আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (1 point)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম। হযরত https://growupagro.tech/ এইখানে ইনভেস্ট করতে চাচ্ছি। করা কি হালাল হবে?

১) যেহেতু এটি একটি মুরাবাহা চুক্তি (উৎপাদন ও বিক্রয়), তাই বিনিয়োগকারীদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে বেরিয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। আমরা ক্যাপসিকাম চাষ করব এবং গ্রো আপ তালিকাভুক্ত ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করব। অতএব, প্রকল্প বন্ধ হওয়ার আগে আমরা আপনার বিনিয়োগের পরিমাণ ফেরত দিতে পারব না।

২) বিনিয়োগের সময়কাল

মোট বিনিয়োগের পরিমাণ হবে - ১,২২,৩৫,০০০

এই বিনিয়োগ ৩ মাসের জন্য হবে।

৩) প্রজেক্টেড ROI (বিনিয়োগের রিটার্ন)

বিনিয়োগের উপর রিটার্ন (ROI) বার্ষিক ৩৭% হবে। তিন (৩) মাসে, বিনিয়োগকারী ৯.২৫% (পরিষেবা চার্জ ব্যতীত) হালাল লভ্যাংশ পাবেন।

৪) বিনিয়োগের অংশ

এখানে, সর্বনিম্ন বিনিয়োগ হবে ১৬,০০০ টাকা, অথবা বিনিয়োগকারীরা প্রকল্পের সীমা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবেন। প্রতি তিন মাসে হালাল লভ্যাংশ বিতরণ করা হবে।

উদাহরণস্বরূপ, যদি কেউ ১০০,০০০ টাকা (এক লক্ষ টাকা) বিনিয়োগ করে, তাহলে তারা ১,৩৭,০০০ টাকা পাবে, পরিষেবা চার্জ বাদে (এক বছরে বিনিয়োগের অংশ হিসেবে ১০০,০০০ টাকা এবং লাভের অংশ হিসেবে ৩৭,০০০ টাকা)।

৫) লোকসান ভাগাভাগি

গ্রো আপ একটি শরিয়াহ-সম্মত প্রকল্প, এবং মুরাবাহা নীতি অনুসারে, গ্রো আপ কর্তৃপক্ষের কাছে দায় হস্তান্তরের পরে বিনিয়োগকারীদের কোনও ব্যবসায়িক ক্ষতির জন্য কোনও দায়বদ্ধতা নেই। এজেন্ট/বণিকের কাছে পণ্য হস্তান্তরের পরে যে কোনও ক্ষতি বিনিয়োগকারীদের সাথে ভাগ করা হয় না। অতএব, পণ্য বণিকের কাছে হস্তান্তরের পরে ব্যবসা থেকে কোনও লোকসান ভাগাভাগি করা হবে না।

৬) পরিষেবা চার্জ

গ্রো আপ বিনিয়োগকারীদের লাভের উপর ৫% পরিষেবা চার্জ প্রযোজ্য হবে। এটি লক্ষ করা উচিত যে উপরে উল্লিখিত সমস্ত ROI এই পরিষেবা চার্জ বাদ দিয়ে প্রদান করা হয়েছে।

৭) চুক্তির শর্তাবলী

ক্যাপসিকাম প্রকল্পের জন্য বিনিয়োগকারীরা গ্রো আপের সাথে একটি মুরাবাহা চুক্তি (উৎপাদন-বিক্রয়) চুক্তিতে প্রবেশ করবেন। এতে একটি "উৎপাদন-বিক্রয়" প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত থাকবে যেখানে বিনিয়োগকারীরা প্রথমে গ্রো আপ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ক্যাপসিকাম চাষে বিনিয়োগ করবেন এবং গ্রো আপ বিপণন দল কর্তৃক ক্যাপসিকামের বিক্রয় নিশ্চিত করবেন।

গ্রো আপ বিনিয়োগকারীদের জন্য এজেন্ট হিসেবে কাজ করবে, ক্যাপসিকাম চাষ করবে, বিনিয়োগকারীদের পক্ষে প্রয়োজনীয় মালিকানা এবং সম্পদের দখলের ঝুঁকি গ্রহণ করবে এবং তারপর তালিকাভুক্ত ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করবে।

