আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম।মানসিকভাবে মারাত্মক দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি,দয়া করে উত্তর দিয়ে সাহায্য করবেন।কেনায়া তালাক সম্পর্কে আগে জানতাম না।এখন জানার পরে বিভিন্ন সময়ে আমার স্বামীর সাথে এধরণের কথাবার্তার বিষয় মনে পড়ছে আর বুঝতে পারছিনা এগুলোর দ্বারা তালাক পতিত হয়েছে কীনা।যেমন:

১)বিয়ের দিন বরপক্ষের লোকের সাথে ঝগড়া হয়। কিছুক্ষণ পর আমার মা আমাকে জিজ্ঞেস করে,"আমি একা চলতে পারব কীনা,নিজে ইনকাম করার মত সামর্থ্য যেহেতু আমার আছে"।আমি আবেগের বশে বলি"হ্যা পারব",আম্মু তালাক দেয়ার উদ্দ্যেশ্যে এই কথা বলছে কীনা সেটা আমি জানিনা,কোনকিছু না ভেবে আমি হ্যা বলছি।তখন আমার স্বামী অন্য ঘরে ছিল,বরপক্ষের সবাই চলে গিয়েছিল,আমাদের বিদায় কিছুদিন পরে হয়েছিল।সে এই কথপোকথন এর বিষয়ে কিছুই জানেনা।আমার এই কথার দ্বারা কী তালাক পতিত হয়েছে?

২)আমার স্বামীকে নামায পড়ার কথা বা কোন ধর্মীয় কাজ করার কথা বলার সাথে সাথে সে আমাকে বলেছিল,"আমিত খারাপ, হুজুর বিয়ে কর তাহলে,করবা?আমি কোন উত্তর দিতাম না।অনেকবার শুনতে শুনতে আমি সম্ভবত একদিন বলেছিলাম "হ্যা করব,তুমি খোঁজ "। এটা আমি নিয়ত থেকে বলিনি,সেও আমাকে ভয় দেখানোর জন্য এরকম বলত আমি সেটা বুঝতাম এইজন্যই আমিও তাকে ভয় দেখানোর জন্য উত্তরে এরকম বলেছিলাম।সে আমার ব্যাপারে অনেক বেশি পজেসিভ,কোন পুরুষের সাথে অপ্রয়োজনীয় কথা বলাও সে পছন্দ করেনা এবং সে আমাকে অনেক ভালবাসে এটা আমি বুঝি।এতে কী তালাক পতিত হয়েছে?

৩) আমি বাবার বাড়িতে ছিলাম।আমার খালা,মামার প্রসংগ নিয়ে আমার স্বামীর সাথে ঝগড়া লাগে।মোবাইলে কথা-কাটাকাটি হচ্ছিল,বাড়িতে আমার আম্মু,আব্বু,ভাইরা ছিল ঝগড়ার সময়,আমি ফোনে তার সাথে কথা বলছিলাম।আমার স্বামী সম্ভবত বলেছিল খালা,মামার সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করতে,তখন আমার আম্মু আমাকে এসে বলে,ওদের সাথে সম্পর্ক না থাকলে তার সাথেও আমার কোন সম্পর্ক নাই।এই কথা শুনে আমি আমার স্বামীকে বলি,"আমার মায়ের সাথে যদি সম্পর্ক না থাকে তাহলে আমি তোমার সাথে থাকব না" সে বলে,"আমিত তোমার মা এর সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করতে বলিনাই,তাকে নিয়ে আমার কোন সমস্যা নাই"।কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে সে বলে,"তুমি যদি না থাকতে চাও তাহলে তুমি কাগজপত্র রেডি কর,তোমার বাবা মা কে বল "।(সে এটা নিয়ত করে বলেনি আর তালাক শব্দ উচ্চারণ করেনি) আমি বলি,"আমি কেন করব,তুমি কর,তুমি তোমার বাবা মা কে বল"(এটা আমি নিয়ত করে বলিনি) সে বলে,"আমার তো তোমাকে নিয়ে কোন সমস্যা নাই,আমিত তোমাকে ছাড়ব না"।অইদিন বা এরপরে এই জাতীয় আর কোন কথা হয়নি,আমার খালা, মামা বা আম্মু কারো সাথেই সম্পর্ক ত্যাগ করতে বলেনি এবং সবার সাথেই এখন খুব ভাল সম্পর্ক।ভুল বুঝাবুঝি সব সমাধান হয়ে গেছে।এতে কী তালাক পতিত হয়েছে?

কেনায়া তালাকের ব্যাপারে জানার পরে আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম এইসমস্ত কথা সে নিয়ত করে বলেছিল কীনা।সে আল্লাহর কসম করে বলেছে,এ পর্যন্ত কোনোদিন সে তালাকের নিয়তে এই জাতীয় কোন কথা বলেনি।আমি বারবার তাকে এগুলো নিয়ে প্রশ্ন করায় সে খুব বিরক্ত হচ্ছে,আবার যতটুকু পারে সাহায্যও করছে কিন্তু এটা সে পছন্দ করছেনা সেটা আমিও বুঝতে পারছি কিন্তু আমি নিজে মারাত্মক দুশ্চিন্তায় আছি।কোন কাজে মনোযোগ দিতে পারছিনা। সারাক্ষণ মনে হচ্ছে বিয়েটা ঠিক আছে কীনা।সামনে আমার গুরুত্বপূর্ণ একটা পরীক্ষা,পড়াশোনাও করতে পারছিনা।মোবাইলে সারাক্ষণ এগুলা সার্চ করতে থাকি।খুব বিপদগ্রস্ত অবস্থায় আছি।দয়া করে সাহায্য করুন।

1 Answer

0 votes
by (715,640 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন।

https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...