আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
199 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (39 points)
শাইখ,
আমি একজন মুসলিম,আমি ছেলে, আমি হালাল ভাবে টাকা ইনকাম করতে চাই,তাই নিচের প্রশ্নের জবাব চাইছি।
১|ইসলামে কি দুনিয়াবী শিক্ষার বিনিময়ে টাকা নেয়া কি জায়েজ?
২|হাদীসে এই ভিত্তিক কি আছে?
৩|অনেকে টিউশনি করে নিজের জীবিকা নির্বাহ করে,এটা ইসলামী শরিয়তে কতটুকু জায়েজ?
৪|ধরুন,আমি ছাত্রদের মাতাপিতার সাথে এই বলে চুক্তি করলাম যে মাস শেষে আমাকে ৫০০টাকা দিতে হবে,এখন দেখা গেলো সেই ৩০দিনের মাঝে আমি ৫দিন ছাত্রদের পড়ায় নি,এখন আমি যদি দাবি করি যে আমাকে ৫০০টাকা দিতে তাহলে এই টাকা হারাম হবে কিনা?এখানে আমি তাদেরকে ২৫দিন পড়িয়ে আদায় করছি ৫০০টাকা অথচ কথা  ছিল ৩০দিন শেষে এটি নেয়া,এখন আমার করণীয় কি?
৫| ছাত্রদের পিতামাতা যে তাদেরকে আমার কাছে ভর্তি করলো এইকারণে যে তারা যেন ভালো করে পড়া গুলো শিখে নেয় তার জন্য, কিন্তু দেখা গেল যে তারা ভালো করে পড়া শিখতে পারে নি অথবা কিছু পড়া বাদ রয়ে গেল,তবে আমি কিন্তু আমার সেরা চেষ্টাটা করার জন্য কেন অবহেলা করিনি,এখন এভাবে মাস শেষে যে আমি ৫০০টাকা নেব এটা কতটুকু আমার জন্য হালাল হবে?আমার কি কোন গুণাহ হবে?
৬|আমি যে ছাত্রদের পড়াতে চাই তাদের মাঝে আছে কতক মেয়ে যাদের বয়স ১০বছর হয় নি,আবার ছেলেদের ও নয়।এখন আমি তাদেরকে একটি রুমে ছেলেদের একপাশে আর মেয়েদের আলাদা পাশে করে পড়ালে কোন সমস্যা হবে কিনা?এক্ষেত্রে আমার করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (677,960 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(১.২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَارِظٍ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " كَسْبُ الْحَجَّامِ خَبِيثٌ وَمَهْرُ الْبَغِيِّ خَبِيثٌ وَثَمَنُ الْكَلْبِ خَبِيثٌ "

রাফি ইবনু খাদীজ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রক্তক্ষরণের মজুরি ঘৃণিত, ব্যভিচারের বিনিময় মূল্য জঘন্য এবং কুকুরের বিক্রয় মূল্যও ঘৃণিত।
(তিরমিজি ১২৭৫)

حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْخُزَاعِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ حُمَيْدٍ الرُّؤَاسِيِّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَجُلاً، مِنْ كِلاَبٍ سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ عَسْبِ الْفَحْلِ فَنَهَاهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا نُطْرِقُ الْفَحْلَ فَنُكْرَمُ . فَرَخَّصَ لَهُ فِي الْكَرَامَةِ .

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, পাল দেওয়ার উদ্দেশ্যে ষাঁড় প্রদান করে মজুরি নেওয়া প্রসঙ্গে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট কিলাব গোত্রের এক লোক প্রশ্ন করলে তিনি তা নিতে বারণ করেন। সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা পাল দেওয়ার উদ্দেশ্যে ষাঁড় দেই এবং আমাদেরকে (দাবি ব্যতীতই) পুরস্কার স্বরূপ কিছু দেওয়া হয়। তিনি তাকে এ ধরণের পুরষ্কার নেওয়ার অনুমতি দেন।
(তিরমিজি ১২৭৪)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
হাদীস শরীফে বেশ কিছু কাজে বিনিময় গ্রহন  করতে নিষেধাজ্ঞা এসেছে,তবে দুনিয়াবী শিক্ষার বিনিময়ে টাকা নেয়ার অবৈধতা সম্পর্কে কুরআন হাদীসে কিছু আসেনি।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে দুনিয়াবী শিক্ষার বিনিময়ে টাকা নেয়া জায়েজ।

তবে বালেগ পুরুষ কোনো বালেগ বালেগাহ মহিলাকে পড়বেনা,বালেগাহ মহিলা কোনো বালেগ পুরুষকে পড়াবেনা।
যদি বিশেষ প্রয়োজনে এমনটি হয়েই যায়,তাহলে বেশ কিছু শর্ত মেইনটেইন করতে হবে,নতুবা জায়েজ হবেনা।      

(০৩)
শরীয়াহ কিছু না থাকলে এক্ষেত্রে এভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে কোনো সমস্যা নেই।

(০৪)
এখানে ছুটির দিনের বেতন গ্রহনের মাসয়ালা আসবে।
যদি এগুলো শুক্রবারের দিন গুলো হয়ে থাকে,বা নির্দিষ্ট কোনো ছুটির দিন হয়,তাহলে পুরো বেতন গ্রহন করা যাবে।
,
আর যদি  নির্দিষ্ট কোনো ছুটির দিন এমন ৫ দিন ছুটি নেয়া হয়,তাহলে অভিভাবক যদি নিজ থেকে সেই দিন গুলোরও বেতন দেয়,তাহলে তাহা নেয়া যাবে,নতুবা নয়।

(০৫)
এই টাকা গ্রহন সম্পূর্ণভাবে জায়েজ হবে।
কোনো সমস্যা নেই।

(০৬)
যদি তারা বালেগ বালেগাহ বা তার নিকটতম  না হয়,তাহলে এই ছুরত জায়েজ হবে।  

কিন্তু ১০ বছর এর কাছাকাছি সময়ে অনেক মেয়ে বালেগাহও হয়ে থাকে,কেহ কেহ বালেগাহ হওয়ার নিকটতম হয়ে থাকে,কাহারো বাহ্যিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বালেগাহ এর মতোই হয়ে থাকে,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই সমস্ত মেয়েদেরকে তাদের বোরকা পড়ে পূর্ণ শরীর,চেহারা হাত পা ঢেকে পরিপূর্ণ পর্দা করে আসতে বলতে হবে।
       
এবং ছেলে মেয়েদের আলাদা কক্ষে রাখবেন,অথবা মাঝে কোনো কাপড় দ্বারা পর্দা দিয়ে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...