আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,213 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (6 points)
হযরত আলী (রাঃ) একবার দারুণ অভাব অনটনে পড়লেন। একদিন স্ত্রী ফাতিমা (রাঃ)-কে বললেন,

- "যদি তুমি নবী সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লম -এর নিকট গিয়ে কিছু চেয়ে আনতে তাহলে ভালো হতো।"
.

ফাতিমা (রাঃ) গেলেন। তখন নবী সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উম্মু আয়মন (রাঃ) বসা ছিলেন। ফাতিমা দরজায় টোকা দিলেন। নবী সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মু আয়মনকে বললেনঃ
.

"নিশ্চয় এটা ফাতিমার হাতের টোকা। এমন সময় সে আমাদের নিকট এসেছে যখন সে সাধারণতঃ আসতে অভ্যস্ত নয়।"
.

ফাতিমা (রাঃ) ঘরে ঢুকে বললেনঃ
.

- "ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই ফেরেশতাদের খাদ্য হলো তাসবী-তাহলীল ও তাহমীদ। কিন্তু আমাদের খাবার কি?"

.

রসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ

.

"সেই সত্তার শপথ যিনি আমাকে সত্যসহকারে পাঠিয়েছেন, মুহাম্মাদের পরিবারের রান্না ঘরে ত্রিশ দিন যাবৎ আগুন জ্বলে না। আমার নিকট কিছু ছাগল এসেছে, তুমি চাইলে পাঁচটি ছাগল তোমাকে দিতে পারি। আর তুমি যদি চাও এর পরিবর্তে আমি তোমাকে পাঁচটি কথা শিখিয়ে দিতে পারি যা জিবরীল আমাকে শিখিয়েছেন।"

.

ফাতিমা (রাঃ) বললেনঃ "আপনি বরং আমাকে সেই পাঁচটি কথা শিখিয়ে দিন যা জিবরীল আপনাকে শিখিয়েছেন।"

নবী সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, "বল -

يا اول الاولين، يا اخر الآخرين، يا قوة المتين، يا راحم المساكين، يا ارحم الراحمين،

(১) ইয়া আউয়ালাল আউয়ালিন।

(২) ইয়া আখিরাল আখিরিন।

(৩) ইয়া কুওয়াতিল মাতীন।

(৪) ইয়া রহীমাল মাসাক্বীন।

(৫) ইয়া আরহামার রহীমিন।

.

অর্থঃ

.

(১) হে আল্লাহ! আপনি একমাত্র প্রথম।

(২) হে আল্লাহ! আপনি একমাত্র শেষ।

(৩) হে আল্লাহ! আপনি একমাত্র শক্তিধর।

(৪) হে আল্লাহ! আপনি একমাত্র গরীবদের প্রতি দয়ালু।

(৫) হে আল্লাহ! আপনি একমাত্র দয়াশীল।

এই পাঁচটি কথা শিখে ফাতিমা (রাঃ) ফিরে গেলেন ‘আলীর (রাঃ) নিকট। ফাতিমাকে দেখে ‘আলী (রাঃ) প্রশ্ন করলেনঃ "খবর কি?"

.

ফাতিমা (রাঃ) বললেনঃ "আমি দুনিয়া পাওয়ার জন্য প্রত্যাশা নিয়ে তোমার নিকট থেকে গিয়েছিলাম, কিন্তু ফিরে এসেছি আখিরাত নিয়ে।"
.

হযরত আলী (রাঃ) বললেনঃ "আজকের দিনটি তোমার জীবনের সর্বোত্তম দিন।"

.

সূত্রঃ কানয আল-‘উম্মাল-১/৩০২; হায়াত আস সাহাবা-১/৪৩। ফাতিমা (রাঃ)-এর জীবনী। ]

.

সুবহান আলাহ্! আল্লাহ সর্ব হালতে আমাদেরকে সবরকারী ও শুকুরগুজারী বান্দা হওয়ার তওফিক দান করুন। ওয়ামা তওফিক ইল্লাবিল্লাহ। আমিন।।

১.এশার নামাযের পরে ২রাকাত সালাতুত হাজ্বতের নফল নামাজ পড়ার পর মুনাজাতে এ দোয়া কি সহীহ ?
২. এর আমল করার সাথে সাথে অনেক অর্থ সম্পদ চলে আসবে ?
৩. সালাতুত হাজ্বতে নামাজ পড়ে মুনাজাতে যে কোন প্রয়োজনের দোয়া চাওয়া যাবে ? অনেক দোয়া একসাথে চাওয়া যাবে নিজের ভাষায় ?
৪. সালাতুত হাজ্বতে নামাজ পড়ে মুনাজাতে( সুনানু তিরমিযি-৪৭৯) এর দোয়া করা কি জরুরী । তারপর যে কোন নিজের ভাষায় নিজের দোয়া করা যাবে ? এ নামাজ দিনে যত বার ইচ্ছে ততবার পড়লে এর ফযিলত পাওয়া যাবে ?

1 Answer

0 votes
by (707,840 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আপনার প্রশ্নের জবাবের প্রস্তুতি চলছে। ইনশাআল্লাহ জবাব পেয়ে যাবেন। ধর্য সহকারে বসার জন্য আন্তরিক অভিবাদন। জাযাকুমুল্লাহ। 


প্রথমে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে একটু মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন-
ফতোয়া আরবী শব্দ এবং কুরআন-সুন্নাহ ও ইসলামী শরীয়তের একটি মর্যাদাপূর্ণ পরিভাষা। বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে ‘ফতোয়া’ সংক্রান্ত আরো কিছু শব্দের অর্থ জেনে নেওয়া আবশ্যক। যথা : ইস্তিফতা, মুসতাফতী, মুফতী, ইফতা ও দারুল ইফতা। কুরআন-সুন্নাহ ও দ্বীনী ইলমের মাহির আলিমের নিকট কোনো দ্বীনী বিষয়ে ইসলামী শরীয়তের বিধান জিজ্ঞাসা করাকে ‘ইস্তিফতা’ বলে। প্রশ্নকারীকে ‘মুস্তাফতী’ বা ‘সাইল’ বলে। বিশেষজ্ঞ আলিম শরীয়তের দলীলের আলোকে যে বিধান বর্ণনা করেন তাকে ‘ফতোয়া’ বলে। বিধান বর্ণনাকারী আলিমকে মুফতী এবং তার এই কাজ অর্থাৎ প্রশ্নকারীর প্রশ্নের উত্তরে শরীয়তের বিধান বর্ণনা করাকে ‘ইফতা’ বলে। যে প্রতিষ্ঠান এই দায়িত্ব পালন করে তাকে ‘দারুল ইফতা’ বলে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 276 views
0 votes
1 answer 203 views
...