৮) ঝুঁকির কারণ

আমাদের গণনা অনুসারে, ঝুঁকির কারণ ৫% হলেও, গ্রো আপের ক্যাপসিকাম বিশেষজ্ঞ দল উপরে উল্লিখিত বিষয়গুলির সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকি কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম হবে।

৯) অর্থ প্রদানের বিলম্ব

গ্রো আপ ব্যবসার প্রত্যাশিত রিটার্নের একটি অভ্যন্তরীণ বিশ্লেষণ পরিচালনা করেছে এবং আশা করে যে কোনও অপ্রত্যাশিত ঝুঁকির কারণ বাদ দিয়ে সময়মতো পরিশোধ করতে সক্ষম হবে।

১০) নিরাপত্তা

গ্রো আপ বিনিয়োগকারীদের নিম্নলিখিত নথি প্রদান করে:

- চুক্তিপত্র (৩০০ টাকার স্ট্যাম্প)

- নিরাপত্তা চেক

- অর্থের রসিদ

- জামিনদার

- অনুমোদিত দলিলের অনুলিপি

1)As this is a Murabaha contract (production and sale), there is no opportunity for an emergency exit for investors. We will cultivate the capsicum and sell them to Grow Up enlisted merchants. Therefore, we cannot return your investment amount before the project closure.

2) Duration of Investment

The total investment amount will be - 1,22,35,000

This investment will be for 3 Months.

3) Projected ROI(Return of Investment)

The return on investment (ROI) will be 37% annually. In three (3) months, the investor will receive a halal dividend of 9.25% (excluding service charges).

4) Investment Part

Here, the minimum investment would be 16,000 TK, or investors can invest up to the project limit. Halal dividends will be disbursed every three months.

For example, if someone invests 100,000 TK (one lakh taka), they will receive 137,000 TK, excluding service charges (100,000 TK as the investment part and 37,000 TK as the profit part in a year).

5) Loss Sharing

Grow Up is a Shariah-compliant project, and according to the Murabaha Principle, investors bear no responsibility for any business losses after transferring the liability to the Grow Up authority. Any losses incurred after handing over the product to the agent/merchant are not shared with the investors. Therefore, there will be no loss sharing from the business after the handover of the product to the merchant.

6) Service Charge

Grow Up will apply a 5% service charge on investors' profit. It should be noted that all of the mentioned ROI above are provided after excluding this service charge.

7) Contract Conditions

The investors will enter into a Murabaha Agreement (production-sale) contract with Grow Up for the Capsicum Project. It will entail a "production-and-sell" process where investors will first invest in cultivating Capsicum through Grow Up Authority and ensure the sale of the Capsicum by the Grow Up marketing team.

Grow Up will act as an agent for the investors, cultivating the Capsicum, assuming necessary ownership and risk of asset possession on behalf of the investors, and then selling them to enlisted merchants.

8) Risk Factor

According to our calculations, although the risk factor is 5%, GrowUp's Capsicum Expert team would be able to effectively manage the risk associated with those matters, as mentioned above.

9) Payment Delay

Grow Up has conducted an in-house analysis of the projected returns of the business and expects to be able to repay on time, barring any unforeseen risk factors.

10) Security

Grow Up provides the following documents to investors:

- Contract Deed (300 tk Stamp)

