আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
95 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ,,

উস্তাদ প্রথমেই আমি বলে রাখি আমি একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত একজন রুগী। সেদিন হঠাৎ করে তালাকের মজলিসের ব্যাপারটা আমার চোখে বাঁধে। সেই থেকেই শুরু হয়ে গেছে মনের অস্থিরতা। কিছু জিজ্ঞাসা করার মতনও সাহস আমার হচ্ছে না। যে ফায়সালাই আসুক মেনে নিবো ইনশাআল্লাহ।

উস্তাদ এটা অনেক আগের ঘটনা।আমি এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম কিন্তু আপনারা ফাতোয়া দিয়েছেন তালাক হয়নি। আমিও সেই ভরসাতেই নিশ্চিন্তে ছিলাম।
কিন্তু সেদিন একটা মাসআলা জানতে পারলাম। যে তালাকের মজলিসে যেকোনো কেনায়া বাক্যের মাধ্যমে তালাক কার্যকর হবে।
পয়েন্ট ১.স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে, তোকে আবার মুখে স্পষ্ট কইরা তিন তালাক বা তালাকের কথা বলা লাগে বা তালাক দিলে তোরে আবার মুখে স্পষ্ট কইরা বলা লাগে, এভাবে কথার পরিপ্রক্ষিতে যদি তালাক শব্দ ব্যবহার করে তাহলে কি তালাক পতিত হয়?
এই প্রশ্নটা আমি অনেক আগে করছিলাম তখন উত্তর দিয়েছেন তালাক হয়নি। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে উক্ত আলোচনায় কি তালাকের মজলিস প্রমানিত হয়েছে? কারন তার আগে কিংবা পরে তো স্বামী কেনায়া বাক্য; ব্যবহার করেছে যদিও তখন স্ত্রী কোনো কথাই বলেনি। চুপ করে ছিলো।
পয়েন্ট ২* আজ সকালে আমার সাথে আমার স্বামীর অনেক ঝগড়াঝাঁটি হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে উনি আমাকে কয়েকবার বলে, তালাক দিমু ক? অর্থাৎ প্রশ্নের মাধ্যমে জিজ্ঞেস করে যে ,তোরে কি তালাক দিমু ক ? এই কথাটা অনেকবার বলে । তারপর আবার বলে তুই আমারে তালাক দিয়া চইলা যা।

উনি বাসা দিয়ে চলে যান পরে আবার আসেন। তখন উনি মনে মনে উপলদ্ধি করেন যে উপরোক্ত কথার মাধ্যমে আমাদের ভিতরে তালাক হয়ে গিয়েছে।( তাই উনি বলেন যে,"" আমাদের ভেতরে তালাক হয়ে গিয়েছে"""। ) Important question.

এখন এই কথার মাধ্যমে কি তালাকের মজলিস প্রমানিত হয়েছে? কারন এই মজলিসে তো আমার স্বামী কেনায়া বাক্য ব্যবহার করেছে । তখনও স্ত্রী চুপ ছিলো । তালাক চাওয়া বা অন্য কোন ধরনের কথা কিছুই বলেনি। বরং স্বামীকে ভালোবাসার মাধ্যমে থামানোর চেষ্টা করে যাচ্ছিলো। এখন কি তালাক পতিত হয়েছে?

পয়েন্ট ৩* আর এক দিন উনি আমার উপরে প্রচন্ড রাগ হন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন এমনকি গায়েও হাত তুলে। তখন আমার মা আর শাশুড়িও ছিলেন। এমনকি তখন নানান রকমের কেনায়া বাক্যও বলতে থাকেন। তখন তার কোনো হুঁশই ছিলো না । অনেক রাগারাগী করে চেঁচামেচি করে। পরে এক সময় বলে , "" তোরে কি মুখ দিয়ে তালাক দিয়ে দিমু ক? "" এই কথাটা দুইবার বলে যতটুকু মনে পড়ে আরকি । তাইলে বল আমি তোরে মুখে তালাক দিয়ে দেই। এই কথাটা বলায় আমার শাশুড়ি তাকে ধমক দেয় এবং বলে এই কথা আর মুখে না আনতে। এর পরেও যতটুকু মনে পরে দুই একটা কেনায়া বাক্য ব্যবহার করছে ।
পরদিন আমি তাকে শান্ত হয়ে রাগ ভাঙাতে চাই। তখনো সে নানান রকম কেনায়া বাক্য বলে এবং সে জানায় যে কালকে যেসমস্ত কথা হয়েছে তাতে আর সম্পর্ক নাই । ( এটা সে তার ভাবনা থেকে বলেছে , মনে করেছে যে উক্ত কথায় সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছে ) ।
*উপরোক্ত কথায় কি আমাদের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে?
* উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে কি তালাকের মজলিস প্রমানিত হয়? তাহলে যেসমস্ত কেনায়া বাক্য ব্যবহার করেছে তার মাধ্যমে কি তালাক পতিত হয়ে যাবে ?

আল্লাহ যেনো ভালো কোনো ফায়সালাই দেন। অলরেডি হার্টের ব্যথা শুরু হয়ে গেছে ❤️

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন।

https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
উস্তাদ ইনশাআল্লাহ কোর্স করবো।
তবে এটুকু উত্তর দিন যে যেনার গুনাহ হবে না তো ??

by (715,680 points)
কোর্স করলে সবকিছুই জেনে যাবেন। ইনশাআল্লাহ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...