আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in সালাত(Prayer) by (3 points)
এশারের আগে চার রাকাত সুন্নত

১. এশার ফরজের আগে ৪ রাকআত সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদা (সুন্নতে  জায়িদা ) নামাজের দলিল জানতে চাই। এই ৪ রাকআত কি কোনো সহীহ হাদিসে এসেছে? হাদিস সহীহ নাকি দুর্বল ?

২. ইশরাক ও  সালাতুল দোহা বা চাশতের  নামাজের পার্থক্য ?
৩. সূর্য উদয়ের কত মিনিট পর ইশরাক এর ওয়াক্ত শুরু ও শেষ ?

৪. সূর্যতাপে বালু কখন গরম হতে পারে
৫. সালাতের উত্তম সময় ?
৬. একই দিনে কি দুটোই আদায় করা যাবে  ? ভিন্ন ভিন্ন সময়ে দুটোর আলাদা  নিয়ত করলে কি দুই নামাজ এর পূর্ণ ফজিলত পাওয়া যাবে ?

কিছু রেফারেন্স :

ফজিলত:
ইশরাকের সালাতে হজ ও উমরার  সওয়াব: তিরমিযি ৫৮৬ মিশকাত ৯৭১

চাশতের সালাত আদায় করার জন্য মসজিদে গেলে উমরার সওয়াব
সুনান আবূ দাউদ | হাদিস:৫৫৮ হাদিসের মান: হাসান

 ইশরাক ও চাশতের সময়:
একদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুবাবাসীদের এলাকায় গেলেন। সে সময় তারা সালাত আদায় করছিলেন। এ দেখে তিনি বললেনঃ ’সালাতুল আওওয়াবীন’ বা চাশতের সালাতের উত্তম সময় হ’ল যখন সূৰ্যতাপে বালু গরম হাওয়ার কারণে উটের বাচ্চাগুলো পা উত্তপ্ত হতে শুরু করে।
মুসলিম ৭৪৮

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জামাআতের সাথে ফজরের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে সূর্যোদয় পর্যন্ত সেখানে বসে আল্লাহর যিকর করবে এবং এরপর দু’রাকআত সালাত আদায় করবে, তার জন্য একটি হজ্জ ও উমরা পালনের সওয়াব হবে। আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহ বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঐ ব্যক্তির জন্য হজ্জ ও উমরার পরিপূর্ণ সওয়াব হবে, পরিপূর্ণ সওয়াব হবে, পরিপূর্ণ সওয়াব হবে। -  মিশকাত ৯৭১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৮৬ হাদিসের মান: হাসান

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
ঈশার ফরজের পূর্বে কোনো সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নামাজ নেই। তবে কেহ চাইলে আযান আর ইকামতের মাঝে নফল আদায় করতে পারবে। যত ইচ্ছা আদায় করতে পারবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بَيْنَ كُلِّ أَذَانَيْنِ صَلَاةٌ بَيْنَ كُلِّ أَذَانَيْنِ صَلَاةٌ» ثُمَّ قَالَ فِي الثَّالِثَةِ «لِمَنْ شَاءَ»

’আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক দুই আযানের মধ্যখানে সালাত আছে। প্রত্যেক দুই আযানের মধ্যখানে সালাত আছে। অতঃপর তৃতীয়বার বললেনঃ এই সালাত ওই ব্যক্তির জন্য যে আদায় করতে চায়, ঐ ব্যক্তির জন্য যে আদায় করতে চায়।
(বুখারী ৬২৪, মুসলিম ৮৩৮, আবূ দাঊদ ১২৮৩, নাসায়ী ৬৮১, তিরমিযী ১৮৫, ইবনু মাজাহ্ ১১৬২, আহমাদ ১৬৭৯০, দারেমী ১৪৮০, সহীহ আল জামি‘ ২৮৫০।)

★উল্লেখ্য, এখানে দুই আযান দ্বারা আযান ইকামত উদ্দেশ্য। 

(২.৬)
ইশরাক ও দোহার সালাত ভিন্ন,এ মতটাই আমাদের নিকটে অধিক গ্রহনযোগ্য।   
কেননা উভয় নামাজকে নিয়ে স্বয়ংসম্পুর্ন হাদীস এসেছে।
,
ইশরাক নামাজের হাদীসঃ
হাদিস শরিফে এসেছে   

হযরত আনাস রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أنس، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من صلى الغداة في جماعة ثم قعد يذكر الله حتى تطلع الشمس، ثم صلى ركعتين كانت له كأجر حجة وعمرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: تامة تامة تامة.(هذا حديث حسن غريب)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি জামাতের সাথে ফজরের নামায পড়বে,অতঃপর সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে আল্লাহর যিকিরে লিপ্ত থাকবে,তারপর দু'রাকাত নামায পড়বে,তাহলে সে একটি হজ্ব ও একটি উমরার সওয়াব পাবে।এরপর তিনি তাকিদ করে বলেন,হ্যা পূর্ণ হজ্ব ও উমরার সওয়াব সে পাবে।(সুনানু তিরমিযি-৫৮৬)

অন্যত্রে এসেছে

عن نعیم بن عمارۃ رضي اللّٰہ عنہ قال: سمعت رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم یقول: یقول اللّٰہ عزوجل یا ابن اٰدم لا تعجزني من أربع رکعات في أول نہارک أکفاک أخرہ۔ (سنن أبي داؤد ۱؍۱۸۳)

যার সারমর্ম হলো দিনের শুরুতে ৪ রাকাত নামাজ পড়তে তুমি যেনো অপারগ না হও,,,

দোহার নামাজ সংক্রান্ত হাদীস শরীফে আলাদা ভাবে ইরশাদ হয়েছেঃ

হযরত আনাস ইবনে মালিক রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أنس بن مالك، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من صلى الضحى ثنتي عشرة ركعة بنى الله له قصرا من ذهب في الجنة.
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি চাশতের ১২রা'কাত নামায পড়বে,আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে স্বর্ণের একটি প্রসাদ নির্মাণ করে দেবেন।(সুনানু তিরমিযি-৪৭৩)
,
★তবে যেহেতু এখানে ইসলামী স্কলারগন মতবিরোধ করেছেন,সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন। 
কোনো সমস্যা নেই।              


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 261 views
...