আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আমার একটা কন্যা সন্তান হয়েছিলো। কিন্তু জন্মগত ত্রুটির জন্য তিনদিনের দিন হতেই চিকিৎসা চলছিলো আর চিকিৎসার বেশিরভাগ খরচ আমার ভাসুর দিয়েছিলেন। ১৪ তম দিনে ওর আকিকা সম্পূর্ণ হয় এবং তাও আমার ভাসুর দিয়েছিলেন। আমি আর আমার স্বামী দুজনই চাকরিজীবী। কিন্তু মানসিক অবস্থা ভালো ছিলো না তখন আমাদের তাই সবকিছু ভাসুর দেখেছেন। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে আকিকার টাকাটা কি আমার ভাসুরকে দিতে হবে নাকি না দিলে আকিকা সম্পূর্ণ হবে না?

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

সন্তান জন্মের পর আকিকা করা সুন্নত(সুন্নতে যায়েদা)।আকিকা করলে সওয়াব হবে,তবে ছেড়ে দিলে কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।
,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
( مَنْ وُلِدَ لَهُ وَلَدٌ فَأَحَبَّ أَنْ يَنْسُكَ عَنْهُ فَلْيَنْسُكْ ، عَنْ الْغُلامِ شَاتَانِ مُكَافِئَتَانِ ، وَعَنْ الْجَارِيَةِ شَاةٌ )
যদি কারো সন্তান জন্ম নেয় এবং সে যদি পছন্দ করে আকিকা দিতে,তাহলে সে যেন বরাবর দুটি ছাগল দ্বারা ছেলের আকিকা করে।এবং একটি ছাগল দ্বারা মেয়ের আকিকা করে।
(সুনানু আবু-দাউদ-২৮৪২)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে
العقيقة عن الغلام وعن الجارية وهي ذبح شاة في سابع الولادة وضيافة الناس وحلق شعره مباحة لا سنة ولا واجبة كذا في الوجيز للكردري.
ছেলে সন্তান এবং মেয়ে সন্তান উভয়ের পক্ষ্য থেকে সপ্তম দিনে আকিকা করা হবে এবং যিয়াফত করানো হবে ও চুল মুন্ডানো হবে।এটা মুবাহ তথা সুন্নতে যায়েদা।সুন্নতে মু'আক্বাদা বা ওয়াজিব নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৬২)

বালেগ হওয়ার পর আকিকা করা যাবে তবে মৃত্যুর পর আর আকিকা করা যাবে না। কেননা আকিকা করা হয় বালা মসিবতকে দূর করার জন্যে।আর মূত্যুর পর তো পৃথিবীর কোনো বালা মসিবত আর আসবে না।(আহসানুল ফাতাওয়া;৭/৫৬৬) 

আকীকা করা সুন্নাত,এর দ্বারা বাচ্চার বালা মুছিবত দূর হয়
সুন্নাত হলো বাচ্চার জন্মের সপ্তম দিন আকীকা করবে,নাম রাখবে,মাথা মুন্ডাবে,চুল ওযন করে সেই পরিমান রুপা সদকাহ করবে।
বয়স্ক ব্যাক্তিদের আকীকা করার প্রয়োজনীয়তা নেই।
(আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ৪/৩৪০)

আরো জানুনঃ  

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
আকিকা দেয়ার দায়িত্ব সন্তানের বাবার উপর।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্বামী আকীকা বাবদ টাকা আপনার ভাসুরকে দিবে।

হ্যাঁ যদি আপনার ভাসুর সেই টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানায়,সেক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই।
আকীকা আদায় হয়ে গিয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...