আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
228 views
in সালাত(Prayer) by (27 points)
reshown by
আসসালামু 'আলাইকুম।
✓রমাদ্বনে তারাবীহ এর পরই তো বিতরের জামা'আত হয়। তাহাজ্জুদ পড়তে চাইলে বিতরের জামা'আত কি পরিত্যাগ করবো?? এটা কি ঠিক হবে?
আর বিতর জামা'আতে পড়ার পর আবার রাতে তাহাজ্জুদ পড়লে কি তা মাকরুহ হবে?  কি করা উচিত?
✓তারাবীহ চলাকালীন তো অনেকের ওজু চলে যায়। ওজু করে আসতে আসতে হয়ত কখনও ২ রাকা'আত, কখনও ৪ রাকা'আত ছুটে যায়।কিন্তু তারাবীহ এর পরপরই তো বিতরের জামা'আত হয়।সেক্ষেত্রে, বিতরের জামা'আতের পর মিস হওয়া তারাবীহ এর রাকা'আত গুলো পড়া যাবে কিনা,পড়তে হবে কিনা।জানাবেন দয়া করে।

✓ওজুর শেষের দিকে এসে মনে হলো যে মাথা মাসেহ করিনি।তখন শুধু আরেকবার মাথা মাসেহ করে নিলে ওজু হয়ে যাবে কিনা?
✓তাহাজ্জুদ কিংবা অন্য নফল নামাজের একই রাকা'আতে অনেকগুলো সুরা(ছোট) পড়া যাবে কিনা?কিংবা একই রাকা'আতে অনেকগুলো ছোট সুরা + অন্য বড় সুরার কিছু অংশ পড়া যাবে কিনা?  এভাবে রাকা'আত দীর্ঘায়ত করা যাবে কিনা?
✓প্রথম রাকা'আতে যেসব সুরা পড়া হয়েছে,পরের রাকা'আতেও একই সুরাগুলো পড়া যাবে কিনা?
by (27 points)
দয়া করে জানাবেন

1 Answer

0 votes
by (675,720 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
রমজানে বিতর নামাজ জামা'আতের সহিত পড়ার কথা হাদীস শরীফে এসেছেঃ-

عن عبد العزيز بن رفيع قال كان ابى بن كعب يصلى بالناس فى رمضان بالمدينة عشرين ركعة ويوتر بثلاثة

হযরত আব্দুল আজীজ বিন রফী থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ হযরত উবায় বিন কাব রাঃ লোকদেরকে রমজান মাসে মদীনা মুনাওয়ারায় বিশ রাকাত তারাবীহ এবং তিন রাকাত বিতির নামায পড়াতেন। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা-২/৩৯৩}

عن سعيد بن ابى عبيد ان على بن ربيعة كان يصلى بهم فى رمضان خمس ترويحات ويوتر بثلاث

হযরত সাঈদ বিন আবু উবায়েদ থেকে বর্ণিত। হযরত আলী বিন রাবীয়া পাঁচ তারবিহা তথা বিশ রাকাত তারাবীহ এবং তিন রাকাত বিতির জামাতের সাথে পড়তেন। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা-২/৩৯৩}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
রমজানে বিতর নামাজ জামাতের সাথে পড়তেই হবে,এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
কেহ জামাতে বিতর না পড়ে রাতে তাহাজ্জুদের পর পড়তে পারেন,এতেও কোনো সমস্যা নেই।

আবার জামাতে বিতর পড়ার পর রাতে তাহাজ্জুদও পড়তে পারে।   
এতেও তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় হবে।

তবে যে ব্যাক্তি রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ নিশ্চিত পড়বে,তার জন্য তাহাজ্জুদের শেষে বিতর পড়াই উত্তম। 

বিতর নামাজকে রাতের শেষ নামাজ বানানোর হুকুম ওয়াজিব নয়,এটি মুস্তাহাব পর্যায়ের।  তাই জামায়াতের সাথে বিতর আদায়ের পরেও তাহাজ্জুদ পড়া জায়েজ হবে।
এতে কোনো সমস্যা নেই।

(০২)
এক্ষেত্রে আগে সেই তারাবিহ গুলো আদায় করবে,তারপর বিতর আদায় করবে।

বিতরের পরর বাকি তারাবিহ আদায়ের পদ্ধতিটি সুন্নাতের খেলাফ।

(০৩)
তখন শুধু আরেকবার মাথা মাসেহ করে নিলে ওজু হয়ে যাবে।

(০৪)
হ্যাঁ, পড়া যাবে। 
এভাবে এভাবে রাকা'আত দীর্ঘায়িত করা যাবে।

(০৫)
এটি ফরজ নামাজে মাকরুহ।
তবে নফল নামাজে এর অবকাশ রয়েছে।

বিনা ওযরে এমনটি না করারই পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...