আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
53 views
in সালাত(Prayer) by (31 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ। সম্মানিত শাইখ নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার অনুরোধ রইলো।
১. ফরয, সুন্নাত,নফল যে কোনো সালাতে শেষ বৈঠকে তাশাহুদ, দরূদ শরীফ, দুয়া  মাছূরা পাঠ করার পর কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত যে কোনো দুয়া করা যাবে?

২.সেক্ষেত্রে সূরা বনি ইসরাইলের ৮০ নং আয়াতে যে দুয়াটা আছে সেটা করতে পারি? (এটা কী দুনিয়াবি দু'আর অন্তর্ভুক্ত হবে)

৩. উপরোল্লিখিত সূরতে একই সালাতে দুয়া মাসূরার পর একত্রে পাঁচ ছয়টি দুয়া (কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত এমন দুয়া)একসাথে করা যাবে? যদি না যায় সর্বনিন্ম কয়টা দুয়া করতে পারি?

জাযাকাল্লাহু খইরন ফিদ দ্বরাইন।

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মোটকথা,
যদি কেউ নামাযে ঐ সমস্ত দু'আ দ্বারা দু'আ করে যা নবীজী সাঃ থেকে নামাযে বর্ণিত,বা কোরআনে কারীমে এসেছে,অথবা হাদীসের কোনো কিতাবে এসেছে,তাহলে উক্ত দু'আ করা বৈধ রয়েছে এবং এমন দু'আর কারণে তার নামায ফাসেদ হবে না। কিন্তু যদি উক্ত দু'আ কোরআন বা হাদীসের কোথাও না আসে।এমতাবস্তায় যদি সে এমন (বাক্যসমূহ দ্বারা) দু'আ করে যা বান্দার কাছে চাওয়া যায়,অসম্ভব নয়, তথা বন্দা সেই হাজত পূর্ণ করার সামর্থ্য রাখে,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত দু'আ করা যাবে না।করলে নামায ফাসেদ হয়ে যাবে। কিন্তু যদি এমন বাক্যাবলী দ্বারা দু'আ করে যা বান্দার কাছে চাওয়া অসম্ভব(যেমন হে আল্লাহ আমার নাতীর হায়াত বাড়িয়ে দাও ইত্যাদি)অর্থীৎ যা বন্দার সামর্থ্যর বাইরে,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত দু'আ (কোরআন হাদীসে বর্ণিত না থাকা সত্বেও) করা যাবে।নামায ফাসিদ হবে না।(ফাতাওয়ায়ে ক্বাযিখান-প্রথম ৬৮)

আরবী ব্যতীত অন্যান্য ভাষায় নামাযে দু'আ করা মাকরুহে তাহরিমী(আহসানুল ফাতাওয়া-৩/৪৩২)
আরো........
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/185

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ফরয নামাযে কুরআন হাদীসে বর্ণিত দু'আই পড়তে হবে। এবং আরবীতে পড়তে হবে। হ্যা, নফল নামাযে নিজ নিজ মাতৃভাষায় দু'আ করার রুখসত কেউ কেউ দিয়ে থাকেন।তবে সর্বাবস্থায় আরবীতে এবং কুরআন হাদীসে বর্ণিত দু'আ পড়াই উত্তম।

(১) ফরয, সুন্নাত,নফল যে কোনো সালাতে শেষ বৈঠকে তাশাহুদ, দরূদ শরীফ, দুয়া  মাছূরা পাঠ করার পর কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত যে কোনো দুয়া করা যাবে। চায় অর্থের মধ্যে দুনিয়া থাকুক বা আখেরাহ। কেননা সরাসরি কুরআন হাদীস থেকে পড়ে নিলে সেটা দুনিয়াবী উখরাবী বিষয়ের উর্ধে চলে যাবে।

(২) সেই হিসেবে সূরা বনি ইসরাইলের ৮০ নং আয়াতে যেই দু'আ বর্ণিত আছে, সেটা আপনি পড়তে পারবেন। কেননা কুরআনে এসেছে।

(৩) কোনো একই সালাতে দু'আ মাসূরার পর একত্রে পাঁচ ছয়টি দু'আ (কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত এমন দুয়া) পড়া যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...