বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
■ আল্লাহ তায়ালা বলেন-
لَا
يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا ۚ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا
اكْتَسَبَتْ ۗ
আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত
কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায়
যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে। (সূরা বাকারা, আয়াত নং-২৮৬)
■ হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم
مَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ مِنْ كَفٍّ وَاحِدٍ فَعَلَ ذَلِكَ ثَلاَثًا . قَالَ
أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ أَبُو
عِيسَى وَحَدِيثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَقَدْ رَوَى
مَالِكٌ وَابْنُ عُيَيْنَةَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَمْرِو بْنِ
يَحْيَى وَلَمْ يَذْكُرُوا هَذَا الْحَرْفَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم
مَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ مِنْ كَفٍّ وَاحِدٍ . وَإِنَّمَا ذَكَرَهُ خَالِدُ بْنُ
عَبْدِ اللَّهِ . وَخَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ ثِقَةٌ حَافِظٌ عِنْدَ أَهْلِ
الْحَدِيثِ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ الْمَضْمَضَةُ وَالاِسْتِنْشَاقُ
مِنْ كَفٍّ وَاحِدٍ يُجْزِئُ وَقَالَ بَعْضُهُمْ تَفْرِيقُهُمَا أَحَبُّ إِلَيْنَا
. وَقَالَ الشَّافِعِيُّ إِنْ جَمَعَهُمَا فِي كَفٍّ وَاحِدٍ فَهُوَ جَائِزٌ
وَإِنْ فَرَّقَهُمَا فَهُوَ أَحَبُّ إِلَيْنَا .
আবদুল্লাহ ইবনু যাইদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এক
আজলা পানি দিয়ে কুলি করতে ও নাক পরিষ্কার করতে দেখেছি। তিনি তিনবার এরকম করেছেন।
-সহীহ। সহীহ আবু দাউদ- (১১০), বুখারী ও মুসলিম।
আবু ঈসা বলেনঃ এ অনুচ্ছেদে আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর
সূত্রে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে। আবু ঈসা বলেনঃ আবদুল্লাহ ইবনু যাইদের সূত্রে বর্ণিত
হাদীস হাসান এবং গারীব। মালিক, ইবনু উআইনা ও অন্যরাও আমর ইবনু ইয়াহইয়ার সূত্রে এ হাদীসটি
বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক আঁজলা
পানি দিয়ে কুলি করেছেন ও নাকে দিয়েছেন এ কথা উল্লেখ করেননি। খালিদ ইবনু
আবদুল্লাহই একথা বর্ণনা করেছেন। হাদীস রিজালশাস্ত্র বিচারে তিনি সিকাহ রাবী এবং
হাফিয। (সুনানে তিরমিযী, হাদীস
নং-২৮)
কিছু বিদ্বান বলেছেন, এক আঁজলা পানির কিছুটা দিয়ে কুলি করলে ও
কিছুটা নাকে দিলে তাতে যথেষ্ট হবে। কেউ কেউ বলেছেন, মুখে এবং নাকে দেওয়ার জন্য
পৃথকভাবে পানি নেয়াই উত্তম। ইমাম শাফিঈ বলেছেন, যদিও এক অজিলা পানি দিয়ে
উভয় কাজ করা জায়িয তবুও আমার মতে মুখ ও নাকের জন্য পৃথকভাবে পানি লওয়াই উত্তম।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ফরজ গোসলের সময় গড়গড়া কুলি করা ফরজ। তা হলো সাধ্য অনুযায়ী
যথাসম্ভব মুখের সব জায়গায় পানি পৌছানো। উল্লেখ্য যে, দাঁতের ফাকের খাদ্য কনা পানি পৌঁছাতে
প্রতিবন্ধক নয়। সুতরাং কুলি করার পরও
যদি খাদ্য কনা না যায় তবুও ফরজ গোসল হবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। দাঁতের ফাকের খাদ্য কনা বের করার জন্য
দাঁত খেলাল করা যেতে পারে।