আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
519 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (10 points)

بِسْمِ الّٰلهِ الرَّحْمٰنِ الرَحِيْمِ

আসসালামু'আলাইকুম শায়েখ,

জমজমের পানির হকদার কারা? জমজমের পানি কি শুধু মুসলমানদের জন্য যায়েজ? নাকি অমুসলিমদেরও দেওয়া যাবে? যেমন সৌদি থেকে কেউ জমজমের পানি নিয়ে আসলে সেটা কি মুসলমানদের পাশাপাশি অমুসলিমদের দেওয়া যাবে? ইসলামে এর বিধান কি?  

আরেকটি প্রশ্ন, পবিত্র এই জমজমের পানি কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে আর কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না? 

শেষ প্রশ্ন, জমজমের পানির ফযিলত কি? যদি বর্ণনা করতেন মুহতারাম।

1 Answer

0 votes
by (697,200 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।


জবাবঃ

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, 
( لَا تُصَاحِبْ إِلَّا مُؤْمِنًا وَلَا يَأْكُلْ طَعَامَكَ إِلَّا تَقِيٌّ )
তুমি মু'মিন ছাড়া অন্য কাউকে বন্ধু বানাবে না। এবং তোমার খাদ্য মুত্তাকি ছাড়া অন্য কেউ গ্রহণ করবে না।(তিরমিযি-২৩৯৫)

বৈধ উদ্দেশ্যে বিশেষ করে হেদায়তের উদ্দেশ্যে কাফিরকে জমজমের পানি পান করানো বা হাদিয়া দেয়া জায়েয।

সহীহ বুখারী ২২৭৬ ও সহীহ মুসলিম-২২০১
এ আবু সাঈদ খুদরী রাযি থেকে যে রুকঈয়ার কথা বর্ণিত রয়েছে সেটা ছিলো একজন কাফির ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে।

" لا خِلافَ بَيْنَ الْفُقَهَاءِ فِي جَوَازِ رُقْيَةِ الْمُسْلِمِ لِلْكَافِرِ . وَاسْتَدَلُّوا بِحَدِيثِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رضي الله تعالى عنه الخ
কাফিরকে রুকঈয়া করা মুসলমানের জন্য জায়েয।কেননা আবু সাঈদ খুদরী রাযি এর বর্ণনায় যে ঘটনা বর্ণিত রয়েছে,সেখানে সাপ বা বিচ্ছু কর্তৃক দংশিত একজন মুশরিকের রুকইয়ার কথা পাওয়া যায়।(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-৩৪/১৩)

সুতরাং যেখানে কুরআন দ্বারা একজন মুশরিককে চিকিৎসা করার অনুমোদন রয়েছে,সেখানে একজন মুশরিককে জমজমের পানি হাদিয়ে দেয়া সাধারণ বিষয় মাত্র।তথা জায়েয হবে।

জমজমের পানির ফযিলতঃ
হজরত আবু জর (রা.) বর্ণনা করেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘জমজমের পানি বরকতময়, স্বাদ অন্বেষণকারীর খাদ্য।’ (সহিহ মুসলিম-২৪৭৩)

আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজের সঙ্গে পাত্রে ও মশকে করে জমজমের পানি বহন করতেন। তা অসুস্থদের ওপর ছিটিয়ে দিতেন এবং তাদের পান করাতেন। (সুনানে তিরমিজি)

জাবির (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জমজমের পানি যে উদ্দেশ্য নিয়ে পান করবে তা পূরণ হবে।’ (সুনানু ইবনে মাজাহ-৩০৬২)

ফকিহগণ জমজমের পানি পানের কিছু আদব উল্লেখ করেছেন, যেমন—কিবলামুখী হওয়া, বিসমিল্লাহ বলা, তিন শ্বাসে পান করা, পরিতৃপ্ত হওয়া, শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলা ইত্যাদি। জমজমের পানি ইবাদত মনে করে পান করা উচিত। জমজমের পানি পান করার সময় একটি বড় কাজ হলো দোয়া করা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...