আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
38 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ,
১)মনমালিন্যের কারণে স্বামীর থেকে দূরে থাকা অবস্থায় মহিলা যদি হজ্ব বা উমরাহ করতে চায় তাহলে কি স্বামীর অনুমতি লাগবে?
২)আর মহিলার হজ্বের ক্ষেত্রে যদি মাহরাম কোন পুরুষ না থাকে তাহলে নিজের বোনের সাথে অর্থাৎ দুই বোন মিলে হজ্ব কাফেলাদের সাথে হজ্বে যেতে পারবে?

৩) সরকারি চাকরিতে জিপি ফান্ড এ কিছু টাকা জমা আছে।কিন্তু প্রয়োজনের সময় টাকা উঠানো হলে পরবর্তী তে সে টাকা পূরণ হওয়ার জন্য প্রতিমাসের বেতন থেকে কিছু টাকা কেটে রাখা হয়।অর্থাৎ  অনেকটা লোন এর মতো বলা যায়।যতদিন না পেনশন এর সময় আসবে ততদিন এই টাকা গুলো একসাথে তুলে ফেলা যায়না।এই টাকা গুলোর উপর যাকাত দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
যদি মহিলার সাথে কোনো মাহরাম থাকে, তাহলে মহিলা স্বামীর অনুমতি ব্যতিতও ফরয হজ্বে যেতে পারবে। কিন্তু যদি মহিলার সাথে কোনো মাহরাম না থাকে, তাহলে মাহরাম না থাকার কারণে ফরয হজ্বে যাওয়া জায়েয হবে না।চায় স্বামীর অনুমতি থাকুক বা নাই থাকুক।

لما في مجمع الانهر فی شرح ملتقی الابحر:
"(وتحج) المرأة (معه) أي المحرم (حجة الإسلام) أي الحج الفرض (بغير إذن زوجها) وقت خروج أهل بلدها أو قبله بيوم أو يومين وليس له منعها عن حجة الإسلام وله منعها عن كل حج سواها."(كتاب الحج، 263/1، ط: دار إحياء التراث العربي)

وفي الفتاوٰی الشامية:
"وليس لزوجها منعها عن حجة الإسلام. قال ابن عابدين: (قوله وليس لزوجها منعها) أي إذا كان معها محرم وإلا فله منعها كما يمنعها عن غير حجة الإسلام."
(كتاب الحج، 465/2، ط: سعيد)

وفي الفتاوٰی الهندیة:
"(ومنها المحرم للمرأة) شابة كانت أو عجوزا إذا كانت بينها وبين مكة مسيرة ثلاثة أيام هكذا في المحيط، وإن كان أقل من ذلك حجت بغير محرم، والمحرم الزوج، ومن لا يجوز مناكحتها على التأبيد بقرابة أو رضاع أو مصاهرة كذا في الخلاصة."(كتاب الحج، الباب الأول في تفسير الحج، وفرضيته ووقته وشرائطه....، 218،219/1، ط: رشيدية)

و في البدائع الصنائع:
"وما دون ثلاثة أيام ليس بسفر فلا يشترط فيه المحرم كما لا يشترط للخروج من محلة إلى محلة."(كتاب الحج، فصل شرائط فرضية الحج، 124/2، ط: دار الكتب العلمية)


স্বামী অনুমতি ব্যতিত উমরাহ করা যাবে কি না?
নফল রোযা ব্যতিত অন্যান্য নফল ইবাদতের বেলায় স্বামীর অনুমোদন অত্যাবশ্যকীয় নয়। কিন্তু যদি নফল ইবাদতের কারণে স্বামীর খেদমতে বিঘ্নতা সৃষ্টি হয়, এবং এজন্য স্বামী বাধা প্রদাণ করে, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে স্ত্রীর উচিৎ, স্বামীর অনুমতি ব্যতিত উক্ত ইবাদত না করা। তবে যদি স্বামীর খেদমতে কোনো বিঘ্নতা না আসে, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে তখন নফল ইবাদত করা নিষেধ হবে না। 
الفتاوى الهندية (1/ 201):
"ويكره أن تصوم المرأة تطوعاً بغير إذن زوجها إلا أن يكون مريضاً أو صائماً أو محرماً بحج أو عمرة وليس للعبد والأمة أن يصوما تطوعاً إلا بإذن المولى كيفما كان، وكذا المدبر والمدبرة وأم الولد فإن صام أحد من هؤلاء للزوج أن يفطر المرأة وللمولى أن يفطر العبد والأمة وتقضي المرأة إذا أذن لها زوجها أو بانت ويقضي العبد إذا أذن له المولى أو أعتق فأما إذا كان الزوج مريضاً أو صائماً أو محرماً لم يكن له منع الزوجة من ذلك، ولها أن تصوم، وإن نهاها، وليس كذلك العبد والأمة فإن للمولى منعهما على كل حال، كذا في الجوهرة النيرة". فقط والله أعلم

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু স্বামীর সাথে মনোমালিন্যর দরুণ স্ত্রী স্বামী থেকে দূরে রয়েছেন, তাই এমতাবস্থায় স্ত্রী যদি মাহরামের সাথে উমরাহতে যায়, তাহলে স্বামীর খেদমতে কোনো বিঘ্নতা সৃষ্টি হচ্ছে না।

(২)
যদি মাহরাম কোন পুরুষ না থাকে তাহলে মহিলার উপর হজ্ব ফরয হবে না।মাহরাম ব্যতিত হজ্বের সফরে যাওয়া জায়েয হবে না। নিজের বোনের সাথে অর্থাৎ দুই বোন মিলে হজ্ব কাফেলাদের সাথে হজ্বে যাওয়া অনুমোদিত হবে না।

(৩)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1246


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...