আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
306 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
closed by

ক) আর্মস ফোর্সেস বা ক্যাডেট কলেজে অনেক মারে মানুষকে আবার গালিও দেয় বাজে ভাষায়, এইটা শরীয়তসম্মত? বিস্তারিত ব্যাখ্যা চাচ্ছি। কাউকে শাসন করে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এইসব কতটুকু  জায়েয?

খ) এরকম কাজ করলে মাফ কিভাবে পাওয়া যায়?

গ) কেউ এইসব জায়গায় কিভাবে তাহলে ইসলামের মতানুসারে চলবে। সম্ভবই তো না। কতটুকু ছাড় পাওয়া যাবে? কারন এইসব জায়গাতেও ইস্লামিক মানুষ দরকার।

ঘ)https://ifatwa.info/16653/?show=16653#q16653 
i)এখানে বলেছেন, ফরয নামাযের পরে মোনাজাত বিদয়াত। কিন্তু বলেছেন, মোনাজাত এর পক্ষে হাদিস আছে যইফ। আমলের উপর যইফ হাদিসের উপরে তো আমল করা যায় শুনেছিলাম। হালাল হারাম এর ব্যাপারে যইফ হাদিস চলে না জানতাম। 

ii) ফরয নামাযের পরের মাসনুন আমলে যে দোয়া আছে তা কি ভাবে পড়বো তাহলে? হাত না তুলেই? কিন্তু হাত তুলে মোনাজাতই উত্তম জানতাম। 

iii) ফরয নামাযের পরে একা একা হাত তুলে মোনাজাত করলেও কি সমস্যা? উক্ত লিংকের সালাফি আলেম তো সেটাও মানা করছেন। 

iv) যারা ফরয নামায পড়ে দোয়া পড়ে তাদের পিছে তো তাইলে নামায মাকরুহ এ তাহরীমী। তাইনা? কারন তারা বিদয়াত এ লিপ্ত।  

v) উপরের লিংকে আপনারা সালাফি আলেমদের মতামত কেন দিচ্ছেন? তারা তো অন্য অনেক জায়গায় মাযহাব থেকে ভিন্ন তখন তো তাদের মত নিচ্ছেন না। কারন কি? 

vi) আমাদের আইওএম এর মান্ডার মসজিদেও তো সবসময় ফরয নামাযের পরে দোয়া হয়। জুমার পরে জুবায়ের উস্তাদ মোনাজাত করেন। তাহলে উনারা আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাত এ নাই? কিভাবে কি? তারাও তো বিদয়াতি এই লিংকের বর্ণনা হিসেবে। যদিও আমি তা মনে করি না।

ঙ) প্রত্যেক ফরয নামাযের পরে মাসনুন দোয়া সব পড়তে তো অনেক সময় লাগে। আবার বলেছিলেন যে ফরয নামাযের পরে একটু পরেই সুন্নাত পড়ে নিতে। নাহলে মাকরুহ আমল হবে দেরী করা। কিন্তু সহিহ মুসলিম হাদিস ৫৯৪ এ আছে,  প্রত্যেক ফরয নামাযের পরে ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ ও ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পড়ার কথা। তাহলে বুঝা গেল, এইসব মাসনুন আমল ফরয নামাযের পরেই করতে হবে যা হাদিসে আছে। তাহলে আবার সুন্নাত নামায এইসব পড়ার পরে পড়লে মাকরুহ কেন হবে?

চ) ফরয নামাযে মুক্তাদির কেরাত পড়া লাগে না। পড়লে মাকরুহ। এইটা বলেছেন এক ফতোয়াতে।
আবার এইখানেরই আরেক ফতোয়াতে বলেছেন, হানাফি কিছু আলেম বলেন কেরাত পড়লে সমস্যা নাই। ব্যাপারটা কেমন হলো? একদল মাকরুহ, আরেকদল জায়েয? তাহকীক করে জানাবেন আশা করি। 

ছ) জুমার খুতবার সময় দুই রাকাত নামায পড়া হারাম হানাফি মাযহাব এ। কিন্তু এই সম্পর্কে হাদিসে এক সাহাবিকে তিনি খুতবার মাঝে নামায পড়তে বলেছিলেন। হাদিসের ব্যাখ্যায় বলা হয়, এইটা শুধু সেই সাহাবীর জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু এই কথাটা কোথা থেকে এবং কিভাবে বের হয়েছে যে তা শুধু সেই সাহাবির জন্যই ছিল, আর কেউ তা মেনে নামায পড়তে পারবে না। জানতে চাই বিস্তারিত। কারন একটা মাযহাব এ হারাম আর সবাই বলে জায়েয ব্যাপারটা ছোট না। 

