আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
in সাওম (Fasting) by (35 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।

১.হুজুর ওজুর সময় ঠোঁটের কতটুকু অংশ না ভিজলে ওজু হয় না।রোজা অবস্থায় ওজু করতে গেলে ঠোট চেপে রাখতে হয় সেসময় ঠোটের সামান্য অংশ পানি যায় না।এতে ওজুর কি কোনো সমস্যা হবে?
২.আর মুখ ধোয়ার সময় হাত দিয়ে মর্দন করার সময় ঠোটের কিনারা দিয়ে পানি মুখে চলে গেলে ও সে পানি খেয়ে ফেললে কি সিয়াম ভংগ হয়ে যাবে?
৩. মসজিদে এক জামাত হয়ে গেলে দ্বিতীয় জামাত করলে ২ জন বা তার কিছু বেশি মিলে তাহলে কি মাকরুহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

রোযা রাখা অবস্থায় অযু গোসলের ক্ষেত্রে গড়গড়িয়ে কুলি করা যাবেনা।
নাকের নরম স্থান পর্যন্ত পানি পৌছানো যাবেনা। 

লাকিত ইবনে সাবিরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
بالغ في الاستنشاق، إلا أن تكون صائما.

 ‘(অযু-গোসলের সময়) ভালোভাবে নাকে পানি দাও তবে রোযা অবস্থায় নয়।’-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ২৩৬৩ সুনানে তিরমিযী, হাদীস : ৭৮৫

সুফিয়ান সাওরী রাহ. বলেন, ‘রোযা অবস্থায় কুলি করতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে গলার ভেতর পানি চলে গেলে রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং তা কাযা করতে হবে।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস : ৭৩৮০
আরো দেখুন : মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৯৮৪৪-৯৮৪৭; ফাতাওয়া শামী ২/৪০১

আরো জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
মানুষের সামনা সামনি হওয়ার সময় ঠোঁটের যতটুকু অংশ বাহির থেকে দেখা যায়,অযু অবস্থায় ততটুকু অংশে পানি পৌছানো ফরজ।

পানি পৌছাতেই হবে।
প্রয়োজনে পরবর্তীতে সেই স্থান মুছে নিবেন।

(০২)
পানি খেয়ে ফেললে রোযা ভেঙ্গে যাবে।

(০৩)
মসজিদ চাই জামে মসজিদ হোক বা নন-জামে মসজিদ হোক,বিধান একই।

এক্ষেত্রে স্থানীয় মসজিদগুলোতে যদি তাতে নির্ধারিত ইমাম থাকে, তাহলে স্থানীয় লোকজনের জন্য নিয়মিত দ্বিতীয় তৃতীয় জামাত করে নামায পড়া মাকরূহ।
,
চলাচলের রাস্তায়, যানবাহনের স্টপিজ ইত্যাদি স্থানের মসজিদ হলে এসব মসজিদে দ্বিতীয় জামাত করাতে কোন সমস্যা নেই।যদিও তাতে নির্ধারিত ইমাম থাকে। 

★সুতরাং আপনার জন্য উত্তম হলো একতাবস্থায় মসজিদে একাকি নামাজ পড়া।
মসজিদ বা অন্যত্রে জামাত করা মাকরুহ। 

প্রশ্নে উল্লেখিত জামাত মাকরুহ বলে বিবেচিত হবে।

আদ্দুররুল মুখতার (২/২৮৯) গ্রন্থে আছেঃ

ويكره تكرار الجماعة..... فى المسجد أو  غيره

যার অর্থ হলো মসজিদ বা  অন্যত্রে ২য় জামাত মাকরুহ।  

বিস্তারিত জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...