- Security cheque

- Money Receipt

- Guarantor

- Copy of the Authorized deed

1 Answer

0 votes
by (660,840 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://www.ifatwa.info/61392/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
ব্যবসার ক্ষেত্রে এক পক্ষের মাল,অপর পক্ষের শ্রম দেওয়াকে মুদারাবা বলা হয়।
এটি জায়েজ আছে। 
,
মুদারাবার ক্ষেত্রে শরীয়তের উসুল হলো যাহা লাভ হবে,তাহা শতকরা হারে উভয়ের মাঝে বন্টন করার চুক্তি করতে হবে।
কোনো নির্দিষ্ট টাকার চুক্তি করা যাবেনা,লোকসান হলে আগে লাভের টাকা থেকে সেটা পূরন করা হবে,অতঃপর মূলধন থেকে পূরন করা হবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ     
بَاب الشَّرِكَةِ وَالْمُضَارَبَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو السَّائِبِ، سَلْمُ بْنُ جُنَادَةَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ اشْتَرَكْتُ أَنَا وَسَعْدٌ، وَعَمَّارٌ، يَوْمَ بَدْرٍ فِيمَا نُصِيبُ فَلَمْ أَجِئْ أَنَا وَلاَ عَمَّارٌ بِشَىْءٍ وَجَاءَ سَعْدٌ بِرَجُلَيْنِ .
শারীকাত (অংশিদারী) ও মুদারাবা ব্যবসা
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বদর যুদ্ধের দিন সাদ (রাঃ) , আম্মার (রাঃ) ও আমি গানীমাতের মালের ব্যাপারে অংশীদার হই (এই মর্মে যে, আমরা যা পাবো তা তিনজনে ভাগ করে নিবো)। আম্মার ও আমি কিছুই আনতে পারিনি। অবশ্য সাদ (রাঃ) দু’জন যুদ্ধবন্দী নিয়ে আসেন।
নাসায়ী ৪৬৯৭, আবূ দাউদ ৩৩৮৮, বায়হাকী ফিস সুনান ৪/১৯৪, ইরওয়া ১৪৭৪। 

 مَالِك وَجْهُ الْقِرَاضِ الْمَعْرُوفِ الْجَائِزِ أَنْ يَأْخُذَ الرَّجُلُ الْمَالَ مِنْ صَاحِبِهِ عَلَى أَنْ يَعْمَلَ فِيهِ وَلَا ضَمَانَ عَلَيْهِ وَنَفَقَةُ الْعَامِلِ فِي الْمَالِ فِي سَفَرِهِ مِنْ طَعَامِهِ وَكِسْوَتِهِ وَمَا يُصْلِحُهُ بِالْمَعْرُوفِ بِقَدْرِ الْمَالِ إِذَا شَخَصَ فِي الْمَالِ إِذَا كَانَ الْمَالُ يَحْمِلُ ذَلِكَ فَإِنْ كَانَ مُقِيمًا فِي أَهْلِهِ فَلَا نَفَقَةَ لَهُ مِنْ الْمَالِ وَلَا كِسْوَةَ قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ بِأَنْ يُعِينَ الْمُتَقَارِضَانِ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا صَاحِبَهُ عَلَى وَجْهِ الْمَعْرُوفِ إِذَا صَحَّ ذَلِكَ مِنْهُمَا قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ بِأَنْ يَشْتَرِيَ رَبُّ الْمَالِ مِمَّنْ قَارَضَهُ بَعْضَ مَا يَشْتَرِي مِنْ السِّلَعِ إِذَا كَانَ ذَلِكَ صَحِيحًا عَلَى غَيْرِ شَرْطٍ قَالَ مَالِك فِيمَنْ دَفَعَ إِلَى رَجُلٍ وَإِلَى غُلَامٍ لَهُ مَالًا قِرَاضًا يَعْمَلَانِ فِيهِ جَمِيعًا إِنَّ ذَلِكَ جَائِزٌ لَا بَأْسَ بِهِ لِأَنَّ الرِّبْحَ مَالٌ لِغُلَامِهِ لَا يَكُونُ الرِّبْحُ لِلسَّيِّدِ حَتَّى يَنْتَزِعَهُ مِنْهُ وَهُوَ بِمَنْزِلَةِ غَيْرِهِ مِنْ كَسْبِهِ 
মালিক (রহঃ) বলেনঃ মুযারাবাত বা শরীকী কারবার এইভাবে বৈধ যে, কেহ কাহারও নিকট হইতে এই শর্তে টাকা নেয় যে, সে শ্রম ও মেহনত করিবে। ক্ষতি হইলে সে দায়ী থাকিবে না। সফরে খাওয়া-দাওয়া এবং বহন খরচ ও অন্যান্য বৈধ খরচ ঐ মাল হইতে নিয়ম মাফিক ব্যয় করা হইবে মূলধন অনুযায়ী। অবশ্য অর্থ গ্রহণকারী আবাসে থাকিলে মূলধন হইতে ব্যয় করিতে পারবে না।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি অর্থ গ্রহণকারী অর্থদাতাকে, অর্থদাতা অর্থ গ্রহণকারীকে তাহার শ্রমের পরিমাণ মতো কোন শর্ত ব্যতীত সাহায্য করে তবে তাহাতে কোন ক্ষতি নাই। যদি অর্থদাতা অর্থ গ্রহণকারী হইতে শর্ত ব্যতীত কোন বস্তু খরিদ করে তবে ইহাতেও কোন ক্ষতি নাই।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি এক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তিকে এবং স্বীয় দাসকে শরীকী কারবারের জন্য অর্থ দেয় এবং এই শর্ত করে যে, উভয়ই ইহাতে কাজ করিবে, তবে তাহা জায়েয আছে। কারণ নির্ধারিত লভ্যাংশের মালিক ক্রীতদাস হইবে, তাহার প্রভু উহা ছিনাইয়া লইতে পরিবে না, এই মালের স্বত্বাধিকারী ক্রীতদাসই থাকিবে।
(মুয়াত্তা মালিক ১৩৮৯)

