আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
141 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
ছবি তোলা হারাম তা জেনেও  অনেক সময় দেখা যায় কোথাও ঘুরতে গেলে বা কোন উপলক্ষে বোরকা পরে ছবি তোলা হয়। এভাবে ছবি তোলা জায়েজ আছে কি?

অযু করার পর পোশাক পরিবর্তন করলে অজু  কি ভেঙ্গে যাবে?

অনেকে বলেন ছবি তোলা বিশেষ কারণ ছাড়া হারাম হলেও ভিডিও করা জায়েজ । কথাটা কতটুকু সত্যি?

আমার এক নিকট আত্মীয় রিটায়ার্ড প্রাপ্ত  ব্যাংক কর্মকর্তা । উনার এক সন্তানও ব্যাংকের আইটি সেক্টরে চাকরি করেন। আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করার জন্য কি তার বাসায় বেড়াতে যাওয়া ও খানাপিনা আমার জন্য হালাল হবে? তাদের দেয়া হাদিয়া কি ব্যবহার করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
https://ifatwa.info/17341/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
ইসলামের মৌলিক বিধান হচ্ছে, জড়বস্তুর ছবি তোলা ও আঁকায় শরয়ী কোন বিধিনিষেধ নেই। আর প্রাণীর ছবি প্রয়োজন ছাড়া তোলা, সংরক্ষণ করা, প্রকাশ করা, ব্যবহার করা হারাম।  

তবে শরীয়তে ছবি বলতে কী বোঝায়, এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও বিশ্লেষণ রয়েছে। 

আরো জানুনঃ  

অনেক বিশেষজ্ঞের মতে ডিজিটাল ক্যামেরায় ছবি তোলা, কম্পিউটার ও মোবাইলে সংরক্ষিত ছবিও ‘নিষিদ্ধ ছবি’র অন্তর্ভুক্ত বিধায় এটিও হারাম। 

সহিহ হাদিসে এসেছে,
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
كُلُّ مُصَوِّرٍ فِي النَّارِ يُجْعَلُ لَهُ بِكُلِّ صُورَةٍ صَوَّرَهَا نَفْسٌ فَيُعَذِِّبُهُ فِي جَهَنَّمَ
প্রত্যেক ছবিনির্মাতা জাহান্নামে যাবে, তার নির্মিত প্রতিটি ছবি পরিবর্তে একটি করে প্রাণ সৃষ্টি করা হবে, যা তাকে জাহান্নামে শাস্তি দিতে থাকবে। (বুখারী ২২২৫, ৫৯৬৩, মুসলিম ৫৬৬২)

হাদিস শরীফে এসেছে,
قال حدثنا الاعمش عن مسلم قال كنا مع مسروق فى دار يسار بن نمير فراى فى صفته تماثيل فقال سمعت عبد الله قال سمعت النبى ﷺ يقول ان اشد الناس عذابا عند الله المصورون

আ’মাশ তিনি  মুসলিম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি মাসরুকের  সঙ্গে ইয়াসার ইবনে নুমাইরের ঘরে ছিলাম, তিন ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ্  রাযি.-এর নিকট শুনেছি, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘নিশ্চয় মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তাআলা কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।’ (বুখারী ২/৮৮০)

আরো জানুনঃ

তবে কিছু কিছু বিশেষজ্ঞের মতে তা জায়েয। 
তাদের বক্তব্য হলো কম্পিউটার ও মোবাইল স্ক্রীনে থাকা প্রাণীর (অশ্লীল ও নারীর ছবি ছাড়া) ছবি প্রিন্ট করার আগ পর্যন্ত জায়েজ বলেছেন জামিয়া বিন্নুরিয়া পাকিস্তানের ফাতওয়া বিভাগ।

কম্পিউটার স্ক্রীনে বা মোবাইল স্ক্রীনে ছবি না রাখাটাও তাক্বওয়ার দাবী। 
 
আরো জানুনঃ 
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মোবাইলে ছবি তোলা (প্রিন্ট প্রিন্ট করার আগ পর্যন্ত)  কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে জায়েজ।
যদিও অনেকের মতে নাজায়েজ। 
,
তাই সতর্কতামূলক এহেন কাজ থেকে বেঁচে থাকাই উচিত।     

★তবে বোরকা পরিহিত অবস্থায় তোলা এই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করা জায়েজ হবেনা,অন্য কোনো গায়রে মাহরামের সামনে দেখানো জায়েজ হবেনা।

(০২)
অযু করার পর পোশাক পরিবর্তন করলে অজু  ভেঙ্গে যাবেনা।
এটি অযু ভেঙ্গে যাওয়ার কোনো কারন নয়।

(০৩)
ভিডিও আর ছবির ক্ষেত্রে বিধান কিছুটা ভিন্ন।

ছবির বিধান উপরে উল্লেখ রয়েছে।
আর ভিডিওর বিধান অনেক ইসলামিক স্কলারদের মতে, যেই বস্তু সামনা সামনি দেখা জায়েজ, ভিডিওতে তাহা দেখা জায়েজ।

(০৪)
তাদের বাসায় বেড়াতে যাওয়া জায়েজ,তবে তাদের খাবার খাওয়া জায়েজ হবেনা।
হাদীয়া নেয়া জায়েজ হবেনা।
,
আত্মীয়তা সম্পর্ক রক্ষার্থে তাদের বাসায় খাবার খেলে/হাদিয়া নিলে সেই পরিমান টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।       


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...