জ) শেষ যুগে হেদায়েত আরব এর দিকে স্থানান্তরিত হবে। এই  হাদিসের ব্যাখ্যা জানতে চাই। (নাকি ইমাম মেহেদীর কথা বলা হয়েছে) (নাকি সালাফিরা যে সৌদি আরব থেকে উদ্ভূত সেদিকে ইঙ্গিত?) 

closed

1 Answer

+1 vote
by (707,240 points)
selected by
 
Best answer
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(ক)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/12004
(খ) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
(গ) সরকারের কাছে আমাদের আবেদন যে,দেশের সকল বিভাগে ইসলামিক কালচারকে বাস্তবায়ন করবে।
(ঘ)নামাযের পর সম্মিলিত মুনাজাত সম্পর্কে ফুকাহায়ে কিরামের ভিন্ন রকম পরস্পর বিরোধী মতামত পাওয়া যায়।
অধিকাংশ উলামায়ে কিরাম প্রচলিত পদ্ধতির মুনাজাতকে বিদ'আত আখ্যায়িত করেছেন।
(আহসানুল ফাতাওয়া , ৩য় খন্ড , পৃঃ ৬৯৮)অন্যদিকে কিছুসংখ্যক উলামায়ে কিরাম এটাকে মুস্তাহাব বলেছেন।(ইমদাদুল ফাতাওয়া-১ /৬৪৫ -৬৬৬)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/16653

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ফরয নামাযের পর সম্মিলিত মুনাজাত বৈধ ও জায়েয।তবে নামাযের অংশ মনে করা বিদআত।সুতরাং আপনার সবগুলি প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন আলহামদুলিল্লাহ।


(ঙ)
https://www.ifatwa.info/2293 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ করেছি যে,
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত
عن عائشة، قالت: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا سلم لم يقعد إلا مقدار ما يقول: «اللهم أنت السلام، ومنك السلام، تباركت يا ذا الجلال والإكرام»
তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাঃ ফরয নামাযে সালাম ফিরানোর পর 'আল্লাহুম্মা আনতাস-সালাম ওয়া মিনকাস-সালাম তাবারাকতা ইয়া যালজালালি ওয়াল ইকরাম' বলার পরিমাণ সময় ব্যতীত বসতেন না বরং পরবর্তী সুন্নত/নফল নামাযে দাড়িয়ে যেতেন।(যদি সুন্নত নফল থাকতো) (সুনানু ইবনি মা'জা-৯২৪(শামেলা)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি সহীহ মুসলিম শরীফের যে হাদীস উল্লেখ করেছেন,সেই হাদীসের অর্থ হল,ফরয এবং ফরয পরবর্তী সুন্নত নামাযের পর এই সমস্ত তাসবীহাতকে পড়া।


(চ)
প্রাণীদের বন্দী করে লালন পালন করা ও পোষা জায়েয রয়েছে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/4980

শখের বশে প্রাণীর হক আদায় পূর্বক লালন পালনে কোনো বাধা নেই।তবে টাকা কামানোর জন্য প্রাণীর লালন-পালন অনুচিত।

(ছ)
ফরয নামাযে মুক্তাদির জন্য কেরাত পড়া মাকরুহে তাহরিমী।এবং এটাই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

(জ)
আবুয্ যাহিরিয়্যাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي الزَّاهِرِيَّةِ، قَالَ كُنَّا مَعَ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُسْرٍ صَاحِبِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَجَاءَ رَجُلٌ يَتَخَطَّى رِقَابَ النَّاسِ فَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ بُسْرٍ جَاءَ رَجُلٌ يَتَخَطَّى رِقَابَ النَّاسِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالنَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم يَخْطُبُ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم " اجْلِسْ فَقَدْ آذَيْتَ "
তিনি বলেন, একদা জুমু‘আহর দিনে আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবী ‘আবদুল্লাহ ইবনু বুসর (রাঃ) এর সাথে ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে লোকদের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনে অগ্রসর হচ্ছিল। ‘আবদুল্লাহ ইবনু বুসর (রাঃ) বললেন, একদা জুমু‘আহর দিন এক ব্যক্তি লোকদের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে অগ্রসর হচ্ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন খুত্ববাহ দিচ্ছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি বসো, তুমি লোকদের কষ্ট দিয়েছো। (সুনানে আবি-দাউদ-১১১৮)
নাসায়ী (অধ্যায় : জুমু‘আহ, অনুঃ জুমু‘আহর দিন ইমামের মিম্বারে অবস্থানকালে মানুষের ঘার টপকিয়ে যাওয়া নিষেধ, হাঃ ১৩৯৭), আহমাদ (৪/১৮৮)