বিস্তারিত জানুনঃ  

যেই পরিমাণ লাভ নেয়ার চুক্তি করা হবে, লোকসানের ক্ষেত্রেও একই পরিমাণ নির্দিষ্ট হবেনা।
বরং এখানে যে যেই পরিমান টাকা ইনভেস্ট করেছে,সেই হারেই লোকসানে ভাগীদার হতে হবে।

উদাহরণঃ-
দুইজন ব্যাক্তি উভয়েই ৫০% টাকা দিয়ে শরিকানা ব্যবসা করছে।
এখানে উভয়ে টাকা দিলেও ব্যবসার দেখভাল একজন করে অপরজন করেনা,অর্থাৎ একজন শ্রম দেয়,অপরজন শ্রম দেয়না।
তাই তাদের মাঝে লভ্যাংশ এভাবে নির্দিষ্ট করা হয়েছে যে যে ব্যবসায় টাকা লাগানোর পাশাপাশি উক্ত ব্যবসায় দেখাশোনার কাজও করছে,তার লভ্যাংশ হলো ৬০%। 
আর যে ব্যাক্তি শুধু ৫০% টাকা দিয়েছে,উক্ত ব্যাবসায় কাজ করছেনা,তার লাভ ৪০%।

এখন উক্ত ব্যবসায় লোকসানের ক্ষেত্রে উভয়েই যেই টাকা ইনভেস্ট করেছিলো সেদিক লক্ষ্য করে লোকসানে ভাগীদার হতে হবে।

অর্থাৎ উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু উভয়েই ৫০% টাকা দিয়ে শরিক হয়েছিলো,তাই এখন লোকসানে উভয়ে ৫০% হারেই শরীক হবে। 

بدائع الصنائع:
"إذا عرف هذا فنقول: إذا شرطا الربح على قدر المالين متساويًا أو متفاضلًا، فلا شكّ أنه يجوز و يكون الربح بينهما على الشرط سواء شرطا العمل عليهما أو على أحدهما و الوضيعة على قدر المالين متساويًا و متفاضلًا؛ لأنّ الوضيعة اسم لجزء هالك من المال فيتقدر بقدر المال."
(كتاب الشركة، فصل في بيان شرائط جواز أنواع الشركة، 6/62 ط:سعید)
সারমর্মঃ-
আর লোকসান হলে তাদের ইনভেস্ট কৃত সম্পদের হিসেবে তারা উভয়ে ভাগীদার হবে 

