আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
86 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
উস্তাদ অাসসালামু অালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারাকাতুহ। উস্তাদ অামার মা এক লোকের নিকট অামাকে নিয়ে যায় উনি লতা পাতা দিয়ে বরি দেয়। অামি পূর্বেই বাসায় বলেছি অামি কোন তাবিজ দিবো না সেই শর্ত মেনেই নিয়ে গেছে অামাকে।ডাক্তার কোন সমস্যা পায় নি। তাই ভাবলাম এমন প্রাকৃতিক চিকিৎসা নিয়ে দেখি সবার চোখের বিষ হয়ে যাচ্ছি দিন দিন।
অাজ ঐ লোক কি কি বরি অার শীব ফল দেয় যাতে বেবি হওয়ার চিকিৎসা হিসেবে।তাবিজ দিছে একটা সাদা পাতলা কাগজে লাল লাল গোলাকারের ভিতর অারবি লিখা তো উনি বলল এগুলো ৭ টা কুরআনের অায়াত লিখা অামি বলছি অামি শরীরে কোন তাবিজ রাখবো না তো উনি বলল যে পানিতে ভিজিয়ে ৭ দিন পানি খেতে তাহলেই হবে অামি বললাম অাচ্ছা।
অার ৭ টা বরি দিছে ৭ দিন খেতে সকালে।
 হঠাৎ অামাকে বলল হাত টা দেখি অামি প্রথমে চুপ ছিলাম বলে বাম হাতটা বের করো বুড়া লোক একটু ধবক দিয়ে বলল হাতটা সামনে অানো অামি কিছু বলতে পারলাম না উস্তাদ অাল্লাহ জানে অামি এক তাকে ছাড়া কিছু বিশ্বাস করি না ঐ লোক বলল অামার ক্ষতি অাছে,, অামার মা বলল অামরা হাত দেখাই না এগুলো গুনা ততখনে ঐ লোকের দেখা হয়ে  গেছে ১মিনিট হবে না এটুক সময় পায়নি দেখার। তারপর ওনার বউ পেট টানলো,ওনার ওয়াইফ অামার পেট টানিয়ে দুটা তাবিজ লাল সুতা দিয়ে বাধা অার চুল বের করলো অামার অাম্মু র চোখের সামনে।তো অামি অার কিছু বলি নি,ওনার ওয়াইফ অামাকে পানি পড়ে গোসল দিলো।
সবি ঠিক ছিল কিন্তু অামার হাত উনি দেখছে বলে অামার কিছু ভালো লাগছে না পাপ করে ফেলেছি মনে হচ্ছে।
অামার মনে মনে অাল্লাহর নিকট  মাফ চাচ্ছি অামি হাতটা কেন সামনে বাড়ালাম অামি তো উনার নিকট হাত দেখাতে যাই নি অার উনি যা বলেছে তাও বিশ্বাস করি না কারন অাল্লাহ ছাড়া ভবিষ্যৎ তো জানে না কেউ।অামার কি ৪০ দিনের অামল নষ্ট হয়ে যাবে উস্তাদ??  অামার মনের হাজত তো অাল্লাহ জানে নিয়্যাত ও অাল্লাহ জানে।
উস্তাদ অামার ভয় হয় এমন কিছু করে না ফেলি যাতে অামার মালিক রাগ হয় অামি কি করবো উস্তাদ কি করবো?? অামাকে সাহায্য করুন উস্তাদ মেহেরবানি করে অাপনার পরামর্শ দিয়ে।
এখন নিজের উপর রাগ হচ্ছে কেন অামি ওনার মুখের ওপর না বলি নি।

1 Answer

0 votes
by (684,960 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


শরীয়তের বিধান হলো গণকের কাছে এসে তাকে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করা এবং তার কথায় বিশ্বাস করা। এটা মারাত্মক অপরাধ, এটি মহান আল্লাহর সাথে কুফুরী করার অন্তর্ভুক্ত। 

কারণ, সে ইলমে গায়েবের দাবীতে গণককে বিশ্বাস করেছে। মানুষ ইলমে গায়েব জানে বলে বিশ্বাস করলে আল্লাহর কথাকে অবিশ্বাস করা হবে। 

আল্লাহ তায়ালা বলেন,

﴿قُل لَّا يَعۡلَمُ مَن فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ ٱلۡغَيۡبَ إِلَّا ٱللَّهُۚ﴾ [النمل: ٦٥]

“বলুন, আকাশ এবং জমিনে আল্লাহ ছাড়া গায়েবের সংবাদ অন্য কেউ জানে না।” [সূরা আন-নামল, আয়াত: ৬৫]

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْعَنَزِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، - يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ - عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ صَفِيَّةَ، عَنْ بَعْضِ، أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ أَتَى عَرَّافًا فَسَأَلَهُ عَنْ شَىْءٍ لَمْ تُقْبَلْ لَهُ صَلاَةٌ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً " .

মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না আনায়ী (রহঃ) ..... নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কতক স্ত্রীর সানাদে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে লোক গণকের নিকট গেল এবং তাকে কোন ব্যাপারে প্রশ্ন করল, চল্লিশ রাত্রি তার কোন সলাত (সালাত/নামাজ/নামায) গ্রহণযোগ্য হবে না। (মুসলিম শরীফ ৫৭১৪.ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৬২৭, ইসলামিক সেন্টার ৫৬৫৬)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি তো ইচ্ছাকৃতভাবে হাত দেখাননি, আর গণক যাহা বলেছে,সেটি তো বিশ্বাস করেননি,সুতরাং আপনার ৪০ দিনের আমল নষ্ট হয়ে যাবেনা।

তবে আপনি আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে নিবেন।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জ্বি ইনশাআল্লাহ উস্তাদ। জাযাকাল্লাহ খইরন উস্তাদ 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...