 উক্ত হাদীসে রাসূল সাঃ উক্ত ব্যক্তিকে নামায পড়ার কথা না বলে বরং বসে যাওয়ার কথা বলতেছেন। তাছাড়া বর্ণিত রয়েছে যে, 

আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। 
أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا قُلْتَ لِصَاحِبِكَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ أَنْصِتْ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ فَقَدْ لَغَوْتَ
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জুমু‘আহর দিন যখন তোমার পাশের মুসল্লীকে চুপ থাক বলবে, অথচ ইমাম খুৎবাহ দিচ্ছেন, তা হলে তুমি একটি অনর্থক কথা বললে।(সহীহ বুখারী-শামেলা- ৯৩৪)(মুসলিম ৭/৩, হাঃ ৮৫১, আহমাদ ৭৬৯০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৮৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরোক্ত হাদীসের প্রতি লক্ষ্য করলে বুঝা যায় যে, খুতবার সময়ে কথা না বলাই মূল বিধান। তবে এর ব্যতিক্রম কোনো হাদীসে আসলে তখন বাধ্য হয়ে মীমাংসার স্বার্থে বলতে হবে যে, এটা ঐ ব্যক্তির সাথে বিশেষ ভাবে খাস ছিল। 

(ঝ) এটা কোনো হাদীসের কথা আপনি বলছেন? আমাদেরকে রেফারেন্স দিয়ে বলতে হবে? তখন আমরা এর ব্যখ্যা খোজার চেষ্টা করবো। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (61 points)
জাযাকাল্লাহু খাইর শায়খ এবং প্রশ্নকর্তা মুহতারাম ভাই। আমি এই প্রশ্ন করার নিয়ত করেছিলাম, কিন্তু করা হয়নি। শায়খ একটু বলবেন কীভাবে সৈন্যদেরকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করা যায়? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার সৈন্যদের মনোবল বাড়াতে কি করতেন ? আমি আর্মি ও ক্যাডেট কলেজের এ সমস্ত নির্যাতন নিয়ে যার সাথেই এ পর্যন্ত কথা বলেছি সেই বলেছে এ সমস্ত মারধর ও গালিগালাজ যে সহ্য করতে পারবে না তার আর্মিতে আসার দরকার নেই। আর্মি মানসিকভাবে দুর্বল লোকের জন্য না। 

দেখুন শায়খ তারা মানসিকভাবে শক্তিশালী করার দোহাই দিয়ে আমাদের মজলুম ভাইদের (কিছু ক্ষেত্রে বোনদেরও) নির্যাতন করে যাচ্ছে। প্লিজ শায়খ আল্লাহর কাছে দুয়া করুন যেন আল্লাহ এসব ট্রেনিংদাতাদের হিদায়াত দান করেন। সাথে আপনি সাধ্যমত লোকদের নাসীহাহ দিন এ বিষয়ে । প্রশ্নকর্তা ভাই, আপনি যদি সেনাবাহিনীর কেউ হয়ে থাকেন, আমি আপনাকে অনুরোধ করছি এ বিষয়টা নিয়ে একটু ভাবার জন্য। আমাদের আল্লাহর কাছে এ ব্যাপারে জবাবদিহি করতে হবে। আল্লাহ যেন এরকম নির্যাতনের শিকার মানুষদের উপর রহম করেন । আমীন!
by (22 points)
আমি আর্মির কেউ না। কিন্তু আগে ক্যাডেট এ পড়ার কারণে এইসব কিছু জানি যা হয়। 
by (22 points)
উস্তাদ, কাউকে মারতে গেলে কি কি বিধি বিধান আছে তা যদি বলতেন। আমি মারা ও গালি দেওয়া দুইটাই জানতে চেয়েছিলাম। 
উল্লেখিত লিংকে শুধু গালি দেওয়ার ব্যাপার  আছে। মারার কথা  নাই।  জাযাকাল্লাহ খাইরান 
by (22 points)
ক) উস্তাদ, যদি যাদেরকে গালি বা মারা হয়েছে,  তাদের নামে সদকাহ করে দেওয়া হয়, কারন সবাইকে খুঁজে খুঁজে বের করে মাফ চাওয়াটা সহজ না। আর মনেও নাই কাকে গালি দেওয়া হয়েছে/মারা হয়েছে। কারন সেখানে পড়ে অনেক জন। কখন কার সাথে কেমন আচরণ করেছি দীর্ঘ 6 বছরে তা মনেও নাই। 

খ)আর তার পরেও সারা জীবনে কখন কার সাথে বাজে কথা বলছি তাও মনে নাই। এদের নামে সদাকাহ করতে থাকলে গুনাহ মাফ হবে না? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...