আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
265 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (87 points)
edited by
১।আমাদের সমাজে একজন জালিম আছে সে আমার বাবার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে সে আমার বাবার সাথে অনেকবার বেয়াদবি করছে গায়ে হাত তুলতে চেষ্টা করছে আরো অনেকের গায়ে হাত তুলছে সে আবার আমাদের ইমাম সাহেবের পিছনে লাগছে ইমাম সাহেবকে কিছু বিষয়ে ওয়াজ না করতে কমিটির কাছে বলছে জুয়া খেলে  অনেক কিছু করে সমাজে বিশৃংখলা করে।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে তাকে দমন করার ক্ষমতা ইনশাআল্লাহ আমাদের আছে এখন কি তাকে হুমকি ও তার গায়ে হাত তুলা যাবে কি
২।আগামী কাল  সে আমাদের হুজুর  অপমান করে বিদায় করার চিন্তা আছে মসজিদে বসবে আমার বাবা চায়না যে হুজুর বিদায়  সে যদি  গরম হয়ে আমার বাবার সাথে বেয়াদবী করে  তার সাথেও গরম হওয়া যাবে কি

৩।সে যদি গরম হয়ে  আমার বাবার  বা আমার গায়ে  হাত তুলে তাকে তার জবাবে তার গায়ে হাত তুলা যাবে কি
৪।পায়খানা করে পানি দিয়ে পরিস্কার করার পর তৈলাক্ত ভাব থাকে সেই তৈলাক্ত ভাব কি নাপাক হবে
৫।আমার গলা ঘন ঘন  শুকিয়ে যায় ছোট হা পরতে গেলে মনে হয় বড় হা এর মত এখন কি আমার নামাজ ভেঙে যাবে
৬।নামাজে মুখে থুথু আসলে সুরা পরার সময় একটু অন্য রকম শব্দ বের হয় তাহলে কি আমার নামাজ ভেঙে যাবে
৭।মুহিব খানের গজলে ধুপ ধুপ আওয়াজ হয় এখন কি মুহিব খানের গজল শুনা যাবে কি

1 Answer

0 votes
by (644,130 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ  ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)

অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে,হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা।এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা। বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/1982

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তাকে শায়েস্তা করার জন্য রক্তপাত বা ঝগড়া করার পূর্বে সমতা ও বিচারের মাধ্যমে সংশোধন করার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে তাকে যেকোনো ভাবে শায়েস্তা করা যেতে পারে।তবে তার উপর যুলুম হয়, এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না।


(২)
সে ইমাম সাহেবের সাথে অন্যায়ভাবে এমনটা করলে, তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।

(৩)
জ্বী, যাবে। তবে তার উপর জুলুম না হয়, সেইদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

(৪)
না, নাপাক হবে না।

(৫)
না, নামায ভঙ্গ হবে না।

(৬)
না, নামায ভঙ্গ হবে না।

(৭)
জ্বী, শোনা যাবে। কেননা এতে মিউজিক আছে বলে মনে হয় না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 173 views
0 votes
1 answer 176 views
...