বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআ’লা বলেন,
وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَٱتَّبَعَتْهُمْ ذُرِّيَّتُهُم بِإِيمَـٰنٍ أَلْحَقْنَا بِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَمَآ أَلَتْنَـٰهُم مِّنْ عَمَلِهِم مِّن شَىْءٍ ۚ كُلُّ ٱمْرِئٍۢ بِمَا كَسَبَ رَهِينٌ
“যারা ঈমান এনেছে এবং যাদের সন্তান-সন্ততিরা ঈমানে তাদের অনুসরণ করেছে, আমি তাদের সন্তানদেরকে তাদের সঙ্গে মিলিয়ে দেব এবং তাদের আমল হতে কিছুই কমাব না। প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের জন্য দায়বদ্ধ।” (সূরা আত্-তূর: ২১)
,
১. রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন,
"يَجْمَعُ ٱللَّهُ ٱلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ فَيَقُولُ: أَيْنَ ٱلَّذِينَ كَانُوا۟ يُحِبُّونَ بِي وَجْلِي؟ ٱلْيَوْمَ أُظِلُّهُمْ فِي ظِلِّي، يَوْمَ لَا ظِلَّ إِلَّا ظِلِّي."
“কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআ’লা মুমিনদের একত্রিত করবেন এবং বলবেন, ‘কোথায় তারা, যারা আমার সন্তুষ্টির জন্য একে অপরকে ভালোবাসত? আজ আমি তাদেরকে আমার ছায়ায় আশ্রয় দেব, যেদিন আমার ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না।’” (সহীহ মুসলিম, হাদীস: ২৫৬৬)
,
২. অপর হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন:
"ٱلْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ"
“মানুষ সেই ব্যক্তির সাথেই থাকবে, যাকে সে ভালোবাসত।” (সহীহ বুখারী: ৬১৭১)
,
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
,
‘আপন ভাই বোন যখন সামনাসামনি কথা বলে তখন আল্লাহ তাআলা সময়কে বর্ধিত করে দেন।’ এই মর্মে কুরআন ও হাদীসে কোথাও বর্ণিত হয়নি। তাছাড়া ‘আপন ভাই বোনের মৃত্যুর পর আর কখনও দেখা হবে না’ এই কথাটিও সঠিক নয়।
তবে কেয়ামতের বিভীষিকাময় এমন হবে যে, প্রত্যেকেই থাকবে নিজের জবাবদিহি নিয়ে ব্যস্ত। তখন ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজনের চিন্তা থাকবে না। কিন্তু উভয়েই যদি ঈমানদার হন এবং নেক আমল দ্বারা আল্লাহ তাআ’লা সন্তুষ্ট হন, তবে জান্নাতে পরিবার-পরিজন, প্রিয়জন ও আপন ভাই-বোনের সঙ্গে পুনর্মিলন হবে ইনশাআল্লাহ।