আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
319 views
in পবিত্রতা (Purity) by (30 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
শায়েখ, বারবার একই বিষয়ে প্রশ্ন করার জন্য আমি দুঃখিত। ব্যাপারটা নিয়ে পেরেশানি হচ্ছে।

কমোডে ইস্তিঞ্জা করার সময় নিচ থেকে নাপাক পানির ছিটা গায়ে লাগে। কিন্তু এটাকে ইস্তিঞ্জার সময় ব্যবহৃত সাধারণ গড়িয়ে পড়া পানি ভেবে প্রথমে পাত্তা দেইনি। ফলে পাক ভেবে ওই জায়গাটা ধোয়াও হয়নি। জায়গাটা ভেজা ছিল, এ অবস্থায়ই পায়জামা পরি, সেটিও ভিজে যায়। এ অবস্থায়ই চেয়ারে বসে পড়ি, সেটাও ভিজে যায়। (সবক্ষেত্রেই ভেজার পরিমাণ এক দিরহামের বেশি বলেই মনে হচ্ছে)
আবার কাপড়ের উপর দিয়ে ওই ভেজা স্থান স্পর্শ করি। হাত ভিজলেও (পাক ভেবে) না ধুয়েই টেবিল, বই-খাতা, কলম, মোবাইল এসব স্পর্শ করি।

ব্যাপারটা নিয়ে মনের মধ্যে সন্দেহ হচ্ছিল। তাই কয়েক ঘণ্টা  পর বাথরুমে গিয়ে আবার বিষয়টা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বুঝতে পারি, ওইসময় আসলে নিচ থেকে নাপাক পানির ছিটা এসেছিল।
কিন্তু ততক্ষণে তো যা হওয়ার হয়ে গেছে। ভেজা অবস্থায় কাপড় পরেছি, চেয়ারে বসেছি, ভেজা হাত দিয়ে বিভিন্ন জিনিস ধরেছি।(এগুলোও ভিজে গেছিল)। পরে ওই পায়জামা পরে বিছানায়ও শুয়েছি।
এখন,
(১) যেহেতু আমি প্রথমে শরীরে নাপাকি লাগা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ছিলাম না, সেক্ষেত্রে কি কাপড়, চেয়ার, বিছানা; টেবিল, কলম, বইখাতা, মোবাইল এসবের ক্ষেত্রে মাফ হতে পারে? অর্থাৎ এগুলো কি না ধুলেও চলবে? পাক ধরতে পারব?

(২) এই যে সন্দেহের কারণে আমি ব্যাপারটা নিয়ে আবার  পরীক্ষা করলাম, এটা কি আসলে ঠিক হয়েছে, নাকি এটাও শয়তানের ওয়াসওয়াসা ছিল? পরীক্ষার পর যে নাপাকির বিষয়টা বুঝলাম, সেটাকে পাত্তা দিব না উপেক্ষা করব? আর ভবিষ্যতে এমন সন্দেহের ক্ষেত্রে করণীয় কী?

এসব নিয়ে পেরেশানি হচ্ছে শায়েখ।

(৩) শায়েখ, আমি শাওয়ারের পানিতে গোসল করি। গোসলের সময়ই পানি গা বেয়ে কাপড়ে লাগে।  গোসল ফরয না হলেও কাপড়ে নাপাকি লাগলে এভাবে ধুই। ফরয গোসল করার সময়ও নাপাক কাপড় এভাবেই ধুই। এভাবে বেশি পরিমাণ প্রবাহিত পানিতে গোসল করায় সাধারণত কাপড়ে নাপাকির চিহ্ন আর থাকে না। এ অবস্থায় কি কাপড় পাক হয়ে যায় না? পাক না হলে ওই কাপড় পরে যেসব জায়গায় বসা হয়েছে, শোয়া হয়েছে সেগুলোর কী করব?

জাযাকুমুল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/19995 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন, 
অপবিত্রতা তিন প্রকারের হতে পারে।যথা-
(১)পবিত্র জিনিষ হয়তো নাজাসতের অংশকে চুষে নিবে না যেমন পাথর বা তামার পাত্র কিংবা চিনির পাত্র। 
(২) অথবা নাজাসতের অংশকে সামান্য আকারে চুষে নিবে, যেমন, শরীর ইত্যাদি। 
(৩) অথবা বেশী পরিমাণে নাজাসতের অংশকে চুষে নিবে। 

(প্রথম প্রকারের হুকুম) প্রথম অবস্থায় দৃশ্যমান নাজাসতের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নাজাসতকে দূর করে নিলেই তা পবিত্র হয়ে যাবে। আর অদৃশ্যমান নাজাসতের ক্ষেত্রে তিনবার ধৌত করে নিলেই তা পবিত্র হবে। 
(দ্বিতীয় প্রকারের হুকুম)  দ্বিতীয় প্রকারের হুকুমও প্রথম প্রকারের মত। 
(তৃতীয় প্রকারের হুকুম) যদি নিংড়ানো সম্ভব হয়, তাহলে নিংড়াতে হবে।যেমন কাপড়কে নিংড়িয়ে ধৌত করা হয়ে থাকে। সুতরাং এ প্রকারের নাজাসতকে দূর করার দ্বারাই কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে, অথবা তিনবার ধৌত করার দ্বারা তা পবিত্র হবে। আর যদি নিংড়ানো সম্ভব না হয়, যেমন চাটাই ইত্যাদি, যদি জানা যায় যে, উক্ত জিনিষ নাজাসতকে চুষে নেয়নি, তাহলে বাহ্যিকভাবে নাজাসতকে দূর করার দ্বারাই তা পবিত্র হয়ে যাবে। অথবা নিংড়ানো ব্যতিত তিন বার ধৌত করার দ্বারাই তা পবিত্র হয়ে যাবে। আর যদি জানা যায় যে, উক্ত জিনিষ নাজাসতকে চুষে নিয়েছে, তাহলে ইমাম মুহাম্মদ রাহ এর মতে উক্ত জিনিষ কখনো পবিত্র হবে না। এবং ইমাম আবু-ইউসুফ রাহ এর মতে তিনবার পানি দ্বারা ধৌত করতে হবে, এবং প্রত্যেকবার শুকাতে হবে। 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

(১)
শুধুমাত্র শরীর এবং গায়ের কাপড়কে ধৌত করলেই হবে। অন্যকিছু ধৌত করতে হবে না।

(২)
এটা শয়তানের ওয়াসওয়াস ছিল।যাইহোক, যেহেতু আপনি এখন নিশ্চিত যে, কমোড থেকেই পানি এসেছে,তাই আপনি শরীর এবং কাপড়কে ধৌত করবেন।

(৩)
দৃশ্যমান নাজাসত হলে উক্ত পদ্ধতিতে কাপড়কে ধৌত করা যাবে।আর অদৃশ্যমান নাজাসত হলে উক্ত পদ্ধতিতে ধৌত করা যাবে না। বরং তিনবার ধৌত করে প্রত্যেকবার নিংড়াতে হবে,তবেই কাপড় পাক পবিত্র হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 94 views
...