আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
85 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,আমার কিছু প্রশ্ন ছিল এগুলোর উত্তর দিলে উপকৃত হবো।

১.আমি সাহরীর সময় উঠে সাহরীর উদ্দেশ্যে খেয়ে নিলাম। কিন্তু মনে মনে কোন নিয়ত করিনি। এক্ষেত্রে কি এমনিতেই নিয়ত হয়ে রোজা হয়ে গেছে আর সাহরী করার সওয়াব পাব?

তবে যখন উঠেছিলাম তখন সাহরীর কোন বিষয় মাথায়ই আসেনি উঠে খেয়ে নিয়েছিলাম।

২.সাহরীর আগে যদি নিয়ত করে মনেমনে বলে "রোজা রাখার নিয়তে সাহরী করছি" তাহলে কি রোজাও সাহরীর নিয়ত হয়ে যাবে ? অর্থাৎ এরপর নিয়মমাফিক না খেয়ে থাকলে কি রোজা আদায় হবে?

৩.যেকোন নামাজের আগে দাঁড়িয়ে মনে মনে বললাম যে,"সলাতুল ফজর/অন্যান্যা ওয়াক্ত এর অমুক রাকাত ফরজে আইন/সুন্নতে মুয়াক্বাদা জামাআত সহকারে/জামাআত ছাড়া আদায় করছি " বলে আল্লাহু আকবার বলি।তাহলে কি নামাজের নিয়ত হবে? উত্তর হ্যা/না হলে এটি কি তারাবীহ, তাহাজ্জুদ সব নামাজেই প্রযোজ্য?

৪.নামাজের ক্ষেত্রে কোন নামাজ এর কত রাকাত পড়ব এটা মাথায় রেখেই যদি তাকবীর দিয়ে নামাজে দাঁড়িয়ে যাই তবে কি নামাজের নিয়ত

হবে ?

৫.নামাজে রুকু,সিজদা ইত্যাদি করার সময় তাকবির দেই। সেক্ষেত্রে আমি কিয়ামে আছি এরপর কিয়াম শেষে প্রথমে আল্লাহু আকবার বললাম। এরপর রুকুতে গেলাম।বাকি সব রুকনে যাওয়ার সময় এভাবে করলাম।জামাআতে বা একাকী সহ ফরজ/সুন্নত/নফল যেকোনো নামাজে।তবে কি নামাজ হবে?আর ইমাম সাহেব এক রুকন থেকে আরেক রুকনে যাওয়ার সময় প্রথমে উনি অন্য রুকনে যান পরে তাকবীর দেন আর তাকবীরে তাহরীমার ক্ষেত্রেও উনি প্রথমে হাত তুলে পরে বাঁধেন তারপর তাকবীর দেন।আর আমি তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় প্রথমে আল্লাহু আকবার বলি ও হাত তুলে তারপর হাত বাধি।আর উপরোক্ত নিয়মে আমি নামাজ আদায় করি এক্ষেত্রে ইমাম সাহেব এর বিপরীত থাকায় নামাজে কোন সমস্যা হবে?বা গুণাহ হবে? আর ইমাম সাহেবের নিয়ম কি সহীহ ?আর সালাম ফিরানোর ক্ষেত্রেও ইমাম সাহেবের বৈসাদৃশ্য করলেও কি নামাজে কোন সমস্যা হবে বা গুণাহ হবে ?

৬.আমি কি যেকোন সময় কুরআন তেলাওয়াত করতে পারব?আমি যদি প্রত্যেক নামাজের পর যদি কুরআন তেলাওয়াত করি নিয়ম মত আর ধরুন ফজরে ৪ পৃষ্ঠা,যোহরে ৪ পৃষ্ঠা এভাবে পাচ ওয়াক্ত নামাজ এর পর ২০ পৃষ্ঠা পড়ি তবে কি কোন সমস্যা হবে ও কুরআন তেলাওয়াত এর সওয়াব পাব?

৭.কোন আমল(সুন্নত পালন করা,সকাল সন্ধ্যা সহ যেকোন সময়ের যিকির ইত্যাদি)

করার সময় তা ঠিকমত হচ্ছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ হলে আমি আমল গুলো করলাম আর নিয়ত করলাম যে,যদি আমল সঠিক নিয়মে হয় তবে সওয়াব পাব আর বেঠিক হলে সওয়াব পাবনা।এই নিয়ত কি সঠিক।আর এভাবে আমল সঠিক হলে সওয়াব পাব?

৮.পাঞ্জাবি জুব্বা সহ,সার্ট,প্যান্ট,গেঞ্জির সাথে টুপি পড়লে কি টুপির সুন্নত আদায় হবে?

৯.আমাদের শিক্ষাব্যাবস্থা এখন অনৈসলামিক। এখন যদি আমি স্কুলে স্কুলড্রেস পড়াঅবস্থায়  টুপি পড়ি, নামাজ পড়ি (নামাজের ঘরে ফরজ নামাজ), ছেলেদের সাথে দ্বীনি কথাবার্তা বলি,দাওয়াতি কাজ করি,যিকির করি এছাড়াও ইসলামিক কাজ করি। অর্থাৎ স্বাভাবিক জীবনে যেভাবে ইসলাম পালনকরি সেভাবে পালন করি। এক্ষেত্রে সেক্যুলার শিক্ষার অধীনে স্কুলে পড়ে ও স্কুলের ড্রেস পড়ে এসব কর্মকাণ্ড করায় কোন গুণাহ হচ্ছে আর এক্ষেত্রে স্বাভাবিক জীবনে ইসলাম পালনের মত সওয়াব পাব?আর এই স্কুলে পড়া কি জায়েজ হচ্ছে?

