আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
93 views
in সালাত(Prayer) by (102 points)
আসসালামুআলাইকুম।

১)আজ মাগরিবের নামাজে তাশাহুদে আত্তাহিয়্যাতু তে আত্তা তে টান নাই তাও টেনে ফেলি পরে লিল্লাহি ওয়াস সলাওয়া তু পর্যন্ত পড়ার পর সংশোধনের জন্য পুনরায় শুরু থেকে তাশাহুদ পড়ি। তাশাহুদের এতটুকু অংশ সংশোধনের জন্য দুইবার পড়াতে কি সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়েছিল?

আর আমিতো ইমামের পিছে ছিলাম তাই সাহু সিজদা দেওয়ার তো কোনো সুযোগ ছিল না।নামাজ কি হয়েছে?

২) মাঝে মাঝে শেষ বৈঠকে দেখা যায় আমার দরুদ এর কিছু অংশ বাকি তখনি ইমাম সালাম ফিরিয়ে ফেলেন।আমি তারাতারি করে বাকি অংশটা শেষ করে তারপর সালাম ফিরাই। কিন্তু ততক্ষণে ইমামের দুই দিকে সালাম ফিরানো হয়ে যায়। অর্থাৎ আমার বাকি অংশ পড়তে পড়তে  ঈমামের দুইদিকে সালাম ফিরানো শেষ হয় তারপর আমি পরে সালাম ফিরাই।এতে কি নামাজ হবে?

৩) সেদিন এশার নামাজে তাকবীর তাহরীমা দিয়ে হাত বাঁধার পর হাত নাভির নিচে বাঁধা হয় নাই হাত নাভি বরাবর বেধে ফেলি।হাত নিচে নামাতে হলে দুইহাত নড়ানো হয়ে যায় তাই ওই রাকাতে নাভি বরাবরই হাত বেধে রাখি।এতে কি নামাজ হয়েছে?

৪) একদিন নামাজ পড়ার সময় পাশে টেবিলে মোবাইল ছিল। মোবাইলে জলে উঠায় বলতে গেলে ইচ্ছা করেই মোবাইলের দিকে তাকাই।কিন্তু আমি মাথা নরাই নাই শুধু চোখ নরাইছিলাম। সাথে সাথেই সিজদার দিকে চোখ দেই।এতে কি নামাজ ভঙ্গ হয়েছিল?

1 Answer

0 votes
by (63,080 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হয় ৬ কারণে। যথা-

 

১) কোন রুকন আগে করে ফেলা।

২) কোন রুকনকে আপন সময় বা স্থান থেকে দেরী করে ফেলা।

৩) কোন রুকনকে তাকরার তথা বারংবার আদায় করা।

৪) কোন ওয়াজিবকে পরিবর্তন করে ফেলা। যেমন  জোরে পড়া বিষয়কে আস্তে পড়া।

৫) কোন ওয়াজিবকে ছেড়ে দেয়া।

৬) এমন কোন সুন্নতকে ছেড়ে দেয়া যা পুরো নামাযের দিকে সম্বোধিত। যেমন প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ ছেড়ে দেয়া

 

أنه يجب بستة أشياء: بتقديم ركن، وبتأخير ركن، وتكرار ركن، وبتغيير واجب، وبترك واجب، وبترك سنّة تضاف إلى جميع الصلاة (المحيط البرهانى، كتاب الصلاة، الفصل السابع فى سجود السهو-1/501)

 

মর্থার্থ: ছয় কারণে সেজাদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়। যথা: ১) কোন রুকন আগে করে ফেলা২) কোন রুকনকে আপন সময় বা স্থান থেকে দেরী করে ফেলা। ৩) কোন রুকনকে তাকরার তথা বারংবার আদায় করা। ৪) কোন ওয়াজিবকে পরিবর্তন করে ফেলা। যেমন  জোরে পড়া বিষয়কে আস্তে পড়া। ৫) কোন ওয়াজিবকে ছেড়ে দেয়া। ৬) এমন কোন সুন্নতকে ছেড়ে দেয়া যা পুরো নামাযের দিকে সম্বোধিত। যেমন প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ ছেড়ে দেয়া

 

وفى منية المصلى: يجب بستة اشياء بتقديم ركن….. بتأخير ركن…. بتكرار الركن…. بتغيير الواجب….. بترك الواجب…. بترك لسنة المضافة على جميع الصلاة نحو ان يترك قراءت التشهد فى القعدة الاولى (منية المصلى مع غنية المستملى-456-457)

 

মর্থার্থ: ছয় কারণে সেজাদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়। যথা: ১) কোন রুকন আগে করে ফেলা২) কোন রুকনকে আপন সময় বা স্থান থেকে দেরী করে ফেলা। ৩) কোন রুকনকে তাকরার তথা বারংবার আদায় করা। ৪) কোন ওয়াজিবকে পরিবর্তন করে ফেলা। যেমন  জোরে পড়া বিষয়কে আস্তে পড়া। ৫) কোন ওয়াজিবকে ছেড়ে দেয়া। ৬) এমন কোন সুন্নতকে ছেড়ে দেয়া যা পুরো নামাযের দিকে সম্বোধিত। যেমন প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ ছেড়ে দেয়া

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার উপর সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়নি। তা ছাড়া আপনি ইমামের পিছনে ছিলেন। সুতরাং আপনার নামাজ আদায় হয়ে গেছে।

২. হ্যাঁ, এতে সালাত হবে।
৩. হ্যাঁ, সালাত হয়েছে। উল্লেখ্য যে, আপনি হাত বাধার পর পুনরাই সালাতের মধ্যেই নাভীর নিচে রাখতে পারতেন। এতে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হয় না।
৪. না, এতে সালাত ভঙ্গ হয়েছিলো না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...