আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
78 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (87 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু। আমার কিছু প্রশ্ন ছিল। দয়া করে উত্তর জানাবেন।
১/ কাওকে জ্বীন আসর করলে অন্য সাধারণ মানুষ কিভাবে রুকিয়া করতে পারে??
২/ যারা রুকিয়া করেন, তাদের জন্য দুষ্ট খারাপ জ্বীন কে মেরে ফেলা কি জায়েজ??
৩/ Video Games খেলা কি কবীরাহ গুনাহ নাকি ছোট গুনাহ নাকি মাক্রুহ??
৪/ বর্তমানে বিজ্ঞান এর মাধ্যমে জানা গেছে বিড়ি সিগারেট খাওয়া অত্যন্ত ক্ষতিকর শরীর এর জন্য। তাও এটাকে খাওয়া মাক্রুহ এবং বিক্রি করা জায়েজ করা হয়েছে কেনো??
৫/ হাদিস এ এসেছে 'নেশাজাতীয় যেকোন বস্তুই হারাম।' তাহলে সিগারেট, জর্দা হারাম নয় কেন, নেশাজাতীয় হওয়া সত্ত্বেও??
৬/ জাল হাদিস এর মাধ্যমে দাওয়াতি কাজ করলে কি গুনাহ হবে, যেহেতু এটা এক প্রকার না জেনেই মিথ্যাচার??
৭/ উন্নত জীবন-যাপন এর আশায় কাফির মুশরীক দেশ এ প্রত্যাবর্তন কি জায়েজ?
জাযাকাল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (713,640 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/226 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই।এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।তবে গর্ভবর্তী মহিলার জন্য তাবিজ ব্যবহার জরুরী বা উত্তম বলে ইসলামী শরীয়তে কোনো কিছু নেই।তাবিজকে বিভিন্ন টিকামূলক ইনজেকশনের মত মনে করতে পারেন।যা দেওয়া বা না দেওয়া সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত বিষয়।যেমন নিম্নোক্ত হাদীসে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি নিজ নাবালিগ সন্তাদিকে তাবিজ লঠকিয়ে দিতেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়-

আমর ইবনে শুয়াইব তার সনদে বর্ণনা করেন,
ﻋﻦ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺷُﻌَﻴْﺐٍ ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ، ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ، ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻗَﺎﻝَ : ( ﺇِﺫَﺍ ﻓَﺰِﻉَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﻮْﻡِ ﻓَﻠْﻴَﻘُﻞْ : ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺎﺕِ ﻣِﻦْ ﻏَﻀَﺒِﻪِ ﻭَﻋِﻘَﺎﺑِﻪِ ﻭَﺷَﺮِّ ﻋِﺒَﺎﺩِﻩِ ، ﻭَﻣِﻦْ ﻫَﻤَﺰَﺍﺕِ ﺍﻟﺸَّﻴَﺎﻃِﻴﻦِ ﻭَﺃَﻥْ ﻳَﺤْﻀُﺮُﻭﻥِ ﻓَﺈِﻧَّﻬَﺎ ﻟَﻦْ ﺗَﻀُﺮَّﻩُ ) . . ﻓَﻜَﺎﻥَ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦُ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ، ﻳُﻠَﻘِّﻨُﻬَﺎ ﻣَﻦْ ﺑَﻠَﻎَ ﻣِﻦْ ﻭَﻟَﺪِﻩِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳَﺒْﻠُﻎْ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻛَﺘَﺒَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﺻَﻚٍّ ﺛُﻢَّ ﻋَﻠَّﻘَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﻋُﻨُﻘِﻪِ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ ঘুমে ভয় পায়, তখন সে যেন পড়ে-  'আউযু বিকালিমা-তিল্লাহিত-তাম্মাতি মিন গাদাবিহি ওয়া ই'ক্বাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ-শায়াতিনি,ওয়া আইয়াহদুরুন'  এই দু'আ পড়লে শয়তান কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি, তার সাবালক সন্তানাদিকে তা শিক্ষা দিতেন।এবং নাবালক সন্তাদির গলায় উক্ত দু'আ তাবিজ আকারে লিখে ঝুলিয়ে দিতেন।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২৪৭৭)
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি উনার নাবালক সন্তানদের গলায় তাবিজ ঝুলিয়ে দিতেন।হাদীসের সনদের উপর মুহাদ্দিসগণের কালাম রয়েছে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) কাওকে জ্বীন আসর করলে তখন কোনো আমলদার নেককার বুজুগের শরণাপন্ন হতে হবে। 
(২) যারা রুকিয়া করেন, তাদের জন্য দুষ্ট খারাপ জ্বীনকে মেরে ফেলা জায়েয হবে না। এবং এটা সম্ভবও না। 
(৩) যদি তাতে প্রাণীর ছবি থাকে, এবং মিউজিক থাকে, বিশেষ করে তাতে নারীদৃশ্য থাকে, তাহলে ভিডিও গেইম খেলা হারাম। 
(৪) কোনো জিনিষ খাওয়া মাকরুহ হলেও তাকে বিক্রি করা জায়েয। যেমন কচ্ছপ সাপ ইত্যাদি খাওয়া হারাম তবে বিক্রি করা জায়েয ।েকননা তা দ্বারা ভিন্ন ফায়দা গ্রহণ করা যায়। 
(৫)বলতে যদি তা ব্রেইনকে অবশ করে ফেলে তাহলে তা হারাম। কিন্তু এগুলো তো ব্রেইনকে অবশ করে না। তবে সিগারেট ভিন্ন কারণে মাকরুহে তাহরীমি। 
(৬জাল হাদীস জানার পর তাকে দাওয়াতের কাজের জন্য ব্যবহার করা গোনাহের কাজ।

(৭) শরয়ী প্রয়োজন ব্যতীত অমুসলিম দেশে বসবাস করা যাবে না।বিনা প্রয়োজনে যারা অমুসলিম দেশে বসবাস করবে,তাদের সম্পর্কে হাদীসে ধমকি এসেছে যে,রাসূলুল্লাহ সাঃ তাদের জন্য সুপারিশ করবেন না।বাস্তবে যে সুপারিশ করবেন না, এমনটা নয়,বরং এটা একটা ধমকি।কেননা অমুসলিম দেশে থাকা নিজের সন্তাদির জন্য হুমকি স্বরূপ।এমনকি নিজের ঈমান আমলের জন্যও হুমকি স্বরূপ। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/ 3447


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...