আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
168 views
in সালাত(Prayer) by (5 points)
closed by
a)তাহাজ্জুদ এর আযান তো নবিজি সাঃ এর সময়ে দেওয়া হতো। এটা কি এখনো দেওয়া যাবে হানাফী মাযহাব এ? অন্য কোন মাযহাব এ আযান দেওয়া যায়.. কারণ আমি শুনেছি সৌদিতে আযান দেয়

b)অনেক মহিলারা বাসাতে ঈদের নামায পড়ে।এইটা কি জাযেয হানাফীতে? আর অন্য মাযহাব বা আহলে হাদিস একে কি জায়েয বলে?

c) সফরে তায়াম্মুমের জন্য আলাদা মাটি নিয়ে নেওয়া যাবে?
d) কসর নামায পড়ে ফেলার পরে মুকিম অবস্থায় আসার পরেও ওয়াক্ত থাকলে আবার কি পুরো নামায পড়বো? নাকি আগের কসরই যথেষ্ট।
e) ইমাম কি রুকু বড় করতে পারবে এই নিয়তে যে যাতে আরো কিছু মুক্তাদি (যারা মাত্র মসজিদে ঢুকলো তারা) ঐ রাকাত পেয়ে যায় জামাতের সাথে?
closed

1 Answer

+1 vote
by (675,600 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
তাহাজ্জুদের জন্য আযান রাসুল সাঃ এর যামানায় শুরু হয়েছিলো,পরে এর এটি বাকি থাকেনি,খুলাফায়ে রাশেদিন দের যামানাতেও পাওয়া যায়নি।  
সুতরাং হানাফী মাযহাব মতে তাহাজ্জুদের আযান সুন্নাতের খেলাফ।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ بِلَالًا أَذَّنَ قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ، فَأَمَرَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَرْجِعَ

হযরত ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয় হযরত বেলাল রাঃ একদা ফজরের সময় হবার আগেই আজান দিলেন। তখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে পুনরায় আজান দিতে আদেশ করলেন। [সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং-৫৩২, তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৮৬৪, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৯৫৪]
,
عَنْ بِلَالٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُ: «لَا تُؤَذِّنْ حَتَّى يَسْتَبِينَ لَكَ الْفَجْرُ هَكَذَا» وَمَدَّ يَدَيْهِ عَرْضًا، (سنن ابى داود، رقم الحديث-1171)

হযরত বিলাল রাঃ বলেন রাসুল তাকে আদেশ করেছেন যে ফজর স্পষ্ট হওয়ার আগ পর্যন্ত আযান দিওনা। 

شرح معاني الآثار (1/ 141):
"عن علي بن علي، عن إبراهيم، قال: [ص:142] شيعنا علقمة إلى مكة، فخرج بليل فسمع مؤذنًا يؤذن بليل فقال: «أما هذا فقد خالف سنة أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم، لو كان نائمًا كان خيرًا له فإذا طلع الفجر، أذن». فأخبر علقمة أن التأذين قبل طلوع الفجر، خلاف لسنة أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم".

সারমর্মঃ একজন ব্যাক্তিকে  দেখা গেলো যে রাত্রিবেলা আযান দিচ্ছেন,তখন তিনি বললেন যে এটি ছাহাবায়ে কেরামদের সুন্নাতের খেলাফ।  

فيض الباري على صحيح البخاري (2/ 221):
"ثم إنك قد علمت عن حفصة رضي الله عنها: أنهم كانوا لايؤذنون للصلاة إلا بعد الفجر، وهكذا عن الأسود في حديث عائشة رضي الله عنها، وقد مر آنفًا. وأخرج الطحاوي عن سفيان بن سعيد أنه قال له رجل: «إني أؤذن قبل طلوع الفجر لأكون أول من يقرع باب السماء بالنداء، فقال سفيان: لا حتى ينفجر الفجر». وعن علقمة عنده قال إبراهيم: «شيعنا علقمة إلى مكة، فخرج بليل، فسمع مؤذنًا يؤذن بليل، فقال: أما هذا، فقد خالف سنة أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم لو كان نائمًا كان خيرًا له، فإذا طلع الفجر أذن». وفي «التمهيد»، عن إبراهيم قال: «كانوا إذا أذن المؤذن بليل أتوه، فقالوا له: اتق الله، وأعد أذانك». ومن أراد التفصيل فليراجع الزيلعي"
সারমর্মঃ ইব্রাহীম রহঃ থেকে বর্ণিত,যখন কেহ রাতে আযান দিতো,তখন তিনি  তাকে ডাক দিতেন,এবং বলতেন,তুমি পুনরায় আযান দাও।
আল্লাহকে ভয় করো,,,  


