আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
451 views
in সালাত(Prayer) by (20 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর

এডমিশন পরীক্ষার কারনে আমাকে রাত জেগে পরতে হয়..

এখন একজনের কাছে শুনলাম তাহাজ্জুদ নামাজ নাকি ঘুম থেকে উঠে পরতে হয়, ঘুম না হলে বা না ঘুমিয়ে যদি রাত 3 টায় ও যদি তাহাজ্জুদ পরি তাহলে নাকি হবে না...

ঘুমানো নাকি বাধ্যতামূলক ..

এটা কি সঠিক? এমন কোনো হাদীস তো আমি কখনো শুনি নাই...

দয়া করে আমাকে একটু বুঝিয়ে দিন হুজুর...

জাজাকাল্লাহ
closed

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
selected by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4385 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
তাহাজ্জুদের পূর্বে ঘুমানো উত্তম হলেও তাহাজ্জুদের পূর্বে ঘুমানো জরুরী নয়।এব তাহাজ্জুদের পরে ঘুমানোও জরুরী নয় বরং উত্তম।(আহসানুল ফাতাওয়া ৩/৪৯৩)
কেননা আল্লাহ পাক দিনকে বানিয়েছেন কাজ করার জন্য এবং রাত্রকে বানিয়েছেন বিশ্রাম গ্রহণের জন্য। তাই রাত্রে আমাদেরক ঘুমাতে হবে। এবং শেষরাত্রে এশা'র ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর থেকে নিয়ে ফজরের ওয়াক্ত শুরুর পূর্ব পর্যন্ত যে কোনো এক মুহুর্তে ২-১২/২০রা'কাত নামায পড়তে হবে এবং পড়াটা সুন্নাত।

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ- 
ﺇِﻥَّ ﻧَﺎﺷِﺌَﺔَ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ ﻫِﻲَ ﺃَﺷَﺪُّ ﻭَﻁْﺀًﺍ ﻭَﺃَﻗْﻮَﻡُ ﻗِﻴﻠًﺎ
নিশ্চয় এবাদতের জন্যে রাত্রিতে উঠা প্রবৃত্তি দলনে সহায়ক এবং স্পষ্ট উচ্চারণের অনুকূল।(সূরা মুযযাম্মিল-০৬)

ইমাম কুরতুবী রাহ বলেনঃ-
ﻭﻗﺎﻝ ﺃﻳﻀًﺎ : ﻭﻗﺎﻟﺖ ﻋﺎﺋﺸﺔ، ﻭﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺃﻳﻀًﺎ، ﻭﻣﺠﺎﻫﺪ : ﺇﻧﻤﺎ ﺍﻟﻨﺎﺷﺌﺔ ﺍﻟﻘﻴﺎﻡ ﺑﺎﻟﻠﻴﻞ ﺑﻌﺪ ﺍﻟﻨﻮﻡ . ﻭﻣﻦ ﻗﺎﻡ ﺃﻭﻝ ﺍﻟﻠﻴﻞ ﻗﺒﻞ ﺍﻟﻨﻮﻡ ﻓﻤﺎ ﻗﺎﻡ ﻧﺎﺷﺌﺔ .
হযরত আয়েশা ও ইবনে আব্বাস রাঃ বলেনঃ "নাশিয়াহ"হল ঘুমের পর তাহাজ্জুদের নামজের জন্য দাড়ানো।যে ঘুমানো পূর্বে নামাযে দাড়াবে সে নাশিয়াহ হবেনা।

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ- 
ﻭَﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ ﻓَﺘَﻬَﺠَّﺪْ ﺑِﻪِ ﻧَﺎﻓِﻠَﺔً ﻟَّﻚَ ﻋَﺴَﻰ ﺃَﻥ ﻳَﺒْﻌَﺜَﻚَ ﺭَﺑُّﻚَ ﻣَﻘَﺎﻣًﺎ ﻣَّﺤْﻤُﻮﺩًﺍ
রাত্রির কিছু অংশ কোরআন পাঠ সহ জাগ্রত থাকুন। এটা আপনার জন্য অতিরিক্ত। হয়ত বা আপনার পালনকর্তা আপনাকে মোকামে মাহমুদে পৌঁছাবেন।(সূরা বনি ঈসরাইল-৭৯)

ইমাম কুরতুবী রাহ বলেনঃ
ﻭﺍﻟﺘﻬﺠﺪ ﺍﻟﺘﻴﻘﻆ ﺑﻌﺪ ﺭﻗﺪﺓ،
তাহাজ্জুদ হচ্ছে কিছু ঘুমানোর পর জাগ্রত হওয়া (ও নামাজ পড়া)।

যেহেতু উক্ত ব্যক্তির তাহাজ্জুদের নামায পড়ার ইচ্ছা ও আগ্রহ রয়েছে, কিন্তু কোনো প্রয়োজনে রাত্রিতে জেগে থাকতে হয়,বা কোনো কারণে কেউ হঠাৎ কেউ জেগে রয়েছে তাহলে সেও তাহাজ্জুদের পূর্ণ সওয়াব পাবে।

কোনো কাজ বা প্রয়োজন না থাকলে এ'শার নামাযের পর ঘুমিয়ে যাওয়াই প্রত্যেক মুসলমানের জন্য উচিৎ।এমনকি অনেকে এ'শার পর বেহুদা জেগে থাকাকে মাকরুহ মনে করেন।

রাত ১২-১২:৩০ এর সময়ে এশার নামায আদায় করার তাহাজ্জুদ পড়া যাবে। আল্লাহ-ই ভালো জানেন। (শেষ)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (20 points)
জাজাকাল্লাহ হুজুর

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...