আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আমি শুনেছি ফজরের সময় নাকি রিজিক বন্টিত হয়। তাই তখন ঘুমানো ঠিক না। আমি সাধারণত ফজর নামাজ পড়ে শুয়ে পড়ি। আমার প্রশ্ন হল রিজিক তো আগে থেকেই লিখা আছে তাহলে ফজরের রিজিক বন্টনের বিষয়টা বুঝতে পারছি না। আর ছোট বাচ্চা থাকার কারনে অনেক সময় রাত হয়ে যায় ঘুমাতে। তখন ফজরে নামাজ পড়ে সজাগ থাকা একটু কষ্ট হয়ে যায়। ফজরের সময় যে সজাগ থাকার কথা বলা হয় সেটা কি ফজরের আজান থেকে নিয়ে সুর্যোদয় পর্যন্ত সজাগ থাকা বুঝায়?

1 Answer

0 votes
by (686,640 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


সালফে সালেহীন গন ফজরের পর ঘুমানোকে মাকরুহ মনে করেতেন। 
সুন্নাহ হচ্ছে ফজরের পর না ঘুমানো।
,

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، حَدَّثَنَا يَعْلَى بْنُ عَطَاءٍ، حَدَّثَنَا عُمَارَةُ بْنُ حَدِيدٍ، عَنْ صَخْرٍ الْغَامِدِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: اللَّهُمَّ بَارِكْ لِأُمَّتِي فِي بُكُورِهَا. وَكَانَ إِذَا بَعَثَ سَرِيَّةً أَوْ جَيْشًا بَعَثَهُمْ مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ وَكَانَ صَخْرٌ رَجُلًا تَاجِرًا، وَكَانَ يَبْعَثُ تِجَارَتَهُ مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ فَأَثْرَى وَكَثُرَ مَالُهُ

সাখর আল-গামিদী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ‘‘হে আল্লাহ! আপনি আমার উম্মতকে ভোরের বরকত দান করুন।’’ তিনি কোনো ক্ষুদ্র বা বিশাল বাহিনীকে কোথাও প্রেরণ করলে দিনের প্রথমভাগেই পাঠাতেন। বর্ণনাকারী সাখর (রাঃ) একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি তার পণ্যদ্রব্য দিনের প্রথমভাগে (ভোরে) পাঠাতেন, ফলে তিনি সম্পদশালী হয়েছিলেন এবং এভাবে তিনি অনেক সম্পদের অধিকারী হয়েছিলেন।
(আবু দাউদ ২৬০৬)

উরওয়া ইবনু যুবাইর (রহ.) বলেন, যুবাইর (রা.) তাঁর সন্তানদেরকে ভোরবেলা ঘুমানোর ব্যাপারে নিষেধ করতেন। উরওয়া (রহ.) বলেন,
إِنِّي لَأَسْمَعُ بِالرَّجُلِ يَتَصَبَّحُ فَأَزْهَدُ فِيهِ

‘আমি যখন কারো সম্পর্কে শুনি, সে ভোরবেলা ঘুমায় তখন তার প্রতি আমি আগ্রহ হারিয়ে ফেলি।’ [মুসান্নাফ ইবনু আবি শাইবা, ৫/২২২]


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
ফজরের পর রিজিক বন্টন হয়,এমন কোনো রেওয়ায়েত নির্ভরযোগ্য কোনো হাদীস গ্রন্থে পাইনি।

তবে একটি রেওয়ায়েত এসেছেঃ
আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা.) তাঁর এক সন্তানকে ভোরবেলা ঘুমাতে দেখে বলেছিলেন,
أتنام في الساعة التي تُقسَّم فيها الأرزاق؟

‘ওঠো, তুমি কি এমন সময়ে ঘুমিয়ে আছ, যখন রিজিক বণ্টন করা হচ্ছে?’ [যাদুল মাআ’দ : ৪/২৪১]

উক্ত রেওয়ায়াতটি নির্ভরযোগ্য কোনো হাদীস গ্রন্থে পাইনি।

★আপনি যদি ফজরের পর ঘুমিয়ে যান,তাহলে এতে কোনো গুনাহ হবেনা।

★তবে পরামর্শ থাকবে যে আপনি ফজরের নামাজ পড়ে না ঘুমিয়ে সূর্য উদয় পর্যন্ত এই সামান্য সময় যিকির আযকার ইত্যাদিতে লিপ্ত থাকার চেষ্টা করবেন।
সুযোগ পেলে ইশরাক পরে ঘুমাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 79 views
0 votes
1 answer 169 views
...