আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in পবিত্রতা (Purity) by (6 points)
আমি ও আমার স্ত্রী চাই আমাদের বাচ্চাটা কুরআনকে ছোট থেকেই যেনো ভালোবাসে,সম্মান করে।আমরা তিলাওয়াত করতে গেলে সে বারবার ধরতে চায়।অনেক সময় না পড়লেও সে ধরতে চায়,পড়তে চায়।এখন আমরা বুঝতে পারতেছি না - তাকে কি ধরতে দেওয়া ঠিক হচ্ছে কি না?

এ বিষয়ে বিস্তারিত দিক নির্দেশনা চাচ্ছিলাম।

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)

 

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

জবাব,

আল্লাহর কালাম পবিত্র কোরআন সর্বাধিক পবিত্র ও সর্বোচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন। তাই কোরআনের পবিত্রতা ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখার জন্য দৈহিক পবিত্রতার শর্তারোপ করা হয়েছে। যেন কোরআন স্পর্শ করার ও তা পাঠ করার ক্ষেত্রে কোনো অসম্মান প্রকাশ না পায়। বিখ্যাত চার মাজহাবের ইমামদের ফতোয়া এটাই। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবিগণও এ ফতোয়া দিয়েছেন।

ইমাম নববি ও ইমাম তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ‘পবিত্র হওয়া ছাড়া কোরআন স্পর্শ করা নিষিদ্ধ এই বিষয়ে মতামত দিয়েছেন হজরত আলী, সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস, সালমান, আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) প্রমুখ সাহাবি। অন্য সাহাবিদের এর বিপরীত কোনো অভিমত নেই। (শরহুল মুহাজ্জাব : ২/৮০; মাজমুউল ফাতাওয়া : ২১/২৬৬)

অনুরূপভাবে এ বিষয়ে রয়েছে একাধিক বিশুদ্ধ হাদিস। আবদুল্লাহ বিন আবু বকর বিন হাযম বলেন, রাসুল (সা.) আমর বিন হাযম এর কাছে এই মর্মে চিঠি লিখেছিলেন যে, পবিত্র হওয়া ছাড়া কোরআন কেউ স্পর্শ করবে না। (মুয়াত্তা মালিক, হাদিস, ৬৮০; কানজুল উম্মাল, হাদিস, ২৮৩০; মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার, হাদিস, ২০৯, আল-মুজামুল কাবির, হাদিস, ১৩২১৭, আল মুজামুস সাগির, হাদিস, ১১৬২, সুনানে দারেমি, হাদিস, ২২৬৬)

আবদুল্লাহ বিন উমর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া কেউ কুরআন স্পর্শ করবে না। (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ : ৫১২)

কোরআন তিলাওয়াত বা স্পর্শ করার ক্ষেত্রে পবিত্রতার বিধান বালেগ এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কোনো অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুর ক্ষেত্রে বিধান আরোপ হয় না। এবং তার কেননা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

رفع القلم عن ثلاثة: عن الصغير حتى يبلغ، وعن النائم حتى يستيقظ، وعن المجنون حتى يفيق

তিন ব্যক্তির উপর থেকে (দায়িত্বের) কলম উঠিয়ে নেয়া  হয়েছে, (১) ঘুমন্ত ব্যক্তি জাগ্রত হওয়া পর্যন্ত (২) শিশু বালেগ হওয়া পর্যন্ত এবং (৩) পাগল বিবেকবুদ্ধি ফিরে পাওয়া পর্যন্ত। (আবু দাউদ, হাদিস, ৪৪০৩ তিরমিজি,  হাদিস, ১৪২৩ নাসাঈ, হাদিস, ৩৪৩২, ইবনে মাজাহ, হাদিস, ২০৪১)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

প্রশ্নে উল্লেখিত নাবালেগ শিশু ওযু ছাড়াই কোরআন ধরলে তার কোন গুনাহ হবে না। কারণ, শিশু বালেগ হওয়ার আগ পর্যন্ত তার ওপর শরীয়তের কোনো বিধান চাপানো যায় না। তবে বড়দের উচিত, শিশুকে ধীরে ধীরে এই শিক্ষা দেয়া যে, কোরআন ওযু ছাড়া ধরা যায় না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...