আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
82 views
in পবিত্রতা (Purity) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবা রকাতুহ উস্তায।

আমার প্রেগ্ন্যাসির  ৭ সপ্তাহের পর থেকে হালকা ব্লিডিং হয়েছিলো কয়েকবার ( এই সময় স্বাভাবিক ভাবেই নামাজ পড়েছি)। ডক্টরের মেডিসিন এবং ইঞ্জেকশন দেয়।তখন ঠিক ছিলো।  কয়েকদিন ব্লিডিং হয়নি।ফুল বেড রেস্ট দিয়েছিলো।শুধু ওয়াশরুমে যেতাম আর ফরয সালাত টুকু পড়তাম বসে। হাই রিস্ক প্রেগন্যান্সি ছিলো তখন। এরপর ২ মাসের পর থেকে ১০/১২ দিনের মতো ব্লিডিং হয়।  আড়াই মাসের দিকে ডক্টরের কাছে গেলে জানলাম Incomplete Abortion হয়েছে। তাই মেডিসিন দিয়েছে একেবারে ভিতর থেকে ক্লিয়ার হওয়ার জন্য।  এখন ১ দিন হলো আমি মেডিসিন খাওয়া শুরু করেছি। ব্লিডিং এর মাত্রা বেড়েছে।
আমার প্রশ্ন হলো:

১) হাই রিস্কের জন্য তখন যে বসে নামাজ পড়েছি সেটা কি আদায় হয়েছে? নাকি আবার আদায় করতে হবে?

২) মিসক্যারেজ হয়েছে জানার আগেই যে আমার ১০/১২ দিন ব্লিডিং কন্টিনিউ ছিলো। সেটা কে কি হায়েজ হিসেবে ধরবো? নাকি মেডিসিন খাওয়ার পর যেই জমাট বাধা ব্লিডিং হয়ে ক্লিয়ার হচ্ছে সেটাকে হায়েজ ধরবো?
৩) আমার পিরিয়ড অভ্যাস কখনো ৬ দিন কখনো ৭ দিন। একবারেও মেলাতে পারিনা। তাহলে কতোদিন ধরবো?
৪) যেহেতু এটা কন্টিনিউসলি ব্লিডিং হচ্ছেই এক্ষেত্রে অযু করে নামাজ পড়লেই হবে? নাকি বারবার অযু ভেঙে যাবে? ১ ওয়াক্তের অযু দিয়ে পরবর্তী ওয়াক্তে নামাজ পড়া যাবে?
৫) নামাজের সময় কি ব্যাবহৃত প্যাড বদলাতে হবে? নাকি নাপাক বস্তু নিয়েই নামাজ পড়া যাবে?

৬) সন্তানের অস্তিত্ব তো ডক্টর পায়নি ঠিক মতো। তার আগেই এবোরশন হয়ে গিয়েছে। ৪ মাসও হয়নি। এমন মায়েরা তো আর জান্নাতে তাদেরকে পায়না না? যেহেতু সন্তানের অস্তিত্ব তখন ধরা পড়েনি।

1 Answer

0 votes
by (713,840 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যদি চার মাস বা তার চেয়ে বেশী সময়ের পর গর্ভপাত হয় তাহলে গর্ভপাত পরবর্তী নেফাস হিসেবে গণ্য হবে।আর চার মাসের পূর্বে গর্ভপাত হলে সে রক্তকে হায়েয গণ্য করা হবে যদি তা তিনদিন বা তার চেয়ে বেশী সময় অতিবাহিত হয়।আর তিনদিনের কম বা দশদিনের বেশী সময় অতিবাহিত হলে সে রক্তকে ইস্তেহাযার রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।(আহসানুল ফাতাওয়া-২/৭১)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1570

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) হাই রিস্কের জন্য তখন যে বসে নামাজ পড়েছিলেন, সেটা আদায় হয়েছে। আবার আদায় করতে হবে না।

(২) মিসক্যারেজ হয়েছে জানার আগেই যে আপনার ১০/১২ দিন ব্লিডিং কন্টিনিউ ছিলো। সেটাকে আপনার পূর্বের হায়েযের অভ্যাস অনুযায়ী হায়েয হিসেবে গণনা করবেন। এবং মেডিসিন খাওয়ার পর যেই জমাট বাধা ব্লিডিং হয়েছে, সেটাকেও পূর্বে  হায়েয বা আদত অনুযায়ী হায়েয ধরবেন।এবং অতিরিক্ত দিনকে ইস্তেহাযা ধরবেন।

(৩) আপনা পিরিয়ড অভ্যাস কখনো ৬ দিন এবং কখনো ৭ দিন থাকে। আপনি পূর্বের মাস অনুযায়ী হায়েয গণনা করবেন।পূর্বের মাসে যতদিন ছিলো, ততদিন হায়েয গণনা করবেন।

(৪) যেহেতু এটা কন্টিনিউসলি ব্লিডিং হচ্ছে, তাই এক্ষেত্রে প্রতি ওয়াক্তের জন্য একটি অযু করে নামাজ পড়াই যথেষ্ট হবে। 

(৫) নামাজের সময় ব্যাবহৃত প্যাড বদলাতে হবে।  নাপাক বস্তু নিয়ে নামাজ পড়া যাবে না।

(৬) যেহেতু চার মাসের আগেই গর্ভপাত হয়েছে, তথা রুহ আসার আগেই গর্ভপাত হয়েছে, তাই সেটা পূর্ণ সন্তান বলা যাবে না।এবং জান্নাতেও দেখা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 107 views
...