আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in সালাত(Prayer) by (30 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
ক. অনেকসময় নামাজের মধ্যে প্রবল ধারণা হয় যে ওযু ভেঙে গিয়েছে। নামাজ ছেড়ে দিয়ে লজ্জাস্থান চেক করলে দেখা যায় সামান্য পরিমাণ সাদা স্রাব দেখা যাচ্ছে ; যেটা আওরাহ এর মধ্যে ছিল। আবার অনেকসময় দেখা যায় কিছুই না। মনের ভুল ছিল, অকারণে নামাজ ছেড়ে দিয়েছি। এখন নামাজে এমন ধারণা হলে কি নামাজ সম্পূর্ণ করে তারপর চেক করবো? নাকি চেক করে শিওর হয়ে তারপর আবার নামাজ পড়বো?

খ. মুখস্ত সূরা বা জিকিরের ক্ষেত্রে দেখা যায়, হয়তো অন্যমনস্ক হয়ে গিয়েছি কিন্তু জবান ঠিকই উচ্চারণ করে যাচ্ছে। খেয়ালও নেই কয়বার অন্যমনস্কভাবে পড়া হয়েছে। এক্ষেত্রে গুনাহ হবে?

গ. নামাজের মধ্যে যেকোনো চিন্তাভাবনা উদয় হয়ে সেক্ষেত্রে করণীয় কি? (হয়তো বা একটা কাজের কথা মনে পড়লো অথবা কারো সাথে হওয়া একটা আলাপ আলোচনা)

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত,  নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِنَّمَا الْوُضُوءُ مِمَّا خَرَجَ ، وَلَيْسَ مِمَّا دَخَلَ
শরীর থেকে যা কিছু বের হয় এ কারণে অযু ভেঙ্গে যায়, প্রবেশের দ্বারা ভঙ্গ হয় না। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী ৫৬৮)

https://www.ifatwa.info/2142 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছেঃ- 
হানাফি মাযহাবের নির্ভরযোগ্য কিতাব ফাতাওয়ায়ে শামীতে এ সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যখ্যা বর্ণিত রয়েছে।
في الدرالمختار-ج:١ـص:١٣٤
(وينقضه) خروج منه كل خارج (نجس) بالفتح ويكسر (منه) أي من المتوضئ الحي معتادا أو لا، من السبيلين أو لا (إلى ما يطهر) بالبناء للمفعول: أي يلحقه حكم التطهير. ثم المراد بالخروج من السبيلين مجرد الظهور وفي غيرهما عين السيلان ولو بالقوة، لما قالوا: لو مسح الدم كلما خرج ولو تركه لسال نقض وإلا لا، كما لو سال في باطن عين أو جرح أو ذكر ولم يخرج،

জীবিত পবিত্রতম কোনো ব্যক্তির প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে অথবা শরীরের অন্যান্য অঙ্গ দিয়ে কোনো নাজাসত বের হলে অজু ভঙ্গ হয়ে যাবে।চায় স্বাভাবিক কিছু বের হোক বা অস্বাভাবিক কিছু বের হোক।প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে যৎ সামান্য কিছু বের হলেই অজু চলে যাবে।আর অন্যান্য অঙ্গ থেকে শুধুমাত্র নাজাসত প্রবাহিত হলেই অজু ভঙ্গ হবে।চায় জোরে হোক বা আস্তে।কেননা ফুকাহায়ে কিরাম লিখেন,যদি কেউ রক্তকে বের হওয়া মাত্রই যখমের মুখ থেকে মুছে নেয়,যদি উক্ত ছেড়ে দেয়া হত,তবে প্রবাহিত হত,এমন প্রকারের যখমের রক্তের কারণে অজু ভেঙ্গে যাবে।নতুবা অজু ভঙ্গ হবে না।তবে যদি রক্ত যখমের ভিতর দৌড়াদৌড়ি করে ,অথবা চোখ কিংবা পুরুষাঙ্গের ভিতরে দৌড়াদৌড়ি করে,কিন্তু বাহিরে আসে না,তাহলে এমন রক্তের কারণে অজু ভঙ্গ হবে না।

এখানে সাদা স্রাব বাহিরে আসার দ্বারা লজ্জাস্থানের যে ছিদ্র আছে সেই ছিদ্রের বাহিরে বেরিয়ে আসাটা উদ্দেশ্য। সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সাদা স্রাব গোপনাঙ্গের বাহিরে নের হয়ে আসলে অর্থাৎ লজ্জাস্থানের যে ছিদ্র আছে সেই ছিদ্রের বাহিরে বেরিয়ে আসলেই অযু ভেঙ্গে যাবে

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
এক্ষেত্রে আপনি প্রবল ধারণার উপর আমল করবেন।
যদি প্রবল ধারণা হয় যে সাদা স্রাব বের হয়েছে,সেক্ষেত্রে নামাজ ছেড়ে দিয়ে চেক করবেন।
অন্যথায় নামাজ চালিয়ে যাবেন।

(০২)
এক্ষেত্রে গুনাহ হবেনা।

(০৩)
সাথে সাথে চিন্তাকে ফিরে এনে নামাজে মন লাগাতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (30 points)
বেশ কয়েকবার এমন হয়েছে যে অকারণ সন্দেহবশত নামাজ ছেড়ে দিয়েছি। একজন বলেছিল নামাজ ছেড়ে দেয়া অনেক গুনাহের কাজ। আমার প্রায়ই এমন হয়। এক্ষেত্রে নামাজ বার বার ছেড়ে দিলে গুনাহ হবে না?
by (684,760 points)
হ্যাঁ, গুনাহ হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...