আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
147 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
closed by
ক) সাহাবারা শুরুতে তাহাজ্জুদ পড়তেন শুধু, অন্য নামায ফরয ছিলো না। তাহাজ্জুদ তখন ফর‍য ছিল। কেউ কেউ অর্ধেকের বেশি রাত, কেউ অর্ধেক রাত, কেউ অর্ধেকের কম রাত জেগে থাকতেন। এভাবে অনেকদিন চলে যাওয়ার পরে আর তাদের সাথে আল্লাহর সম্পর্ক অনেক ভালো হয়ে গেল। তারপর 5 ওয়াক্ত নামায ফরয হলো। তো আমার প্রশ্ন হলো, আমাদের তো এভাবে শুরুতে শুধু তাহাজ্জুদ পড়ে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির উপায়টা নেই। কারণ আমাদের 5 ওয়াক্ত নামাযও সময়মত পড়তে হচ্ছে। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটিয়ে তাহাজ্জুদ সাহাবাদের শুরুর যুগের মত ওরকম লম্বা সময় পড়া সম্ভব নয়। আমাদের করণীয় কি? কারণ তাহাজ্জুদের নামাযের মত সম্পর্ক বৃদ্ধির নামায অন্য সময়ে নামায পড়ে সম্ভব নয় মনে হচ্ছে। কারন রাতের বেলা চুপচাপ পরিবেশ, অন্ধকার পরিবেশেই নামায পড়ে বেশি মজা আমার কাছে মনে হয়। এইজন্যই তো সকল সালাফ তাহাজ্জুদ পড়তেন।

খ) i) গাজ্জালী রহ, বায়েজীদ বোস্তামী রহ, অনেকেই বনবাসে থেকে আল্লাহর ধ্যানে ছিলেন। অথচ ইসলামে সংসারত্যাগী বনবাস নাকি জায়েয নাই শুনি অনেক। কখন এইটা একজনে মানুষ করতে পারবে?

ii) বিয়ের আগেই যদি কেউ একা সবার থেকে আলাদা থাকা শুরু করে তো কি সমস্যা? যেমন বাদশার হারুন উর রশীদের ছেলে শুরুতেই চলে গিয়েছিলেন ঘর ছেড়ে, সেখানেই একা একা মারা গিয়েছেন, (এবং এরকম আরো অনেক ঘটনা আছে) তো এইক্ষেত্রে তার ঘরের মানুষের প্রতি হক কিভাবে আদায় হলো? ইসলামে তো ঘরের মানুষের হক আদায় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

iii) ঘরে থেকে কি বনবাসের সুফল পাওয়া সম্ভব? যেমনঃ বায়েজীদ বোস্তামী রহ. বলেছেন, আমি যদি ঘরে আমার অন্ধ মায়ের সেবা করতাম তো বনে থাকার চেয়ে আরো বেশি ফায়দা পাইতাম।

iv) মোরাকাবা, মুহাসাবা, অন্তরের গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য তো পীরের সান্নিধ্যে যাওয়া অনেক জরূরী। তো সেজন্য তো ঘর থেকে বের হওয়া চাই। যেমনঃ একজন মুরিদ ৩৩ বছর ধর তার পীরের সোহবত থেকে তাযকিয়াহ হাসিল করেছেন। তো এই ক্ষেত্রে কিভাবে ঘরের হক আদায় হবে?  সাহাবারা তো এইভাবে সংসারেত্যাগী ছিলেন না। এইটা কখন করা যাবে?

গ) i) পীর আউলিয়া সালাফদের নামের শেষে রাযিয়াল্লাহু আনহু বলা যায় সাহাবাদের মতো? এক জায়গায় দেখলাম এভাবে লেখা। নাকি এইটা সুন্নি বিদাতীরা বলে?

ii) সাধারণ নেককার মানুষদের কি হাফিযাহুল্লাহ, রহমাতুল্লাহ বলা যায়?

ঘ) i) কোরবানীর সময় হুজুররা কাগজে লেখা নামগুলো পড়ে তারপর কোরবানী করে। আমার প্রশ্ন হলো, আল্লাহ তো জানেন কে কে কোরবানি দিচ্ছে, তো নাম এভাবে পড়ার দরকার কি?

ii) আর নামগুলো কাগজে লেখারই বা দরকার কি? আল্লাহ তো জানেন কে কে পশু কিনেছে বা কোরবানি দিবে।

ঙ) অনেকের হাটুতে বা হাতে ব্যথা বা কাটা থাকলে রুকু সিজদাহতে মুখ দিয়ে কষ্টকর আওয়াজ বের হতে পারে। এতেও কি নামায ভাঙবে?
closed

1 Answer

+1 vote
by (696,720 points)
selected by
 
Best answer

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(ক)
আল্লাহর নিটকবর্তী হওয়ার জন্য তাহাজ্জুদের কোনো বিকল্প নাই। তাহাজ্জুদই পড়তে হবে।

(খ)
(১)
বনবাসী বলতে পরিবার পরিজনকে পরিত্যাগ করা,বিয়ে শাদি সমাজকে পরিত্যাগ করা বুঝায়, যার অনুমোদন শরীয়তে নাই। তবে আল্লাহকে পাওয়ার জন্য সাময়িক ক্ষেত্রে ধ্যানধারণায় নিমজ্জিত হওয়া নাজায়েয নয়। যেমন রাসূলুল্লাহ সাঃ হেরা গুহায় ধ্যানমগ্নে মাঝেমাঝে নিয়োজিত থাকতেন।

(২)
কোনো মানুষ শরীয়তের দলীল নয়।পরিবার পরিজনকে ছেড়ে বনবাসী হওয়ার কোনো সুযোগ নাই।

(৩)
জ্বী, মায়ের সেবায় নিয়োজিত থাকা নফল হজ্ব উমরা এমনকি জিহাদ থেকেও উত্তম।

(৪)
আপনি সাময়িকভাবে যাবেন। তাযকিয়ার জন্য স্থায়ীভাবে আপনার কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নাই।বরং ধারে কাছের কোনো আল্লাহ ওয়ালা বুজুর্গের নিকট ইসলাহের জন্য যাবেন।

(গ)
(১)
সাহাবাগণের নামের শেষে রাযিয়াল্লাহ হচ্ছে সুন্নত বা মুস্তাহাব। সাহাবাগণ পরবর্তী নেককার উম্মতের জন্য রাহিমাল্লাহ সুন্নত। এবং প্রচলন বা নিয়ম হল, এটা মৃত্যু পরবর্তী।

(২)
সাধারণ নেককার জীবিত মানুষদের বেলায় হাফিযাহুল্লাহ, বলা যাবে। এটাও জীবতদের বেলায় প্রযোজ্য।

(ঘ)
নাম লিখার কোনো প্রয়োজন নাই।

(ঙ)

নামাযে কান্না করার বিধান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/431


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...