আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
296 views
in সাওম (Fasting) by (13 points)
আজ সেহরির শেষ সময় ছিলো ৪ঃ২৪ মিনিট। আমার ঘুম ভাঙ্গে ৪ঃ৩৮ মিনিটে। গতকালের ইফতারের পর হতে আর কিছু না খাওয়ায় অনেক ক্ষুধার্ত ও পিপাসার্ত ছিলাম এবং এমতাবস্থায় কি করণীয় তাও আমার জানা ছিলো না। তাই আমি দ্রুত কিছু খেয়ে নিলাম। আমার খাওয়া শেষ হলো ৫ঃ০০ ঘটিকায়। এখন আমি রোযা রাখবো বলে মনস্থির করেছি। খাওয়ার পরে ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করে মনে হলো যে আমার না খেয়েই রোযা রাখা উচিৎ ছিলো। প্রশ্ন হলো-

১. ভুলবশত এমন করায় আমার রোযা কি নষ্ট হবে?

২. এই রোযা নষ্ট হলে আমার কি কাযা রোযা রাখতে হবে নাকি কাফফারার রোযা রাখতে হবে?

বিঃদ্রঃ আমি ভেবেছিলাম যে সেহরির শেষ সময় যেহেতু মাত্রই শেষ হয়েছে এবং এখনো সূর্য উদিত হয় নাই এবং আমি ঘুম থেকে উঠার নিয়ত থাকা সত্ত্বেও উঠতে পারি নাই তাই দ্রুত কিছু খেয়ে নিয়ে রোযা রাখলে আল্লাহ হয়তো মাফ করে দিবে।

1 Answer

0 votes
by (70,560 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জাবাব,

মুসলিম উম্মাহর সর্বসম্মতিক্রমে রোযার জন্য সেহরী খাওয়া মুস্তাহাব এবং যে ব্যক্তি তা ইচ্ছাকৃত খায় না সে গোনাহগার নয়। আর এ কারণেই যদি কেউ ফজরের পর জাগে এবং সেহরী খাওয়ার সময় না পায়, তাহলে তার জন্য জরুরী রোযা রেখে নেওয়া। এতে তার রোযার কোন ক্ষতি হবে না। বরং ক্ষতি হবে তখন, যখন সে কিছু খেতে হয় মনে করে তখনই (ফজরের পর) কিছু খেয়ে ফেলবে। সে ক্ষেত্রে তাকে সারা দিন পানাহার ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে হবে এবং রমাযান পরে সেই দিন কাযা করতে হবে।

عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، أَنَّ مُحَمَّدًا، تَسَحَّرَ وَهُوَ يَرَى أَنَّ عَلَيْهِ لَيْلًا، ثُمَّ اسْتَبَانَ لَهُ أَنَّهُ تَسَحَّرَ بَعْدَ مَا أَصْبَحَ، فَقَالَ: «أَمَّا أَنَا الْيَوْمَ فَمُفْطِرٌ

আউন রাহ. থেকে বর্ণিত,মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন রাত্র বাকি আছে ভেবে সাহরী খেলেন। তারপর জানতে পারলেন, তিনি সুবহে সাদিকের পর সাহরী করেছেন তখন তিনি বললেন, ‘আমি আজ রোযাদার নই।’ (অর্থাৎ আমাকে এ রোযার কাযা করতে হবে)।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৬/১৪৯, হাদীস নং-৯০৩৮।

عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ: «إِذَا أَكَلَ بَعْدَ طُلُوعِ الْفَجْرِ مَضَى عَلَى صِيَامِهِ وَقَضَى يَوْمًا مَكَانَهُ

হযরত সাঈদ বিন জুবায়ের রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন কোন ব্যক্তি ফজর উদিত হবার পর সেহরী খায়, তাহলে তার রোযা ভেঙ্গে গেছে। এর বদলে আরেক দিন রোযা রাখতে হবে। [মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৯০৪১]

عَنْ عَلِيِّ بْنِ حَنْظَلَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: شَهِدْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فِي رَمَضَانَ، وَقُرِّبَ إِلَيْهِ شَرَابٌ فَشَرِبَ بَعْضُ الْقَوْمِ وَهُمْ يَرَوْنَ أَنَّ الشَّمْسَ قَدْ غَرَبَتْ، ثُمَّ ارْتَقَى الْمُؤَذِّنُ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ وَاللَّهِ لَلشَّمْسُ طَالِعَةٌ لَمْ تَغْرُبْ، فَقَالَ عُمَرُ: «مَنَعَنَا اللَّهُ مِنْ شَرِّكَ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثَةً، يَا هَؤُلَاءِ مَنْ كَانَ أَفْطَرَ فَلْيَصُمْ يَوْمًا مَكَانَ يَوْمٍ، وَمَنْ لَمْ يَكُنْ أَفْطَرَ فَلْيُتِمَّ حَتَّى تَغِيبَ الشَّمْسُ

আলী ইবনে হানযালা তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি রোযার মাসে ওমর রা.-এর নিকট ছিলেন। তার নিকট পানীয় পেশ করা হল। উপস্থিতদের কেউ কেউ সূর্য ডুবে গেছে ভেবে তা পান করে ফেলল। এরপর মুয়াযযিন আওয়াজ দিল, হে আমীরুল মুমিনীন! সূর্য এখনো ডুবেনি। তখন ওমর রা. বললেন, ‘যারা ইফতারি করে ফেলেছে তারা একটি রোযা কাযা করবে। আর যারা ইফতারি করেনি তারা সূর্যাস্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৬/১৫০, হাদীস নং-৯০৪৫।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/ বোন!   

সময় শেষ হবার পর খানা খাবার কারণে উক্ত রোযাটি হয়নি। তাই রমজান শেষে উক্ত রোযার কাযা আদায় করতে হবে।

 

 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 185 views
0 votes
1 answer 189 views
0 votes
1 answer 268 views
...