আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
52 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমি আমার কর্মসূত্রে পরিচিত এক ভাই যিনি আমার কর্ম এলাকার বাহিরে থাকেন তার থেকে হাদিয়া স্বরুপ কিছু টাকা গ্রহণ করি। ঘটনাক্রম টা এই রকমঃ

আমার স্ত্রীর অসুস্থতার জনিত কারণে আমার কর্ম এলাকা এবং নিজ এলাকার বাহিরে গিয়ে ডাক্তার দেখাতে যাই। ওই ভদ্রলোকের সাথে ওই এলাকায় যোগাযোগ হওয়ায়, তিনি আমাকে হাদিয়া স্বরুপ কিছু টাকা দেন। পরবর্তীতে আমি ফেরত দিতে চাইলে তিনি নিতে অস্বীকৃতি জানান, বলেন এই টাকা আপনার জন্য দিয়েছি, আপনি ইচ্ছে মত খরচ করতে পারবেন। আমি ওনাকে বললাম রাসুল (সঃ) একটি হাদিসের কথা যেটা মূলত বায়তুল মাল সংগ্রহের সময় অতিরিক্ত নেয়ার কথা ছিল। আমার জন্যও এই টাকা নেয়া জায়েজ হবে না। যেহেতু আপনি কর্মসূত্রে আমার পরিচিত। তিনি বললেন হাদিয়া দেয়া নেয়া যায়। আপনি আমাকে কিছু হাদিয়া পাঠিয়ে দিয়েন। আমি কিছু হাদিয়া পাঠাবো, আপনি কিছু পাঠাবেন এভাবে হলে শরীয়া সম্মত হবে।

এই মহূর্তে আমার করণীয় কি হবে, আমি কি ওনাকে হাদিয়া স্বরুপ কিছু টাকা বা জিনিসপত্র পাঠাবো নাকি ওনার পুরো টাকাটা ফেরত দিব?

ধন্যবাদ।

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হমায়দ সাঈদী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। 
عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ، قَالَ اسْتَعْمَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً عَلَى صَدَقَاتِ بَنِي سُلَيْمٍ يُدْعَى ابْنَ اللُّتَبِيَّةِ، فَلَمَّا جَاءَ حَاسَبَهُ قَالَ هَذَا مَالُكُمْ وَهَذَا هَدِيَّةٌ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَهَلاَّ جَلَسْتَ فِي بَيْتِ أَبِيكَ وَأُمِّكَ، حَتَّى تَأْتِيَكَ هَدِيَّتُكَ إِنْ كُنْتَ صَادِقًا ". ثُمَّ خَطَبَنَا فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ " أَمَّا بَعْدُ، فَإِنِّي أَسْتَعْمِلُ الرَّجُلَ مِنْكُمْ عَلَى الْعَمَلِ مِمَّا وَلاَّنِي اللَّهُ، فَيَأْتِي فَيَقُولُ هَذَا مَالُكُمْ وَهَذَا هَدِيَّةٌ أُهْدِيَتْ لِي. أَفَلاَ جَلَسَ فِي بَيْتِ أَبِيهِ وَأُمِّهِ حَتَّى تَأْتِيَهُ هَدِيَّتُهُ، وَاللَّهِ لاَ يَأْخُذُ أَحَدٌ مِنْكُمْ شَيْئًا بِغَيْرِ حَقِّهِ، إِلاَّ لَقِيَ اللَّهَ يَحْمِلُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، فَلأَعْرِفَنَّ أَحَدًا مِنْكُمْ لَقِيَ اللَّهَ يَحْمِلُ بَعِيرًا لَهُ رُغَاءٌ، أَوْ بَقَرَةً لَهَا خُوَارٌ، أَوْ شَاةً تَيْعَرُ ". ثُمَّ رَفَعَ يَدَهُ حَتَّى رُئِيَ بَيَاضُ إِبْطِهِ يَقُولُ " اللَّهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ ". بَصْرَ عَيْنِي وَسَمْعَ أُذُنِي
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লুতাবিয়্যা নামে এক ব্যাক্তিকে বণী সুলায়ম গোত্রের যাকাত আদায়কারী নিয়োগ করলেন। যখন সে ফিরে এলো তখন তিনি তার কাছ থেকে হিসাব-নিকাশ গ্রহণ করলেন। সে বলল, এগুলো আপনাদের মাল, আর এগুলো (আমাকে দেয়া) উপঢৌকন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যদি তুমি সত্যবাদী হয়ে থাক তাহলে তোমার মা-বাবার ঘরে বসে থাকলে না কেন? সেখানেই তোমার কাছে উপঢৌকন এসে যেত। এরপর তিনি আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করার পর তিনি বললেনঃ আমি তোমাদের কাউকে এমন কোন কাজে নিয়োগ করি, যার তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে আল্লাহ্ আমাকে মনোনীত করেছেন। কিন্তু সে কাজ সম্পাদন করে এসে বলে, এ হল তোমাদের মাল। আর এ হল আমাকে দেয়া উপঢৌকন। তাহলে সে কোন তার মা-বাবার ঘরেই বসে রইল না, সেখানে এমনিতেই তার কাছে তার উপঢৌকন এসে যেত?
আল্লাহর কসম! তোমরা যে কেউ অবৈধভাবে কোন কিছু গ্রহণ করবে, সে কিয়ামতের দিন তা বয়ে নিয়ে আল্লাহর সামনে হাযির হবে। আমি তোমাদের কাউকে ভালভাবেই চিনব যে, সে আল্লাহর কাছে হাজির হবে উট বহন করে, আর উট আওয়াজ দিতে থাকবে। অথবা গাভী বহন করে, আর সেটা ডাকতে থাকবে। অথবা বকরি বহন করে, আর সেটা ডাকতে থাকবে। এরপর তিনি আপন হাতে দু’টি এতদূরে উত্তোলন করলেন যে, তাঁর বগলের শুভ্রতা দেখা যাচ্ছিল। তিনি বললেন, হে আল্লাহ্! আমি কি পৌঁছে দিয়েছি? আমার চক্ষুযুগল সে অবস্থা অবলোকন করেছে এবং আমার কান শুনেছে।(সহীহ বোখারী-৬৫০৮)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কর্মক্ষেত্র হাদিয়া গ্রহণ নিষেধ নয়। তবে যখন মূল কাজ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে, এবং ঘুষের সাদৃশ্যতা গ্রহণ করবে, তখনই কর্মক্ষেত্র থেকে হাদিয়া গ্রহণ নাজায়েয হবে। যেমন, বাদী বিবাদীর কাছ থেকে বিচারকের জন্য হাদিয়া গ্রহণ করা, ট্যাক্স উসূলকারীদের জন্য সংশ্লিষ্ট জনগণের কাছ থেকে হাদিয়া গ্রহণ করা, এগুলো নাজায়েয। তবে সাধারণভাবে নাজায়েয না।

সুতরাং প্রশ্নের বিবরণমতে হাদিয়া গ্রহণ করা নাজায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (715,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...