আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
188 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)
আস সালামু আলাইকুম উস্তাদ
আমি পশ্চিমবাংলার বাসিন্দা। আমার বাসস্থানের নিকটবর্তী ভালো কোনো মাদ্রাসা নেই তাই এখানকার মুসলিম অধিবাসীরা তাদের সন্তানদেরকে সরকারী বা বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করায়। এখন এই সমস্ত স্কুলে ফুল পিরিয়ড হলে জোহর-আসেরের সলাত কাযা হয়ে যায়। অনেক সময় টিউশনে গেলে মাগরিব কাযা হয়ে যায়। এখানে কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই বললেই চলে।

উস্তাদ আমার প্রশ্ন হলো, সন্তানদেরকে শিক্ষার জন্য সলাত কাযা করানো যাবে? যেহেতু বর্তমানে অধিকাংশ মা-বাবা বলে থাকে এইসমস্ত কারণে কিছু যায় আসেনা পরে কাযা পড়ে দিলে হবে।আর সন্তান স্কুলে না গেলে কাজ পাবে কিভাবে?
আর যদি বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না পাওয়া যায় তাহলে কী কাযা করার রুখসত আছে?
উস্তাদ আমি যখন ক্লাস ১১ পড়ি তখন একই অবস্থার শিকার হয় তখন আমি ৩ টে টিউশন মিস করে সলাতে যেতাম। এর আগে দ্বীন সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। ফাইনাল পরীক্ষা কাছাকাছি আসলে হঠাৎ আমার হার্টের অপারেশন হয় এই ভাবে সেক্যুলার শিক্ষাব্যবস্থার ইতি ঘটে। আলহামদুলিল্লাহ!  বর্তমানে আমি IOM এ আলিম কোর্সের পাঠরত।

1 Answer

0 votes
by (713,000 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/5564 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
নামাযর ওয়াক্ত সম্পর্কে ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত তাহাবী শরীফের একটি হাদীস উল্লেখযোগ্য যাকে পরিভাষায় "হাদীসে ইমামতে জিব্রাইল বলা হয়,যাতে সমস্ত ফরয নামাযের শুরু এবং শেষ ওয়াক্ত সুস্পষ্টরূপে বর্ণিত হয়েছে.......
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,আমাকে জিব্রাইল আঃদুই বার ক্বাবা ঘরের সামনে ইমামতি করে নামায পড়ান,
(প্রথম দিন)সূর্য ঢলার পর সাথে সাথেই আমাকে সাথে নিয়ে জোহরের নামায পড়ান,এবং প্রত্যেক বস্তুর ছায়া(আসল ছায়া ব্যতীত) যখন এক মিছিল হয় তখন আমাকে নিয়ে আসর পড়েন,এবং যখন রোজাদার ইফতার করে তখন আমাকে নিয়ে মাগরিব পড়েন,এবং যখন পশ্চিম আকাশে( শফকে আবয়ায)দূর হয়ে যায় তখন আমাকে নিয়ে এ'শার নামায পড়েন,
(দ্বিতীয় দিন)যখন প্রতিটা বস্তুত ছায়া(আসল ছায়া ব্যতীত)এক মিছল হয়,তখন আমাকে নিয়ে জহরের নামায আদায় করেন,এবং দুই মিছলের পর আমাকে নিয়ে আসরের নামায পড়েন,এবং (প্রথম দিনের মত) রোজাদার যখন ইফতার করেন তখন আমাকে নিয়ে মাগরিবের নামায পড়েন,এবং রাতের এক তৃতীয়াংশ চলে যাওয়ার পর আমাকে নিয়ে এ'শার নামায পড়েন,এবং ভোরের আলো পরিস্কার হওয়ার পর আমাকে নিয়ে ফজরের সালাত পড়লেন।অতঃপর আমার দিকে মনোনিবে করে বললেন,হে মুহাম্মাদ সাঃ নামাযের ওয়াক্ত এ দুই সময়ের মধ্যবর্তী সময়ে।এবং এটাই আপনার পূর্বের নাবী রাসূলদের নামাযের ওয়াক্ত ছিলো।(তাহাবী-৮৯৮)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নির্দিষ্ট সময় নামায আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয।সুতরাং নামাযকে কাযা বা পরিত্যাগ করা যাবে না।তাই আমরা বলবো, নামায পড়ার মত কোনো জায়গা না থাকলে, ছাত্ররা সাথে করে জায়নামায নিবে।এবং ঘর বা রাস্তার দ্বার যেখানেই তারা সুযোগ পাবে, সেখানেই নামায পড়ে নিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,000 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by
উস্তাদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ নামাজ আদায় করলে সেক্ষেত্রে শুধু ফরজ আদায় করলে হবে? আমি একজন মেয়ে। তাই সবসময় উপযুক্ত জায়গা পাই না?

by (713,000 points)
ফরয পড়া সম্ভব হলে অতি সংক্ষেপে সুন্নত পড়ারও চেষ্টা করতে হবে। কেননা নিয়মিত সুন্নত তরক করা রুখসত যোগ্য হবে না। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

–1 vote
1 answer 74 views
...