আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
58 views
in সাওম (Fasting) by (24 points)
আসসালামু আলাইকুম

আমি আল্লাহ্ র নামে কসম  করেছিলাম।কিন্তু রাখতে পারিনি।এখন আমি কাফ্ফারা হিসেবে রোজা রাখতে চাই।

1. এই রোজা কি ওয়াজিব?

2.আর এই রোজা করতে কি স্বামীর অনুমতি লাগে?

3.শাওয়াল মাসের চাদে কি আমি ঐ কাফ্ফারা রোজা আদায় করতে পারব?

4.কোন জায়গাতে প্রসাব লাগার পর তা যদি শুকিয়ে যায়এবং অদৃশ‍্য হয়ে যায়।তারপর তাতে পরে কোন ভেজা কাপড় ঠেকলে কি ঐ ভেজা কাপড় নাপাক হয়ে যায়।

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
যদি আপনি ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার কসম করে ভেঙ্গে ফেলেন,তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাকে কাফফারা আদায় করতে হবে। 
কাফফারার সেই রোযা ওয়াজিব হবে।

(০২)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী স্বামীর অনুমতি  ব্যাতিত স্ত্রীর জন্য নফল রোযা রাখা, নফল নামাজ পড়া,কুরআন তেলাওয়াত করা নিষেধ।   
(নাজমুল ফাতওয়া ৫/৩০৭) 
۔
وعن أبي هريرة قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : " لو كنت آمر أحدا أن يسجد لأحد لأمرت 
المرأة أن تسجد لزوجها " . رواه الترمذي
আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আমি যদি কাউকে কারো জন্য সিজদাহ করার আদেশ করতাম, তাহলে নারীকে আদেশ করতাম, সে যেন তার স্বামীকে সিজদাহ করে।’’ 
(তিরমিযি ১১৫৯)

আরো জানুনঃ  

قال في البحر عن القنية للزوج أن يمنع زوجته عن كل ما كان الإيجاب من جهتها كالتطوع والنذر واليمين دون ما كان من جهته تعالي كقضاء رمضان (٢/٤٣٠)
সারমর্মঃ
স্বামীর জন্য অধিকার রয়েছে নিজের স্ত্রীকে তার পক্ষ থেকে কোনো রোযা রাখা থেকে।
যেমন,নফল রোযা,মান্নত,কসমের রোযা।
তবে যাহা আল্লাহর পক্ষ থেকে, সেটাতে নিষেধ করতে পারবেনা।
যেমন রমজানের কাজা রোযা।
(ফাতাওয়ায়ে শামী ২/৪৩০)

★প্রশ্নে উল্লেখিত রোযায় স্বামীর অনুমতি লাগবে।

(০৩)
হ্যাঁ শাওয়াল মাসেও সেই কাফফারার রোযা রাখতে পারবেন।
তবে শাওয়ালের ৬ রোযার মধ্যে এই কাফফারার রোযার নিয়ত এক সাথে করা যাবেনা।
আলাদাভাবে করতে হবে।

(০৪)
হ্যাঁ সেই ভেজা কাপড় নাপাক হয়ে যাবে।  

আরো জানুনঃ-


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 94 views
0 votes
1 answer 363 views
...