আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
51 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (115 points)
আমার এক কলেজ ফ্রেন্ড আমাকে খুব ক্লোজ ভাবে।আমাকে বেস্ট ফ্রেন্ড ভাবে।কিন্তু আমি তাকে বেস্ট ফ্রেন্ড ভাবতে পারিনি।আসলে মন থেকে আসেনি।এছাড়া কুশল বিনিময় যেভাবে পেরেছি করে রাখতে চেয়েছি।তার কষ্টের সময় তাকে সান্ত্বনাও দিয়েছি।কিন্তু সে যেভাবে চেয়েছে সেভাবে দিতে পারিনি।এছাড়া  আমি বুঝি তার মানসিক শারীরিক অনেক সমস্যা আছে।এই কারণে সে সবসময় আমার কাছ থেকে সান্ত্বনা চায়।কিন্তু আমি সান্ত্বনার সাথে তাকে আজ কড়া ভাষায় কথাও বলেছি।।সে সবসময় ভাবে, তার গুনাহের কারণে তার জীবনের এই অবস্থা। তার জীবনে সব থমকে আছে।আমি তাকে বুঝাইছি চেষ্টা করতে।আল্লাহ অনেক দয়াবান।আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন।তাও সে একই কথা বলে তার গুনাহের কারণে এমন হচ্ছে। আল্লাহ শাস্তি দিচ্ছেন।আমি বুঝাইছি আমরা অনুতপ্ত হব কিন্তু সেটার পজিটিভ দিকে মোড় নিব।অর্থাৎ অনুতপ্ত হয়ে গুনাহ না করার চেষ্টা করব।কিন্তু নেগেটিভ দিকে মোড় নিলে শুধু গুনাহের কথাই স্মরণ হবে,কাজের কাজ কিছুই হবেনা।জীবন এভাবে চলেনা।তাও সে বারবার এইটাই বুঝাতে চায় গুনাহের কারণে সে এরকম শারীরিক মানসিকভাবে শাস্তি পাচ্ছে।এভাবে করে আমি দেখতেছি সে কোনোভাবেই আগাতে পারতেছেনা।হ্যাঁ তার অবশ্য শারীরিক সমস্যাও আছে। মানসিকভাবেও সে খুব উইক।আমি তাকে বলেছি রোগী যদি রোগকে ভালোবাসে তাহলে কেউ ওষুধ দিলেও সে গ্রহণ করবেনা।অর্থাৎ এভাবেই যদি জীবনে পড়ে থাকতে চায় তাহলে কেউ সমাধান দিলেও সে গ্রহণ করবেনা।এই কথাটায় মানসিকভাবে তাকে খুব পীড়া দিয়েছে আমার যা লেগেছে।সত্যি বলতে আমার তার সাথে কথা বলতে ভালো লাগেনা কারণ সে আমাকে সেই স্পেস টাই দেয়নি।কিন্তু তাও কখনো কখনো যোগাযোগ করতাম।এখনো সে আমার সাথে আর যোগাযোগ করবেনা হয়তো। বা কম কথা বলবে। এইক্ষেত্রে আমার এসব আচরণের কারণে কি আল্লাহ আমাকে পাকঁড়াও করবেন?কারণ আমি তাকে তার মতো ভালোবাসাও দিতে পারিনি আবার সে যেভাবে চেয়েছে সান্ত্বনাও দিতে পারিনি।তার সাথে তেমন এটাচ হয়েও কথা বলিনা।আবার শেষে খুব কড়া কথা বলে ফেলছি এই কারণে কি আল্লাহ আমাকে পাকঁড়াও করবেন?আর আমি যদি তার সাথে আর কথা না বলি আমার কি গুনাহ হবে?(তার সাথে বেশি কথা বাড়ালে আমার নিজেরই খারাপ লাগে কারণ ঘুরেফিরে একই সমস্যা হয়, আমি তার মনমতো তাকে ভালোবাসা দিতে পারিনা তাই কথা শুনতে হয়)

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হেরা পর্বতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' এর নিকট জিবরাঈল আঃ এর আগমন সম্ভলিত, আয়েশা রাযি বর্ণিত, দীর্ঘ হাদীসের একাংশে হযরত খাদিজা রাযি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' কে উদ্দেশ্য করে বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' বলেছিলেন,'আমি আমার জীবন সম্পর্কে শঙ্কাবোধ করছি।'
فَقَالَتْ لَهُ كَلاَّ أَبْشِرْ، فَوَاللَّهِ لاَ يُخْزِيكَ اللَّهُ أَبَدًا، إِنَّكَ لَتَصِلُ الرَّحِمَ، وَتَصْدُقُ الْحَدِيثَ، وَتَحْمِلُ الْكَلَّ، وَتَقْرِي الضَّيْفَ، وَتُعِينُ عَلَى نَوَائِبِ الْحَقِّ.
কক্ষনো না। আপনি বরং সু-সংবাদ গ্রহণ করুন। আল্লাহর কসম, আল্লাহ্ আপনাকে কখনই লাঞ্ছিত করবেন না। কেননা, আপনি তো আত্মীয়তার বন্ধন জুড়ে রাখেন, সত্যকথা বলেন, অনাথ অক্ষমদের বোঝা বহন করেন, মেহমানদের মেহমানদারী করেন এবং হকের পথে আগত যাবতীয় বিপদে সাহায্য করেন।(সহীহ বোখারী-৬৯৮২)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার ঐ ভাই পথভ্রান্ত হয়ে আছেন। সঠিক দিশা খুজে পাচ্ছেন না। আপনার উচিৎ ছিলো, তাকে সান্তনা দেওয়া, তাকে সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া। আপনার গা ছাড়া মনোভাবের জন্য যদিও গোনাহ হবে না, তবে আপনি উত্তমতার খেলাফ করেছেন। এখনো সময় সুযোগ থাকলে, তাকে সময় দিবেন।তাকে শান্তনা দিবেন। আল্লাহ তা'আলা আপনাকে তাওফিক দান করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জ্বি আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।
জানার জন্য জিজ্ঞাসা করছি,আমি কি তাকে সান্ত্বনাই দিব নাকি কোনো সমাধানের পথও বলব? আমি যদি বলি চেষ্টা করতে বা অন্য কিছু করতে তখন সে আরো বেশি পেরেশান হয়ে যায়।এইটা শুধু আমার ক্ষেত্রে না।যে কেউ ভালো পরামর্শ দিলেই এমন হয়ে যায়।এইক্ষেত্রে কি করব?
by (712,400 points)
শান্তনা এবং সমাধানের পথ উভয়টাই আপনি বলে দিবেন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...