আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
48 views
in সালাত(Prayer) by (38 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ,
আমাদের মসজিদে অনেক সময় ইমাম সাহেব অনুপস্থিত থাকেন। তার অনুপস্থিতিতে অধিকাংশ সময় আমিই নামায পড়িয়ে থাকি। আল্লাহর রহমতে আমি যতদূর জানি আমার লাহনে জলির কোন সমস্যা নেই (আল্লাহু 'আলাম), তাজবিদ ও মাদ্দ মোটামুটি ঠিক আছে (ইমাম সাহেবের ভাষ্য অনুযায়ী)। মাঝে মাঝে আমার মসজিদে যেতে খানিকটা দেরি হলে এবং ইমাম সাহেব না থাকলে উপস্থিত মুসল্লিদের মধ্য থেকে একজন নামাযের ইমামতি করেন। তাদের তাজবিদ,গুন্নাহ এবং মাদের সমস্যা রয়েছে। এমতাবস্থায় আজকে আসরের সালাতে আমি শেষ রাকাত পাই। অপশন ছিলো হয় একা নামায পড়া, না হয় ইমামের ইক্তিদা করা। আমি জামাত ত্বরক না করে ইমামের ইক্তিদা করি। যেহেতু আমাকে ১ম দুই রাকাতের সুরা মিলানো সহ তিন রাকাত নিজে নিজে তেলাওয়াত করতে হয়েছে এজন্য পরবর্তীতে আমি আর সালাত দোহরাই নি। উল্লেখ্য এরকম অবস্থায় পরলে আমি অধিকাংশ সময় জামাতে শরীক হয়ে পরে নিজে নিজে সালাত আদায় করে নেই।
প্রশ্ন হচ্ছে, আমাকে কি সালাত দোহরাতে হবে নাকি আমার নামায আদায় হয়ে গেছে?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই। তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1126 তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।

সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4350


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তাজবীদের সমস্যার কারণে নামায ফাসিদ হবে না।হ্যা, কোথাও কেউ একজন ইমাম হয়ে নামায পড়ালে, এবং উক্ত ইমামের লাহনে জলী হলে তথা এমন ভাবে তিলাওয়াত করলে যে, অর্থ পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে, এবং সেখানে এর চেয়ে ভালো কারো তিলাওয়াত জানা না থাকলে,তখন সবার নামায হয়ে যাবে। তবে যদি সেখানে এমন কেউ থাকেন, যিনি ইমামের চেয়ে ভালো তিলাওয়াত করতে পারেন, তাহলে তখন শুধুমাত্র ঐ ব্যক্তির নামায হবে না। বাদবাকী অন্যন্য মুসল্লিদের নামায হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 3,823 views
0 votes
1 answer 170 views
...