আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
14 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমি হোস্টেল এ থাকি।

 ---হোস্টেলে এক রুমে চার জন থাকি। এখন আমি নামাজ পড়ার সময় ঠোট নাড়িয়ে আস্তে আস্তেই  সুরা পড়ি। মানে ফিস ফিস করে পড়ার মতন পড়ি। একবারে সাউন্ড হয় না। এভাবে নামাজ পড়লে কি নামাজ হবে?

1 Answer

0 votes
ago by (85,110 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/5508/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

মহিলারা  সকল নামাজেই এই রকম আস্তে আওয়াজে তেলাওয়াত করবে, যেমনটি পুরুষরা আস্তে কেরাতের নামাজে পড়ে থাকে।

অর্থাৎ নিজ কানে যেনো আওয়াজটি  আসে।   

কখনো যদি আবদ্ধ ঘরে যেখানে কোনো পুরুষ নেই, জোড়ে আওয়াজে পড়ে, তাহলেও নামাজ হয়ে যাবে। নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে না। 

اعلم أنہماختلفوا في حد وجود القراء ة علی ثلاثة أقوال: فشرط الہندواني والفضیلي لوجودہا: خروج صوت یصل إلی إذنہ وبہ قال الشافعي واختار شیخ الإسلام وقاضي خاں وصاحب المحیط والحلواني قول الہندواني کذا في معراج الدرایة، ونقل في المجتبی عن الہندواني أنہ لا یجزیہ مالم تسمع أذناہ (سامي: ۲/۲۵۲، کتاب الصلاة باب صفة الصلاة، ط: زکریا دیوبند)

যার সারমর্ম হলো কান পর্যন্ত যেনো আওয়াজ আসে, এরকম স্বরে কিরাত পড়তে হবে। ফাতাওয়ায়ে শামী ১;৫০৪

দারুল উলুম দেওবন্দ এর ফাতওয়ার লিংকঃ    

https://darulifta-deoband.com/home/ur/Salah-Prayer/24699 

.

কেরাত পড়ার সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো এমনভাবে পড়া, যেন সে নিজে শুনতে পায়। আর সর্বনিম্ন এতটুকু তো অবশ্যই জরুরি যে, সহীহ-শুদ্ধভাবে হরফ উচ্চারণ করা হবে এবং ঠোঁট-জিহবার নড়াচড়া  দেখা যাবে। 

অতএব কেরাত পড়ার সময় জিহবা ও ঠোঁট ব্যবহার করে মাখরাজ থেকে সহীহ-শুদ্ধভাবে হরফ উচ্চারণ করতে হবে। অন্যথায় শুধু মনে মনে পড়ার দ্বারা কেরাত আদায় হবে না।

.

عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، قَالَ سَأَلْنَا خَبَّابًا أَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ قَالَ نَعَمْ. قُلْنَا بِأَىِّ شَىْءٍ كُنْتُمْ تَعْرِفُونَ قَالَ بِاضْطِرَابِ لِحْيَتِهِ.

আবূ মা‘মার (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা খাববাব (রাযি.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি যুহর ও ‘আসরের সালাতে কিরাআত পড়তেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমরা প্রশ্ন করলাম, আপনারা কী করে তা বুঝতেন? তিনি বললেন, তাঁর দাড়ির নড়াচড়ায়। (বুখারী শরীফ ৭৪৬, (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭২৪)

,

★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

.

কমপক্ষে জিহবা ও ঠোট নাড়িয়ে আস্তে আওয়াজে উচ্চারণ করতে হবে।

এতটুকু আওয়াজ হতে হবে, যে ফ্যান বা অন্যান্য আওয়াজ যদি সেখানে না থাকতো, তাহলে আস্তে হলেও নিজ কান পর্যন্ত সেই আওয়াজ আসতো। 

সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি যেহেতু জিহবা ও ঠোট নাড়িয়ে আস্তে আস্তে আওয়াজে উচ্চারণ করে তেলাওয়াত করে থাকেন তাই আপনার নামাজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

কিরাআত সংক্রান্ত আরো জানুনঃ   

https://ifatwa.info/5375/ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...