"লোকসানের ক্ষেত্রে আগে লভ্যাংশ থেকে ক্ষতিপূরণ করে তারপর মূলধন থেকে,,"
এর ব্যাখ্যা হলো,
মুদারাবা পদ্ধতিতে ব্যবসায় যদি লোকসান হয়,সেক্ষেত্রে এই ব্যবসা শুরুর পর প্রথমবারেই তাদের লোকসান হয়,সেক্ষেত্রে তো তাদের কোনো লাভই নেই।
তাই সরাসরি মূলধন থেকে ক্ষতিপূরণ হবে।
কিন্তু যদি আগে থেকেই ব্যবসা চলে, এখন লোকসান হয়েছে, সেক্ষেত্রে আগে তো লাভও হয়েছিলো,(যদিও তাহা বন্টনকৃত হোক) সেই আগের লাভের টাকা হতে লোকসানের ক্ষতিপূরণ করতে হবে।
অতঃপর মূলধন হতে। 

تبيين الحقائق شرح كنز الدقائق وحاشية الشلبي: 
"قال - رحمه الله - (وما هلك من مال المضاربة فمن الربح)؛ لأنه تابع ورأس المال أصل لتصور وجوده بدون الربح لا العكس فوجب صرف الهالك إلى التبع لاستحالة بقائه بدون الأصل كما يصرف الهالك العفو في الزكاة قال - رحمه الله - (فإن زاد الهالك على الربح لم يضمن المضارب)؛ لأنه أمين فلا يكون ضمينا للتنافي بينهما في شيء واحد".
(کتاب المضاربۃ،باب المضارب یضارب،ج:5،ص:67،ط:المطبعة الكبرى الأميرية - بولاق، القاهرة) 
সারমর্মঃ-
মুদারাবার সম্পদ হয়ে যাহা লোকসান হবে বা ক্ষতিগ্রস্ত হবে,তাহা লভ্যাংশ থেকে পূরন হবে।
কেননা সেটা অনুগত,আর মূলধন হলো আসল।
যদি লাভ থেকে ক্ষতি বেশি হয়,সেক্ষেত্রে বাকি টুকু মূলধন থেকে পূরন করা হবে।

এক্ষেত্রে যে ব্যবসায় শ্রম দিচ্ছে,সে যদি শুধু শ্রমই দিয়ে থাকে,ইনভেস্ট না করে থাকে,তাহলে তার তো মূলধন নেই,তাই সে উক্ত লোকসানে ভাগীদার হবেনা। 

تنویر الابصار مع الدر المختار:
"(وما هلك من مال المضاربة يصرف إلى الربح) ؛ لأنه تبع (فإن زاد الهالك على الربح لم يضمن) ولو فاسدة من عمله؛ لأنه أمين (وإن قسم الربح وبقيت المضاربة ثم هلك المال أو بعضه ترادا الربح ليأخذ المالك رأس المال وما فضل بينهما، وإن نقص لم يضمن) لما مر"۔
(کتاب المضاربۃ،باب المضارب یضارب،فصل فی المتفرقات فی المضاربۃ،ج:5،ص:656،ط:سعید)
সারমর্মঃ-
মুদারাবার সম্পদ হয়ে যাহা লোকসান হবে বা ক্ষতিগ্রস্ত হবে,তাহা লভ্যাংশের দিকে ফিরবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
"গ্রো আপ কর্তৃপক্ষের কাছে দায় হস্তান্তরের পরে বিনিয়োগকারীদের কোনও ব্যবসায়িক ক্ষতির জন্য কোনও দায়বদ্ধতা নেই। এজেন্ট/বণিকের কাছে পণ্য হস্তান্তরের পরে যে কোনও ক্ষতি বিনিয়োগকারীদের সাথে ভাগ করা হয় না। অতএব, পণ্য বণিকের কাছে হস্তান্তরের পরে ব্যবসা থেকে কোনও লোকসান ভাগাভাগি করা হবে না"

এক্ষেত্রে যেহেতু বিনিয়োগ কারীরা লোকসানে শরীক হচ্ছেনা,সুতরাং এটি মুদারাবার আইনের বিপরিত হওয়ায় সেখানে বিনিয়োগ করা জায়েজ নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...