেওয়া এটা কি শরীয়ত সম্মত হবে?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم


মহান আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেনঃ-

ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ

তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা(২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم 
  " ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না।(তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)

https://ifatwa.info/86133/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 

ব্যাংকের টেলিগ্রাফিক ট্রান্সফার (টিটি) এবং ডাক বিভাগের মানি অর্ডারের সহজ বিকল্প হিসেবে বর্তমান মোবাইল ব্যাংকিং সেন্ড মানি ও ক্যাশ আউটের কাজ করে থাকে। ফিকহে ইসলামীর দৃষ্টিতে এটি ‘আলইজারাহ’-এর অন্তর্ভুক্ত। এক্ষেত্রে টাকা জমা/উত্তোলনকারী হচ্ছে শ্রম/সেবা গ্রহীতা বা ‘মুসতাজির’।আর এজেন্ট হচ্ছে শ্রম/সেবাদাতা যাকে বলা হয় ‘আজীর’ (বা মূল‘আজীরে’র প্রতিনিধি)।
এক সময়ে ডাক বিভাগের মানি অর্ডারকেও তখনকার উলামায়ে কেরাম এভাবে বিশ্লেষণ করেছিলেন। ‘আলইজারা’এর মৌলিক শর্তগুলো পাওয়া যাওয়ায় বিকাশ ব্যবসা জায়েয বলা যায়। তবে বিকাশ ব্যবসায়ী বা এজেন্টের জন্য কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখা জরুরী।

১. পার্সোনাল একাউন্টের মাধ্যমে ব্যবসা করা যাবেনা, কেননা এটি আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ।
২. সেন্ড মানির সময় গ্রাহক থেকে কোন চার্জ নেয়া বা ক্যাশ আউটের ক্ষেত্রে নির্ধারিত হারের চেয়েও বেশি রাখা যেমন হাজারে ১৮.৫০ টাকার জায়গায় ২০/- টাকা বা তার চেয়ে বেশি রাখা কোনোক্রমেই জায়েয হবে না। কেননা এখানে এজেন্ট হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানির নিযুক্ত শ্রম/সেবাদাতা প্রতিনিধি (উকীল)।
কোম্পানি কর্তৃক নির্ধারিত চার্জের বেশি নেওয়ার অধিকার তার নেই।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/36025

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
যেহেতু আপনি বিকাশের নিয়মতান্ত্রিক একজন এজেন্ট। কোম্পানির পক্ষ থেকে আপনি আপনার নির্দিষ্ট কমিশনও পাচ্ছেন।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাদের মাধ্যমে যারা বিদেশে থেকে বিকাশের ব্যাবসা করে তাদের থেকে আপনারা যদি চুক্তির ভিত্তিতে নগদ অথবা বাকিতে যদি এক্সট্রা টাকা নেন,তাহলে এটা জায়েজ হবেনা। 
এই অতিরিক্ত টাকা গ্রহন হারাম হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...