ক.আর এক্ষেত্রে পড়াশোনার সময় যিকির করা যাবে? যেমন পড়ার একটা অংশ শেষ কোন যিকির করলাম সেটা হয়ত সকাল-সন্ধ্যার কোন যিকির বা এমনিতেই সওয়াবের আশায় ১০ বার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ,দরূদ ইত্যাদি পড়লাম।তা কি জায়েজ হবে?(ইডিটেড)

১০.আমি এশার ফরজ নামাজ ও সুন্নত নামায জামায়াতে আদায় করে যদি বাসায় এসে তারাবীহ ও বিতর আদায় করি তবে সমস্যা হবে?কারণ আমাদের ইমাম জানামতে খতমে তারাবিহর বিনিময় নেন।(ইডিটেড)

১১.কাল এশার নামাজ জামাতে আদায় করি ও সুন্নত আদায় এর পর জুতা নিতে পারিনি মানুষের সংখ্যাধিক্যের কারণে।তাই আমি মসজিদের ৩ তলায় একাকী তারাবীহ পড়ি।কারণ যেহেতু আমাদের ইমাম খতমে তারাবিহর বিনিময় নেন।(ইডিটেড)

১২.প্রশ্ন আমি যদি একাধিকবার ইডিট করলে এতে কি গুণাহ হবে?(ইডিটেড)

১৩.সকাল সন্ধ্যার আমল করার সময় যদি ইচ্ছে করে সময় চলে যায় তবে পরে তা করা যাবে

যেমন সকাল সন্ধ্যার আমল সূর্যোদয় -সূর্যাস্তের আগে পুরোপুরি করি নাই।ইচ্ছা করে বা অন্য কারণে যদি তা সূর্যোদয় -সূর্যাস্তের সময় বা পড়ে করি তা কি কবুল হবে?(ইডিটেড)

১৪.সকাল-সন্ধ্যা, ঘুমের যিকির এর সময় যদি অন্য যিকির করে তবে কি সমস্যা হবে?আর যিকির এর সওয়াব পাওয়া যাবে?(ইডিটেড)

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) সেহরি খাওয়ার দ্বারাই নিয়ত হয়ে গেছে।পৃথকভাবে নিয়ত না করলেও রোযা হয়ে যাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1254

(২) "রোজা রাখার নিয়তে সাহরী করছি" এদ্বারাই নিয়ত হয়ে যাবে।

(৩) যেকোন নামাজের আগে দাঁড়িয়ে মনে নিয়ত থাকলেই যথেষ্ট হবে।

(৪)নামাজের ক্ষেত্রে কোন নামাজ এর কত রাকাত পড়া হবে, এটা মাথায় রেখেই যদি তাকবীর দিয়ে নামাজে দাঁড়িয়ে যাওয়া হয়, তাহলে নামাজের নিয়ত
হয়ে যাবে।

(৫) 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3923


(৬) আপনি যেকোন সময় কুরআন তেলাওয়াত করতে পারবেন।

(৭) যে কোনো আ'মল করার পূর্বে সে সম্পর্কে সুন্নাহ পদ্ধতি জানতে হবে। এই জানাটা ফরয। সুতরাং জেনে বুঝে নিশ্চিত হয়ে আমল করবেন। প্রয়োজনে মাদরাসায় ভর্তি হবেন বা তাবলীগে সময় লাগাবেন।

(৮) পাঞ্জাবি জুব্বা সহ,শার্ট,প্যান্ট,গেঞ্জির সাথে টুপি পড়লেও টুপির সুন্নত আদায় হবে। তবে শার্ট প্যান্ট পড়লে পোষাকের সুন্নাহ আদায় হবে না।

(৯) বর্তমান শিক্ষাব্যাবস্থায় থেকেও আমল করলে সেই গ্রহণযোগ্য হবে। হ্যা, অন্তরে সর্বদা পরিপূর্ণ ইসলাম পালনের মনোভাব রাখবেন।

(ক) পড়াশোনার সময় যিকির না করাই উচিৎ। হ্যা, সকাল সন্ধ্যার যিকির করবেন।তখন পড়বেন না। অন্য সময় পড়বেন।

(১০+১১) বাসায় জামাতের সাথে পড়তে পারবেন। তারাবিহর হাফিজ সাহেব বিনিময় নিবেন না, বিনিময় নেয়া জায়েযও না। তবে মুসলমানদের উচিৎ, হাফিজ সাহেবকে বেশী করে সম্মানি দেয়া,এতেকরে কুরআনের সম্মান বাড়বে।

(১২) প্রশ্নকে একাধিকবার ইডিট করা অনুচিত।তবে গোনাহ হবে না। 

(১৩) সকাল সন্ধ্যার আমল করার সময় যদি ইচ্ছে করে সময় চলে যায় তবে পরে তা করা যাবে।

(১৪)সকাল-সন্ধ্যা, ঘুমের যিকির এর সময় যদি অন্য যিকির করে তবে সমস্যা হবে না। তবে এমনটা উচিত না।


বিঃদ্র:
আপনার প্রশ্ন থেকে বুঝা যাচ্ছে, দ্বীনের ফরযিয়াত সম্পর্কে জানা আপনার জন্য অতীব জরুরী। তাই আপনি ইসলামিক অনলাইন মাদরাসায় ফরযিয়াত কোর্সে ভর্তি হয়ে যাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...