আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
38 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (102 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকা-তুহ।

শুক্রবারের আযানের পর কেনাবেচা হারাম। কিছু উলামা বলেছেন লেনদেন ও হারাম।কিছু বলেছেন লেনদেন(উপার্জিত অর্থ) হারাম নয় বরং মাকরুহে তানযিহি এবং লেনদেনের কাজ টা হারাম। যাদের উপর জুমা আবশ্যক নয় তাদের উপর বিধান প্রযোয্য নয়।

আমার প্রশ্ন হল,

১, জরুরি ক্ষেত্রে(মেডিসিন/এম্বুলেন্স) এসব ক্ষেত্রে তখন কেনাবেচা করলে সেই লেনদেন ও কি হারাম হবে?

২, যদি সফরে থাকি আমার উপর জুমা আবশ্যক না তবে সফরের যাত্রাবিরতিতে কোনো দোকান হতে কিছু কিনলে দোকানদার ত সফরে নেই তাহলে সেটাও কি হারাম হবে?

৩, ফুড পান্ডার ডেলিভারি অথবা কুরিয়ার ডেলিভারিবয় যদি জুমার নামাজের সময় আসে সেক্ষেত্রে?

৪, অনলাইন এ ওয়েবসাইটে কেনাবেচার ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাস্টমার যারা আমার ওয়েবসাইট থেকে পন্য কিনবে তারা একেকজন একেক টাইমজোনে বসবাস করে তাই একেকজনের জুম্মা একেকসময়,এবং ২৪ ঘন্টাতেই বিশ্বের কোনোনা কোনো প্রান্তে জুম্মার সময় হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে সেই অঞ্চলের ক্রেতা যার এখন জুমার টাইম সে যদি আমার থেকে কিনে যদিও আমার তখন জুমার টাইম না।অথবা বিপরীতক্রমে আমার জখন জুমার টাইম তার তখন না সেক্ষেত্রে?

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/5853/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
কুরআন কারীমের মধ্যে জুমআর আযানের পর ক্রয় বিক্রয় করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে।
,
এই জন্য জুমআর প্রথম আযানের পর ক্রয় বিক্রয় করা নাজায়েজ । 
(আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ৬/২১)

জুমার আযানের পর কেনা-বেচা করতে কুরআন মাজীদে নিষেধ করা হয়েছে। কেহ যদি এই সময়ে ক্রয় বিক্রয় করে,তাহলে সেই  হুকুমের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়। 

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اِذَا نُوْدِیَ لِلصَّلٰوةِ مِنْ یَّوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا اِلٰی ذِكْرِ اللّٰهِ وَ ذَرُوا الْبَیْعَ  ذٰلِكُمْ خَیْرٌ لَّكُمْ اِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ.
হে মুমিনগণ!  যখন জুমার দিনে (জুমার) নামাযের জন্য আযান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর যিকিরের দিকে ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ কর। এটা তোমাদের জন্য অধিক উত্তম, যদি তোমরা উপলব্ধি কর। [সূরা জুমুআ (৬২) : ০৯]

যেহেতু জুমআর নামাজের আযান ২ টা।
তাই এই নিষেধাজ্ঞা কখন থেকে শুরু,এই ব্যাপারে ফুকাহায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। 
      
কেহ কেহ বলেন যে ২য় আযানের পর ক্রয় বিক্রয় নিষিদ্ধ।

یکرہ البیع و الشراء یوم الجمعۃ إذا صعد الإمام المنبر و أذن الموذنون بین یدیہ‘‘ 
بدائع الصنائع : ۱/۶۰۵۔
অনুবাদঃ যখন ইমাম মেম্বারে উঠবে,আর মুয়াজ্জিন আযান দিবে, তখন থেকে ক্রয় বিক্রয় মাকরুহ। 
,
তবে রাজেহ কওল নির্ভরযোগ্য মত হলো প্রথম আযানের পরেই ক্রয় বিক্রয় করা মাকরুহে তাহরিমি এবং গুনাহ।
(কিতাবুল ফাতওয়া ৩/৩৬)

ووجب سعی إلیہا و ترک البیع ۔۔۔ بالأذان الأول فی الأصح‘‘
 الدرالمختار مع الرد : ۱/۵۵۲۔
অনুবাদঃ প্রথম আযানের সাথে সাথেই ক্রয় বিক্রয় ছেড়ে দিয়ে মসজিদের দিকে আসা,সায়ী করা ওয়াজিব।
 
’’و افاء فی البحر صحۃ اطلاق الحرمۃ علی المکروہ تحریما ‘
 الدرالمختار علی ہامش الرد : ۱/۵۵۲۔
যার সারমর্ম হলো  এই সময়ে ক্রয় বিক্রয় করা মাকরুহে তাহরিমি।      

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
সেই লেনদেনও নাজায়েজ হবে।
তবে উপার্জিত অর্থ হালাল থাকবে।

(০২)
আপনি যদি এক্ষেত্রে ৭৮ কিলোমিটার দূরত্বের সফরে থাকেন,সেক্ষেত্রে আপনি ক্রয় করলে তাহা হারাম হবেনা।
তবে দোকানদার মুসাফির না হলে তার জন্য বিক্রয় নাজায়েজ হবে।
সুতরাং এক্ষেত্রে তার গুনাহ হবে।
আপনার গুনাহ হবেনা।

(০৩)
এক্ষেত্রে তার জন্য অপেক্ষা করা যাবেনা।
জুম'আর মসজিদের দিকেই যেতে হবে।

(০৪)
এক্ষেত্রে যার এলাকায় জুম'আর আযান হয়েছে, শুধু তার জন্য ক্রয় বিক্রয় নাজায়েজ হবে।
অপর ব্যাক্তির জন্য নাজায়েজ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...