আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
51 views
in সাওম (Fasting) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম,

আমার স্ত্রীর গতকাল রাত ১ টার দিকে হায়েযের লক্ষণ প্রকাশ পায়। সেজন্য সে রমাদানের সিয়াম থাকার নিয়ত করে নি, তবে সেহরি খায়। কিন্তু আজ সকাল থেকে সে আর কোন লক্ষণ দেখেছে না হায়েযের। এমতাবস্থায় সে কি আজকের রোজা রেখে ফেলবে? কিন্তু সে তো হায়েয ভেবে রোজার নিয়ত করে নি। নাকি এই রোজার কাযা করতে হবে?

1 Answer

+1 vote
by (676,800 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
পূর্বের মাসের হায়েজ বন্ধ হওয়ার পরদিন থেকে নিয়ে যদি গতকাল রাত ১ টা পর্যন্ত ১৫ দিন ১৫ রাত বা তার চেয়ে বেশি দিন অতিবাহিত না হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে এটি ইস্তেহাজা।

এসময় নামাজ রোযা চালিয়ে যেতে হবে।

★আর যদি পূর্বের মাসের হায়েজ বন্ধ হওয়ার পরদিন থেকে নিয়ে যদি গতকাল রাত ১ টা পর্যন্ত ১৫ দিন ১৫ রাত বা তার চেয়ে বেশি দিন অতিবাহিত হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে এই ব্লিডিং যদি সর্বনিম্ন তিন দিন তিন রাত ধরে আসে,তাহলে এটি হায়েজ। 
নামাজ রোযা বন্ধ রাখতে হবে।

তিন দিনের আগেই বন্ধ হয়ে গেলে অথবা স্পষ্ট সাদা স্রাব আসলে, ১০ দিনের মধ্যেও আর রক্ত না আসলে এটি ইস্তেহাজা। 
,
এক্ষেত্রে আপাতত এটিকে হায়েজ ধরে নিয়ে নামাজ রোযা বন্ধ রাখতে হবে।

★এটি যদি তিন দিনের আগেই বন্ধ হয়ে যায়,১০ দিনের মধ্যে যদি আর রক্ত না আসে, অথবা স্পষ্ট সাদা স্রাব আসে,সেক্ষেত্রে যে কয়দিন নামাজ বন্ধ রেখেছিলেন,এ কয়দিনের নামাজের কাজা আদায় করে নিতে হবে।

আর যদি এটি তিন দিনের মধ্যে বন্ধ না হয়,অথবা বন্ধ হলেও ১০ দিনের মধ্যে আবারো রক্ত আসে,তাহলে এটি হায়েজ।

এই দিন গুলোর নামাজের কাজা আদায় করতে হবেনা। শুধু রোযার কাজা আদায় করতে হবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার স্ত্রী যেহেতু আজ সকাল থেকে হায়েজের আর কোন লক্ষণ দেখছেনা,সুতরাং তিনি রোযার নিয়ত করতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (7 points)
প্রিয় হযরত,
এক্ষেত্রে আমার প্রশ্ন দুপুর ১ টার দিকে যে সে রোজা রাখার নিয়ত করলো, এতে তার রোজা সহীহ হবে কিনা? কারন সেহেরির সময় সে হায়েয ভেবে রোজার নিয়ত করে নি। আবার আমি জানি যে ফরয রোজার নিয়ত সেহেরির সময়/আগে করতে হয়, দিনের বেলা ফরয রোজার নিয়ত করা যায় না। একটি পরিষ্কার করে দিকে উপকার হত। 
by (676,800 points)
দুপুর ১ টার দিকে রোযার নিয়ত করলে সে রোযা আদায় হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...