আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
16 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (34 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ
আমার ৬ লাখ টাকা আছে এবং ৮-৯ ভরি স্বর্ণ আছে। এমতাবস্থায় আমার হজ ফরজ হয়েছে। কিন্তু মেয়েদের তো মাহরাম ছাড়া হজ হয় না। আমার স্বামী ওতটা দ্বীনদার নয়। তার হজ্জ করার মতো টাকা থাকলেও সে নিজের টাকায় এখন যাবে না। কিন্তু আমি তার সব খরচ দিলে তখন যাবে।

 ৬ লাখে তো দুজনের হজ হবে না। ৬ লাখে দুজনের ওমরা হবে। সুতরাং হজ না করে দুজন ওমরা করে আসলে কি সেটা উত্তম হবে? নাকি আমার স্বামীর জন্য টাকা আমাকেই ম্যানেজ করে সে সহ হজে যেতে হবে? আমার স্বর্ণ বিক্রি করলে দু'জন যাওয়ার মতো টাকা হবে। কিন্তু আমার ছোট ছেলে ও মেয়ে আছে তাদের ভবিষ্যতের জন্য সোনা গুলো রেখেছি।

1 Answer

0 votes
by (683,400 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

মাহরাম থাকা সফরের জন্য শর্ত। হজ্বের জন্য নয়। তাইতো সফরের দূরত্ব থেকে কম দূরত্বে থাকা মহিলাদের জন্য হজ্ব ফরয হতে মাহরাম থাকা জরুরী নয়। সে সকল মহিলা মাহরাম পুরুষ ছাড়াই একাকি হজ্ব করতে পারবে। 

তবে সফরের দূরত্ব (৭৮ কি.মি.) পরিমাণ দূরে যে সকল মহিলারা বসবাস করে যেমন বাংলাদেশী মহিলা, তাদের উপর হজ্ব আদায় করা ফরয হয়না মাহরাম না থাকলে, কিন্তু হজ্বের অন্যান্য শর্ত পাওয়া গেলে মূল হজ্ব তার উপর আবশ্যক হয়, কিন্তু আদায় করা ফরয হয়না।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
عن أبي سعيد الخدري قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم لا يحل لإمرأة تؤمن بالله واليوم الآخر أن تسافر سفرا يكون ثلاثة أيام فصاعدا إلا ومعها أبوها أو ابنها أو زوجها أو أخوها أو ذو محرم منها

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ তাআলা এবং কিয়ামত দিবসের উপর ঈমান রাখেএমন কোন মহিলার জন্য জায়েজ নয়, তিন দিন বা এর চেয়ে অধিক দিনের সফর করে অথচ তার সাথে তার পিতা, তার ছেলে, বা তার স্বামী বা তার ভাই কিংবা কোন মাহরাম না থাকে। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৪২৩}

فى الهندية- وَمِنْهَا الْمَحْرَمُ لِلْمَرْأَةِ شَابَّةً كانت أو عَجُوزًاإذَا كانت بَيْنَهَا وَبَيْنَ مَكَّةَ مَسِيرَةُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ هَكَذَا في الْمُحِيطِ وَإِنْ كان أَقَلَّ من ذلك حَجَّتْ بِغَيْرِ مَحْرَمٍ كَذَا في الْبَدَائِعِ (الفتوى الهندية-2/218-219
যার সারমর্ম হলো হজ ফরজ হওয়ার অন্যতম একটি শর্ত হলো মাহরাম থাকা,,,,      
( ফাতওয়ায়ে আলমগীরী-১/২১৮-২১৯)
বাদায়েউস সানায়ে-৩/৪৬৫
 আল বাহরুর রায়েক-২/৫৫২

  يُشْتَرَطُ فِي حَجِّ الْمَرْأَةِ مِنْ سَفَرِ زَوْجٍ أَوْ مَحْرَمٍ بَالِغٍ عَاقِلٍ غَيْرِ مَجُوسِيٍّ وَلَا فَاسِقٍ مَعَ النَّفَقَةِ عَلَيْهِ وَأَطْلَقَ الْمَرْأَةَ فَشَمِلَ الشَّابَّةَ وَالْعَجُوزَ لِإِطْلَاقِ النُّصُوصِ (البحر الرائق، كتاب الحج-2/552، المحيط البرهانى، كتاب الحج، الفصل الأول-3/394
হজের সফরে মহিলাদের জন্য স্বামী অথবা প্রাপ্ত বয়স্ক জ্ঞানী মাহরাম থাকা শর্ত,,,,  

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এক্ষেত্রে ওমরা আদায় করলে যথেষ্ট হবে না বরং আপনাদেরকে হজ্ব আদায় করতে হবে।

যেহেতু আপনার উপরেও হজ ফরজ আপনার স্বামীর উপরেও হজ ফরজ, সুতরাং উভয়কেই হজ্বে যেতে হবে।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্বামীর উপর হজ ফরজ থাকা সত্ত্বেও স্বামী যেহেতু যেতে চাচ্ছে না, সুতরাং আপনি অন্য মাহরামের জন্য অপেক্ষা করবেন।

আপনার ছেলে বা আপনার ভাই বা আপনার বাবা বা আপনার চাচা এরকম অন্য কোন মাহরাম পুরুষ হজ্বে গেলে আপনি তার সাথে হজ্বে যাবেনা।

সুতরাং বর্তমানে আপনার হজ্ব ফরজ হলেও তাহা আদায় করা এখনই আপনার উপর জরুরী নয়।

মাহরাম পুরুষ ম্যানেজ হলে তখন হজ্ব আদায় করা আবশ্যক হবে,তখ হজ্বে যাবেন।

আপনার উপর আবশ্যক নয়, নিজের টাকা দিয়ে স্বামীকে হজ্ব করানো।এটি আপনার উপর আবশ্যক নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 249 views
...