আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
34 views
in খাদ্য ও পানীয় (Food & Drink) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম।  আমি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করি এবং সেই প্রতিষ্ঠানের হোস্টেলে থাকি। অফিসিয়ালি হোস্টেলে থাকা অবস্থায় রুমে নিজস্ব সব ধরনের ইলেক্ট্রিক কুকার, হিটার, ফ্রীজ ইত্যাদি ব্যবহার করতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে, তবুও অনেকে লুকিয়ে ব্যবহার করে। আগে হোস্টেলে ডাইনিং এ দুইবেলা  খাবার রান্না করা হতো, ওখানে খেতাম। কিন্তু বছর দুই হলো হোস্টেলে ডাইনিং এ রান্না করা বন্ধ হয়ে গেছে, এখন অনেকে বাইরের খাবার হোটেলগুলো থেকে খাবার কিনে খায় অথবা হোস্টেলে ইলেক্ট্রিক কুকার ইত্যাদিতে রান্না করে খায়। আমি একজনের কাছ থেকে জানতে পেরেছিলাম যে হোস্টেলে যেহেতু নিজস্ব কুকার হিটার চালানোর অনুমতি নেই সেহেতু এগুলো লুকিয়ে ব্যবহার করে খাবার রান্না করে খেলে সে খাবার হারাম হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই আমি এগুলো ব্যবহার করতাম না, বাইরের হোটেল থেকে খাবার কিনে খেতাম। কিন্তু বাইরের হোটেলের খাবার ততটা স্বাস্থ্যকর না, দুই মাস মত খাবার কিনে খেয়েছিলাম, এর মধ্যে বেশকয়েকবার ফুডপয়জনিং হয়, ডায়রিয়া ইত্যাদি হওয়াতে এখন নতুন করে পেটের আইবিএস নামক রোগ হয়ে গেছে তাই বাসা থেকে একসপ্তাহ পর পর তরকারি রান্না করে নিয়ে এসে হোস্টেলের ডাইনিং এ যে ফ্রীজ আছে ওটাতে রাখি। নিজে গ্যাসের সিলিন্ডার আর চুলা কিনে নিয়েছি, সেটাতে ভাত তরকারি রান্না করে বা গরম করে খাই। হোস্টেলের ডাইনিং এ তিনটা ফ্রীজ ছিল আগে, একটা নষ্ট হয়ে গেছে দুই বছর আগে, আরেকটা নষ্ট হয়েছে দুই তিন মাস আগে, বাকি একটা সচল ছিল। কলেজ থেকে ডাইনিং এর রান্না চালু করা বা ফ্রীজ এগুলো ঠিক করার কোনো উদ্যোগ নেয়না, তাদের কাছে ঠিক করতে বললেও ঠিক করেনা, বলে সরকার থেকে টাকা দেয়না। গত ঈদের পর এক সপ্তাহের মত তরকারি রান্না করে এনেছিলাম, কিন্তু হোস্টেলে এসে দেখি যেই একটা ফ্রীজ ভালো ছিল ওটাও নষ্ট হয়ে গেছে। এতগুলো তরকারি তো একদিনে খাওয়া সম্ভব না,  নিরুপায় হয়ে অর্ধেক তরকারি দুইটা পাতিলে গরম করে করে গত দুই তিন দিন ধরে খাচ্ছি, আর বাকি তরকারি আমার হোস্টেলে থাকে এমন এক সহপাঠী যে কিনা হোস্টেলে নিজের মত ফ্রীজ কিনে ব্যবহার করছে, ওর ফ্রীজে রেখেছি। এখন এই তরকারি কি খাওয়া আমার জন্য হারাম হবে? ফ্রীজে না রাখলে তরকারি না রাখলে নষ্ট হয়ে যেত যেটা কিনা অপচয়ের মধ্যে পরে, তাই রেখেছিলাম। এখন কি করা যাবে একটু বলবেন

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯) আরো জানুন- 3747 

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি নিজে গ্যাসের চুলা ক্রয় করে নিয়ে সেই চুলাতে রান্নাবান্না করে খাবেন। অথবা সহপাঠী কারো অনুমতি সাপেক্ষে তার ফ্রিজও ব্যবহার করতে পারবেন। প্রতিষ্টানের সাধারণত অনুমতি থাকলে, প্রতিষ্টানের ফ্রিজও ব্যবহার করতে পারবেন। প্রতিষ্টানের পক্ষ থেকে কোনো ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকলে, সেই জিনিষ ব্যবহার করতে পারবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আমাদের জন্য প্রতিষ্ঠানের ফ্রীজ ব্যবহার করার অনুমতি আছে কিন্তু সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে সব। সহপাঠীর যে নিজস্ব ফ্রীজ আছে সেটা সে প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করছে। এখন ওর ফ্রীজে যে তরকারি রেখেছি বাধ্য হয়ে সেটা কি করবো, সেটা খাওয়া কি হারাম হবে? নাকি সেটা ফেলে দিতে হবে একটু জানাবেন দয়া করে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...