আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
74 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম।

আমার স্বামী এক ভাই এক বোন। শ্বশুরবাড়িতে আমি আমার শ্বাশুড় শ্বাশুড়ি এবং আমার স্বামী থাকি। আমি দীর্ঘ এক বছর ধরে আমার মার বাড়িতে আছি। শ্বশুরবাড়িতে থাকাকালীন সময়ে আমার প্রতিদিনের রুটিন আমার শ্বাশুড়ির অনুযায়ী হতো, প্রতিদিন একই কাজ, যেমন ১০ টার আগে রান্না ঘরের হাঁড়ি পাতিল মাজা যাবে না। দুপুরে গোসলের পর থেকে সব ময়লা হাঁড়ি পাতিল জমিয়ে রাখতে হবে। এছাড়া আমার পোশাক ও শ্বাশুড়ির পছন্দ মতন পড়তে হয়। বিকালে ঘুম টাও উনার অনুমতি নিয়ে যেতে হয়। এরকম সবকিছুতে উনার কথা মতন চলতে হয়, যা অবশ্যই শরীয়তের বাইরে কিছু না। কিন্তু আমার মানসিক ও শারীরিক একটা বিষয় বলেও কিছু আছে, আমার কাছে এই সকল রুটিন মেনে চলা সম্ভব হয়ে উঠে না সবসময়। এখন আমার দুই ছেলেও হয়েছে। এখন তাদের নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে গেলে এভাবে রুটিন মাফিক চলা আরো অসম্ভব। এখন আমার স্বামী একমাত্র ছেলে,আলাদা হওয়ার কথা আমি নিজেও ভাবি না। আর আমার স্বামীর কথা হলো উনার মা যেভাবে বলবেন ঠিক সেইভাবেই আমার চলতে হবে।এইভাবেই থাকতে হবে। এখন আমি কি করব? শরীয়ত এক্ষেত্রে আমাকে কি হুকুম করে? যাতে আমি তাদের হক ও আদায় করতে পারি এবং আমি নিজেও সুকুনে থাকতে পারি,কেননা এটা তো পুরো জীবনের বিষয়। আমাকে ফতোয়া দিয়ে সাহায্য করুন

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
قَوْلُهُ وَبَيْتٍ مُنْفَرِدٍ) أَيْ مَا يُبَاتُ فِيهِ؛ وَهُوَ مَحَلٌّ مُنْفَرِدٌ مُعَيَّنٌ قُهُسْتَانِيٌّ. وَالظَّاهِرُ أَنَّ الْمُرَادَ بِالْمُنْفَرِدِ مَا كَانَ مُخْتَصًّا بِهَا لَيْسَ فِيهِ مَا يُشَارِكُهَا بِهِ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الدَّارِ (قَوْلُهُ لَهُ غَلَقٌ) بِالتَّحْرِيكِ: مَا يُغْلَقُ وَيُفْتَحُ بِالْمِفْتَاحِ قُهُسْتَانِيٌّ.
পৃথক বাসস্থানঃ-মানে যেখানে রাত্রিযাপন করা হয়,তা নির্দিষ্ট এককস্থান হতে হবে। পৃথক বাসস্থান মানে যা শুধুমাত্র তার জন্য নির্দিষ্ট থাকবে এতে স্বামীর পরিবারের অন্যকেউ শরীক থাকবে না, এবং উক্ত বাসস্থানের চাবি শুধুমাত্র স্ত্রীর হাতেই থাকবে। 
قَوْلُهُ زَادَ فِي الِاخْتِيَارِ وَالْعَيْنِيِّ) وَإذَا كَانَ لَهُ غَلَقٌ يَخُصُّهُ وَكَانَ الْخَلَاءُ مُشْتَرَكًا لَيْسَ لَهَا أَنْ تُطَالِبَهُ بِمَسْكَنٍ آخَرَ (
যদি স্বামী তার স্ত্রীর জন্য একটি একক বাসস্থান বরাদ্দ করে এবং স্ত্রীর হাতে চাবিও অর্পণ করে,কিন্তু বাসস্থানের উঠান তার ও অন্যকারো মধ্যে শরিকানা থাকে, তাহলে এক্ষেত্রে স্ত্রীর অভিযোগের কোনো সুযোগ থাকবেনা। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/430

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শাশুড়ীর কথামত উঠাবসা করা যদিও আপনার উপর ওয়াজিব না, তবে সামগ্রিক দিক বিবেচনায় যদি কষ্ট করে চলে যেতে পারেন, তাহলে এতেই আপনার জন্য মঙ্গল হবে। যদি সম্ভব না হয়, তাহলে স্বামীকে বলেন, কাজের লোক রাখতে। সর্বোপরি মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন।আল্লাহ আপনার সহায় হোক।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...