আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
26 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (22 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ

১। আমার ৮/৯ ভরি গোল্ড আছে। কিন্তু নগদ কোনো অর্থ নাই।  এক্ষেত্রে আমার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে?

২। ফরজ গোসলে পরিপূর্ণ ওজু না করে, শুধুমাত্র ৩বার গড়াগড়াসহ কুলি ও নাকে পানি দিয়ে সমস্ত শরীর ধৌত করলে হবে?
৩। হায়িজ শেষ হলে ফরজ গোসল করার পূর্বে সহবাস করা জায়িজ?

1 Answer

0 votes
by (643,950 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয়ভার ব্যতীত প্রত্যেক  নেসাব (৭.৫ ভড়ি স্বর্ণ/৫২.৫ ভড়ি রূপা বা রূপার সমমূল্য) পরিমাণ মালের মালিক স্বাধীন মুসলমানের উপর কুরবানি করা ওয়াজিব।এক্ষেত্রে বাড়ন্ত মাল হওয়া শর্ত নয় এবং এক বৎসর অতিবাহিত হওয়াও শর্ত নয়।যেভাবে সদকাতুল ফিতরের নেসাব ঠিক এভাবে কুবানিরও নেসাব। বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/98885

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আপনার নিকট ৮/৯ ভরি স্বর্ণ রয়েছে, এখন আপনার নিকট নগদ কোনো অর্থ না থাকলেও আপনার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে।

(২)
ফরজ গোসলে পরিপূর্ণ ওজু না করে, শুধুমাত্র ৩ বার গড়াগড়াসহ কুলি ও নাকে পানি দিয়ে সমস্ত শরীর ধৌত করে নিলেই ফরয গোসল আদায় হয়ে যাবে। কেননা গোসলের ফরয আদায় হয়ে গেলেই, ফরয গোসল হয়ে
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/229

(৩)
হায়েয থেকে পবিত্রতা হওয়ার মধ্যে ব্যখ্যা রয়েছে।
যদি হায়েয ১০ দিনের মাথায় গিয়ে বন্ধ হয়, তাহলে গোসলের পূর্বে স্বামী সহবাস অনায়াসেই জায়েয হবে। যদিও উত্তম হল, গোসলের পরেই সহবাস করা। কিন্তু যদি ১০ দিনের পূর্বেই হায়েয বন্ধ হয়, যেমন ছয় বা সাত দিনে, এবং উক্ত মহিলার ছয় বা সাত দিনের আদত বা অভ্যাস থাকে, তাহলে রক্তস্রাব বন্ধ হওয়ার সাথে সাথেই সহবাস করা উচিত নয় বরং গোসলের পরই সহবাসে লিপ্ত হওয়া উচিত। তবে যদি আদত বা অভ্যাসের দিনের পূর্বেই হায়েয বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে তখন গোসলের পূর্বে সহবাস করা জায়েয হবে না।কেননা আবার রক্তস্রাব জারি হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থেকে যায়।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/67478


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...