আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
60 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (11 points)
আস্সালামুআলাইকুম,, হুজুর মা বাবাকে খুশি করলে তো আল্লাহও খুশি হন ,,আমার মা আল্লাহর রহমতে অনেক সুন্দর আমার থেকেও কম বয়সী দেখায় আমার মাকে,,আমি নতুন জব পেয়েছি, সেলারী খুব বেশি না  ,কিন্তু মায়ের মুখে মেস্তা দেখা দিচ্ছে, এজন্য প্রতি মাসে একটা ট্রিটমেন্ট করতে হবে ওখানে অনেক টাকা ঢালতে হবে,,শুধু স্কিনের জন্যই ২০ হাজার ,,এটা করলে মা খুবই খুশি হবেন,মেস্তার  জন্য অনেক মন খারাপ করেন,,কিন্তু আমার মা পর্দা করেনা ,নামাজে উদাসীন ,,আমি অনেক বুঝলে কয়দিন ঠিক থাকে আবার একই হয়ে যায় ,আজকে আমি মেক বলেছি ,মা তুমি আল্লাহর কথা শুনবা ,সৎ থাকবা  ,পর্দা করবা ,নামাজ পরবা ,আমি তোমাকে সব দিবো।...হুজুর প্রতি মাসে মাসে মায়ের স্কিন সুন্দর করতে এতটাকা দিলে কি গুনাহ হবে !? নিয়ত আল্লাহকে খুশি করা ,মাকে  খুশি করলে আল্লাহও যে খুশি হবেন !

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সববে ক্বারিব এর হুকুম হল, বিক্রেতা বা ভাড়া প্রদাণকারীর উদ্দেশ্য যদি হয়, গোনাহের কাজে সগযোগিতা করা,তাহলে এটা গোনাহ এবং গোনাহের কাজে সরাসরি সহযোগিতা হওয়ার দরুণ স্পষ্টত নাজায়েয ও হারাম হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে যদি তার নিয়ত ও উদ্দেশ্য গোনাহের কাজে সহযোগিতা করা না হয়, তাহলে সেটা দুই প্রকার হবে, যথা- 
(ক) যদি তার জানা না থাকে যে, ক্রেতা আঙ্গুর ক্রয় করে সিরকা বানাবে না মদ তৈরী করবে না অন্য কোনো বৈধ কাজে ব্যবহার করবে? অথবা ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে কোনো নাজায়েয কাজ করবে? তাহলে এমতাবস্থায় বিক্রয় করা ও ভাড়ায় প্রদাণ করা জায়েয  হিসেবে বিবেচিত হবে। 
(খ)যদি তার জানা থাকে যে, ক্রেতা আঙ্গুর ক্রয় করে সিরকা বানাবে না মদ তৈরী করবে না অন্য কোনো বৈধ কাজে ব্যবহার করবে? অথবা ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে কোনো নাজায়েয কাজ করবে? তাহলে এমতাবস্থায় বিক্রয় করা ও ভাড়ায় প্রদাণ করা মাকরুহ  হিসেবে বিবেচিত হবে। 

অতঃপর এই মাকরুহ আবার দুই প্রকার যথা- 
(১) গোনাহ উক্ত জিনিষের মূলের সাথে সংযুক্ত হবে, কোনো প্রকার পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের প্রয়োজনিয়তা পড়বে না। তাহলে এমন জিনিষ বিক্রয় করা বা ভাড়া দেওয়া মাকরুহে তাহরীমি হবে।
(২) অথবা সামান্য কিছু সংযোজন ও সংবর্ধনের পরই তাকে গোনাহের কাজে ব্যবহার করা হবে, তাহলে এমতাবস্থায় সেটা মাকরুহে তানযিহি হিসেবে বিবেচিত হবে।

যদি কারো জানা না থাকে যে, ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে ব্যাংক তৈরী করবে, তাহলে সেটা জায়েয হবে। কিন্তু জানা থাকলে, মাকরুহে তানযিহি হবে। 
মাকরুহে তাহরিমী হবে না তানযিহি হবে?
যদি দেখা যায় মালিক বিল্ডিং তৈরীর সময় ব্যাংকের মত করেই তৈরী করেছে, তাহলে মাকরুহে তাহরিমী হবে।তবে যদি সে এমনভাবে তৈরী করে যে, উক্ত ঘরকে যেকোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে, তাহলে তখন তখন সেটা মাকরুহে তানযিহি হিসেবে বিবেচিত হবে। সেটা তাহরিমী হবে না তানযিহি হবে? সেটা নিয়ে অবশ্যই সংশয় রয়ে গেছে।(জাওয়াহিরুল ফিকহ-৭/৫১৩)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার জন্য আপনার মাকে জেনেবুঝে বেপর্দার কাজে সহযোগিতা করা জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 47 views
...