আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
82 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাবার ইনকাম সম্পূর্ণ হারাম। উনি ঘুষ নেন অনেক মিথ্য কথা বলে মানুষের থেকে টাকা নেন। আমি একজন ফার্মাসিস্ট , ফ্রি মিক্সিং থেকে বাঁচার জন্য আমি জব করবো না সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি ইসলাম প্র্যাকটিস শুরু করার পর আমার বাবার আয় না নেয়ার জন্য অনলাইন বিজনেস শুরু করি। আলহামদুলিল্লাহ্ আমার বিজনেস ১ বছরের মাথায় অনেক উন্নীত হয়। রিসেন্টলি আমার বাবা আমার বিজনেসের সব পুঁজি শেষ করে ফেলেছে এখন আমার বিজনেস টোটালি অফ। আমার বিজনেস আবার রান করার জন্য আমি কী ব্যাংক লোন নিতে পারব? উল্লেখ আমার বাবা বাসায় সব টাকা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন আমার বিজনেসে প্রফিট দেখে। অমি উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। আমার বাবার স্বভাবের জন্য কোনো আত্মীয় ধার দিতে রাজি নন। মানুষকে না ঠকিয়ে টাকা নিলে আমার বাবার ইনকাম টোটালি অফ হয়ে যাবে। উনি প্রচুর টাকা পর নারীদের উপর নষ্ট করেন। আমি কী ব্যাংক লোন নিয়ে আমার বিজনেস আবার শুরু করতে পারবো?

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বিশিষ্ট হানাফি ফিকহ বিশারদ আল্লামা ইবনে নুজাইম লিখেন
ﻭَﻓِﻲ اﻟْﻘُﻨْﻴَﺔِ ﻭَاﻟْﺒُﻐْﻴَﺔِ: ﻳَﺠُﻮﺯُ ﻟِﻠْﻤُﺤْﺘَﺎﺝِ اﻻِﺳْﺘِﻘْﺮَاﺽُ ﺑِﺎﻟﺮِّﺑْﺢِ (اﻧْﺘَﻬَﻰ)
নিঃস্ব মুখাপেক্ষী মানুষের জন্য সুদের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণ জায়েয।
আল-আশবাহ ওয়ান-নাযায়ের-১/৭৯;
বাহরুর রায়েক-৬/১৩৭;

সুদের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ হারাম।তবে প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে প্রয়োজন পর্যন্ত সিদ্ধ/বৈধ করে দেয়।
যদি আপনার অন্য কোনো উপায় না থাকে,অর্থাৎ যদি ব্যবসা শুরু না করেন, তাহলে সাধারণ জীবিকানির্বাহ আপনাদের জন্য অত্যান্ত কষ্টকর হবে। এবং শতচেষ্টার পরও কারো কাছে ধার না পাওয়া যায়,তাহলে বিলাশীতা পরিহার করে স্বাভাবিক জীবন পরিচালনার উপযোগী করে বাড়ী বানানোর জন্য ইস্তেগফারের সাথে লোন নেয়া জায়েয হবে।

বিঃদ্র:
এ বিধান শুধুমাত্র আপনি বা আপনার মত পরিস্থিতির সম্মুখীন ব্যক্তিদের জন্যে।সবার বেলায় তা প্রযোজ্য হবে না।(জদীদ ফেকহী মাসাঈল ৪/৫৫)

তবে আমাদেরকে স্বরণ রাখতে হবে যে,যেহেতু শরীয়ত প্রয়োজন পর্যন্ত অনুমতি দিয়েছে,বিধায় রুজিরোজগারের কোনো উপায় না থাকলে প্রয়োজন পর্যন্ত ই সুদের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণ জায়েয হবে।
সুতরাং কাউকে ঋণ দিয়ে সুদ গ্রহণ করা জরুরতের আওতাভুক্ত নয়। কেননা এক্ষেত্রে তার কাছে কিছু টাকা আছে, অন্য কিছু না থাকলেও অন্ততপক্ষে মূলধন তো অবশিষ্ট রয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...