আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
517 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
edited by
আমার খাবার খাওয়ার সময় আর বিভিন্ন কথা বলার সময় অনেক চিন্তা আসে মনে। কোন খাবার দেখলে মনে হয় এটা কি কোন কাফের মুশরিকদের ধর্মীয় খাবার না তো?পরে গুগলে সার্চ দেই,  গিয়ে দেখি না কোন বেকার বানিয়েছে এটা, অথবা এটা মোগলাই( হয়ত মুঘল দের) খাবার, এমন কিছু। তাও সন্দেহ থেকে যায়। আর বিভিন্ন কথা বলার সময় মনে হয় এই শব্দ( কিছু শব্দ বলি যেমন- অতএব,কিংবা, সুতরাং, ধন্যবাদ, আর ইংরেজি বিভিন্ন শব্দ) গুলো কি কাফেরদের থেকে এসেছে? কাফেরদের ধর্মীয় কথাবার্তা থেকে? আর বিভিন্ন চিহ্ন ব্যবহার( গনিত করার সময়, বই মার্ক করার সময়, লাইন আন্ডারলাইন করে দাগিয়ে পড়ার সময়) এর সময় ও মনে হয় এগুলো কাফেরদের ধর্মীয় চিহ্ন কিনা
এখন আমার প্রশ্ন হল-
১) কোন খাবার যদি কাফেরদের ধর্মীয় খাবার শুরুতে ছিল, কিন্তু এখন অনেকেই খেয়ে থাকে,  তাহলে তা খাওয়া কি নাজায়েজ হবে বা কুফর হবে? (যদি হারাম উপাদান না থাকে)
২) কোন কথা বা চিহ্ন কাফের মুশরিকদের ধর্মীয় কথা বা চিহ্ন থেকে আসলে, আর এখন অনেকেই কথাবার্তায় বা লেখায় সেসব কথা বা চিহ্ন ব্যবহার করলে সেইসব কথা বা চিহ্ন ব্যবহার করা কি কুফর বা নাজায়েজ হবে? আর সেসব পড়াশুনার সময় ব্যবহার করলে কি কুফর বা নাজায়েজ হবে?
৩) যে ব্যক্তি সালাত ত্যাগ করলো, সে কুফরী করলো(ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১০৭৯ এর অংশ)
এখানে "ত্যাগ " করা বলতে কি সালাতকে অস্বীকার করে ত্যাগ করা বুঝিয়েছে?
৪) ভারত,  আমেরিকায়,ফ্রান্স, বা অন্য কোন দেশে উৎপাদিত চকলেট খাওয়া কি জায়েজ? ভারতে মুসলিমরা শোষিত হচ্ছে।
আমেরিকার খবর জানি না কিন্তু সেখানে মুসলিম কম আর তাই প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিধর্মীরাই হয়ত বেশি কাজ করে আর আমি যে পন্য কিনি তা তারা যদি তাদের কুফরি কাজে ব্যবহার করে তাহলে কি আমার পাপ হবে?
যেহেতু চকলেট খাওয়া আমার জন্য জরুরি নয়, শখে খাই।
আমার বাসায় ২ টি কিন্ডারজয় আর ১ টা ডেইরি মিল্ক আছে।
৫)  ভারত, আমেরিকা, ফ্রান্স বা অন্য দেশের শ্যাম্পু আর ফেসওয়াশ আছে আমার কাছে। এগুলো র উপাদান গুলো যদি হালাল হয়েও থাকে তবুও তা কি নাজায়েজ হবে(আগের প্রশ্নটি তে যেমন বলেছিলাম, বিধর্মী হয়ত কাজ করে, আমি টাকা দিয়ে তা কিনে ব্যবহার করলে আর তা তারা কুফরি কাজ এ ব্যবহার করলে কুফর হবে কিনা?
ক) উপাদান গুলো হালাল নাকি হারাম কিভাবে বুঝব? গুগলে সার্চ দিয়ে দেখব?
৬)
ক) লাফয(Lafz) এর এসব ফেসওয়াশ, অন্যান্য পন্য বোতলের গায়ে লেখা আছে যে হালাল। কিন্তু সেগুলোর লোগো আর উপরের ডিজাইন দেখলে মনে হয় ইলুমিনাতির কিনা। এগুলো সন্দেহ বাদ দিয়ে কি ব্যবহার করব সেগুলাই?

খ) যদি কখনো কোন কিছু ইলুমিনাতির সাথে মিল পেয়ে যাই তাহলে আমি তো নিশ্চিত না যে তারা জেনেশুনেই দিয়েছে কিনা। তখন কি করব?

৭) অমুসলিম দের কাছে দোয়া চাওয়া কি কুফর?

1 Answer

+1 vote
by (644,430 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
কোন খাবার যদি কাফেরদের ধর্মীয় খাবার শুরুতে ছিল, কিন্তু এখন অনেকেই খেয়ে থাকে,  তাহলে তা খাওয়া নাজায়েয বা কুফর হবে না,যদি না তাতে কোনো হারাম উপাদান থাকে)

(২)
কোন কথা বা চিহ্ন কাফের মুশরিকদের ধর্মীয় কথা বা চিহ্ন থেকে আসলে, আর এখন অনেকেই কথাবার্তায় বা লেখায় সেসব কথা বা চিহ্ন ব্যবহার করলে সেইসব কথা বা চিহ্ন ব্যবহার করাও কুফর বা নাজায়েজ হবে না। আর সেসব পড়াশুনার সময় ব্যবহার করলে কুফর বা নাজায়েজ হবে না। তবে অমুসলিমের ধর্মীয় নিদর্শন মূলক কোনো কথা বা কাজকে অনুসরণ করা যাবে না।

(৩)
এখানে ত্যাগ বলতে অস্বীকার করা বুঝানো হয়েছে।

(৪)
এজন্য উত্তম হল, এগুলো না খাওয়া।

(৫)
কম্পানির সাথে যোগাযোগ করে দেখবেন যে,তাতে কি কোনো হারাম উপাদান রয়েছে? যদি কোনো হারাম না থাকে,তাহলে জায়েয।

(৬)
(ক)
সন্দেহ হলে পরিত্যাগ করাই শ্রেয়।

(খ)
পরিত্যাগ বরবেন,ফেলে দিবেন।

(৭)
জ্বী, কুফরী।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (644,430 points)
 সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

by (22 points)
৭) 
এটা কুফরি কি এই কারনে?-
এটা করার মাধ্যমে পরোক্ষভাবে মূলত কাফেরদের কল্পিত দেব-দেবি এদের কাছে সাহায্য চাওয়ার আবেদন জানানো হয়?

তাই না?
by (644,430 points)
জ্বী, তাই।সুতরাং অমুসলিমের কাছে দু'আ চাওয়া যাবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...