তাহাজ্জুদের আযান সুন্নাতের খেলাফ
জামিয়া বিন নুরি পাকিস্তানের    
144110200150 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য। 
,
তবে অন্যান্য কিছু মাযহাব  মতে এটি দেওয়া যায়,তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই। 
,     
(০২)
মহিলাদের উপর ঈদের নামাজ ওয়াজিব নয়।

জামিয়া বিন নুরি পাকিস্তানের 144109202898 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে তারা বাড়িতেও ঈদের নামাজ পড়বেনা।
,
তবে তারা পুরুষ দের ন্যায় সকালে গোসল,আতর,সুরমা,সাজ সজ্জা করা মুস্তাহাব। 

তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে তাদের উপরেও ঈদের নামাজ আছে। 
তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।
,
সুতরাং সেই ভিত্তিতে তাদের মতানুসারে বাড়িতে ঈদের নামাজ পড়ার জন্য যাহা যাহা শর্ত,সেই শর্ত মেনে তারা বাড়িতে ঈদের নামাজ পড়বে।    

(০৩)
সফরে তায়াম্মুমের জন্য আলাদা মাটি নিয়ে নেওয়া যাবে।
এতে কোনো সমস্যা নেই। 
শরয়ী বিধান অনুযায়ী তার উপর যদি তায়াম্মুমের বিধান আসে,তাহলে সে তা দিয়ে তায়াম্মুম করবে।    
,
(০৪)
আবার উক্ত নামাজ আদায় করতে হবেনা।
উক্ত নামাজ আদায় হয়ে গেছে।
আগের কসরই যথেষ্ট।  

(০৫) 
এক্ষেত্রে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।      
হানাফি মাযহাব মতে এটি মাকরুহ। 

وأما الإمام فلا يزيد في الركوع والسجود على ثلاث تسبيحات؛ لقول النبي صلى الله عليه وسلم: (إِذَا مَا قَامَ أَحَدُكُمْ لِلنَّاسِ فَلْيُخَفِّفِ الصَّلاَةَ؛ فَإِنَّ فِيهِمُ الْكَبِيرَ وَفِيهِمُ الضَّعِيفَ، وَإِذَا قَامَ وَحْدَهُ فَلْيُطِلْ صَلاَتَهُ مَا شَاءَ) رواه مسلم. 

সারমর্মঃ ইমাম রুকু সেজদায় তিন তাসবিহ থেকেই অতিরিক্ত করবেনা,,,  
  
أبو حنيفة لا ينتظره لأن انتظاره تشريك في العبادة فلا يشرع كالرياء.
সারমর্মঃ এক্ষেত্রে মুক্তাদির জন্য অপেক্ষা করা ইবাদতের মধ্যে বান্দাকে শরীক করা হবে।
এটি অনুমোদন যোগ্য নয়,যেমন লোক দেখানো ইবাদত জায়েজ নেই। 

فتح القدیر :
"(قوله: وتطويل الصلاة) أي وكره للإمام تطويلها؛ للحديث: "إذا أمّ أحدكم الناس فليخفف". (البحرالرائق ، 3/406، بیروت)
সারমর্মঃ ইমামের জন্য নামাজ লম্বা করা মাকরুহ,, 
,
ویکرہ تحریماً تطویل الصلوٰۃ علی القوم زاید علی قدر السنۃ فی قراء ۃ واذکار رضی القوم اولا لا طلاق الا مر بالتخفیف) وھومافی الصحیحین اذا صلے احد کم للناس فلیخفف فان فیھم الضعیف والسقیم والکبیر واذا صلے لنفسہ فلیطول ماشاء الخ 
ردالمحتار باب الا مامۃ جلد اول ص ۵۲۷۔ط۔س۔ج۱ص۵۶۴۔ ۱۲ظفیر
সারমর্মঃ ইমামের জন্য সুন্নাত কেরাত,সুন্নাত যিকির থেকে নামাজ কে লম্বা করা মাকরুহে তাহরিমি।  

তবে মুক্তাদিদের জন্য কষ্টকর না হলে শাফেয়ী মাযহাব,এবং ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহঃ এর মাযহাব অনুপাতে মুছল্লিদের জন্য দেড়ি করা জায়েজ আছে। 
ইবনে বায,ইবনে উছাইমিন রহঃ দেরও একই মত।
,
তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন। 
কোনো সমস্যা নেই।         


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 231 views
...