আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
156 views
in পবিত্রতা (Purity) by (73 points)
আসসালামু আলাইকুম।
মুহতারাম,

লুঙ্গিতে নাপাক(বীর্য) লাগল। অতপর সাবান  দিয়ে সমস্ত কাপড় ধুয়ে নেয়া হল এবং  পানি দিয়ে তিনবার নিংড়ানো হল।লুঙ্গিটি শুকানোর পর গায়ে পরা হল।  অতপর গায়ে  থাকা অবস্থায় লুঙ্গির একটা অংশ ভিজে গেল।  তখন দেখা গেল কিছু অংশ পিচ্ছিল।মানে নাপাকি পুরোপুরি দূর হয় নি। ভিজা অবস্থায় কাপড়টা গায়ের বিভিন্ন স্থানের স্পর্শে এসেছে।
এখন কাপড় টাকে কি আবার ধুয়া লাগবে?
শরীরও কি ধুয়া লাগবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/17196/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
শরীয়তের বিধান হলো কাপড়ে নাপাকি লাগলে তিনবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং প্রত্যেকবার ভালো করে চাপ দিয়ে নিংড়াতে হবে। 
শেষ বার এমন ভাবে চিপতে হবে যে কোনো পানি যেনো আর টককিয়ে না পড়ে।
ভালো করে নিংড়িয়ে ধোয়ার পরও যদি দুর্গন্ধ থেকে যায় কিংবা দাগ থাকে তাতে কোনো দোষ নেই। এতেই চাদর কিংবা কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।  (হাশিয়ায়ে তাহতাবী আলাল মারাকী, পৃষ্ঠা নং ১৬১, বেহেশতি জিওর ২/৭৭ )

وغير المرئية بغسلهاثلاثا والعصر كل مرة

অদৃশ্যমান নাপাক বস্তু তিন বার ধৌত করত্র হবে।এবং প্রত্যেকবার নিংড়াতে হবে।
(নুরুল ইযাহ ৫৬)

উল্লেখ্য, তিনবারের কথা বলা হয়, যাতে সন্দেহ না থাকে। অন্যথায় যদি প্রবাহমান পানি যেমন, নদী, পুকুরে বা টেপের পানিতে এত বেশি করে ধোয়া হয়, যাতে নাপাকি দূর হওয়ার ব্যাপারে প্রবল ধারণা হয়ে যায় তাহলে তা পাক হয়ে যায়। এক্ষেত্রে তিনবার নিংড়িয়ে ধোয়া জরুরি নয়। (রদ্দুল মুহতার ১/৩৩৩ আলবাহরুর রায়েক ১/২৩৭ শরহুল মুনইয়া ১৮৩) 

★★এটাই মূলনীতি।  

হাদিস শরিফে এসেছে,আসমা রাযি. থেকে বর্ণিত,

 أَنَّ النَّبِيَّ  ﷺ قَالَ -فِي دَمِ الْحَيْضِ يُصِيبُ الثَّوْبَ-: «تَحُتُّهُ، ثُمَّ تَقْرُصُهُ بِالْمَاءِ، ثُمَّ تَنْضَحُهُ، ثُمَّ تُصَلِّي فِيهِ

হায়িযের রক্ত কাপড়ে লেগে যাওয়া প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘পানি দিয়ে ঘষা দিবে তারপর পানি দ্বারা ভালোভাবে ধৌত করবে। অতঃপর সলাত আদায় করবে।’ (বুখারী ২২৭,৩০৭)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَمْرُو بْنُ مَيْمُونٍ، قَالَ: سَأَلْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ [ص:56] فِي الثَّوْبِ تُصِيبُهُ الجَنَابَةُ، قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: «كُنْتُ أَغْسِلُهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ يَخْرُجُ إِلَى الصَّلاَةِ، وَأَثَرُ الغَسْلِ فِيهِ» بُقَعُ المَاءِ

অনুবাদ- আমার বিন মাইমুন রহঃ সুলাইমান বিন ইয়াসার রাঃ কে বীর্য লাগা কাপড়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,হযরত আয়শা রাঃ বলেছেন, “আমি রাসূল সাঃ এর কাপড় থেকে তা ধুয়ে ফেলতাম তারপর তিনি নামাযের জন্য বের হতেন এমতাবস্থায় যে,কাপড়ে পানির ছাপ লেগে থাকতো। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৩১, ২২৯}

,
★এইভাবে ভালোভাবে তিনবার ধোয়ার পরেও যদি নাপাকির চিন্হ বা গন্ধ থেকে যায়,তাহলে কোনো সমস্যা নেই।
কাপড় পাক হয়ে যাবে।  

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছে

"و إن کانت شیئًا لایزول أثرہ إلا بمشقة بأن یحتاج في أزالته إلی شيء آخر سوی الماء کالصابون لایکلف بإزالته ... و یشترط العصر في کل مرة ویبالغ في المرة الثالثة."
(الباب السابع في النجاسة وأحکامها، ج:1، ص:96، ط:مكتبه رشيديه)
সারমর্মঃ
যদি এমন বস্তু হয় যে তার চিন্হ যায়না,কিন্তু অনেক কষ্টে যেমন সাবান ইত্যাদি ব্যাবহার করলে যাবে,নতুবা নয়।
তাহলে সেটি দূর করা জরুরি নয় 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত কাপড় কি আসলেই ৩ বার প্রত্যেকবার নতুন পানি দিয়ে ভালোভাবে ঘষে ধুয়ে প্রত্যেকবার ভালোভাবে নিংড়ানো হয়েছিলো?
যদি তাই হয়,তাহলে উক্ত কাপড়কে পাক ধরা হবে।
(এরপর প্রশ্নে উল্লেখিত পিচ্ছিল পাওয়ার কোনো সুযোগ দেখছিনা।)  

নতুবা উক্ত কাপড় পাক ধরা হবেনা।

এখন এই কিছু অংশ যে পিচ্ছিল পাওয়া গেছে,আপনি সেটি পরীক্ষা করবেন,গন্ধ শুকবেন যে এটি আসলেই বীর্যের গন্ধ কিনা?
যদি নিশ্চিত বীর্যের গন্ধ হয়,তাহলে সতর্কতামূলক আবারো সতর্কতামূলক সেই লুঙ্গি পূর্ণ নিয়ম মেনে ধুয়ে দিবেন।    

শরীরে সেই ভেজা পিচ্ছিল স্থান লেগে থাকলে শরীরের সেখানেও পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...