আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
125 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (24 points)
আমার বাবা একজন ব্যবসায়ী।  তিনি বিদেশ থেকে পন্য আমদানি করে দেশে সমুদ্র বন্দর থেকে তা ছাড়ানের জন্য টাকা প্রদান করে থাকেন।  পরে পন্যগুল বিক্রয় করেন। তার এই ব্যবসা থেকে উপাজ্রিত টাকা খাওয়া আমার জন্য হালাল হবে কি? না হলে করনীয় কি?....................................,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,.......................................................................…..............................।...................................... ।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।৷।।।।।।।।।।।।।

1 Answer

0 votes
by (677,640 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم  

,
মুসলিম সরকার জনগনের উপকারার্থে যে আইন করে, তা শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে হারাম না হলে তা মানা সে দেশের নাগরিকের জন্য আবশ্যক।

সেই হিসেবে মোবাইল,পণ্য আমদানীর উপর সরকারী ট্যাক্স প্রদান করাই উচিত। তা ফাঁকি দেয়া বা ঘুষ দিয়ে আমদানী ঠিক নয়।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

 عَنْ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «السَّمْعُ وَالطَّاعَةُ عَلَى المَرْءِ المُسْلِمِ فِيمَا أَحَبَّ وَكَرِهَ، مَا لَمْ يُؤْمَرْ بِمَعْصِيَةٍ، فَإِذَا أُمِرَ بِمَعْصِيَةٍ فَلاَ سَمْعَ وَلاَ طَاعَةَ»

হযরত আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মুসলিম আমীরের কথা পছন্দ হোক বা না হোক তার কথা শোনা ও মানা উচিত যতক্ষণ না সে গোনাহের আদেশ করে। যদি সে গোনাহের আদেশ করে, তাহলে তার কথা শোনা ও মানা যাবে না। [বুখারী, হাদীস নং-৭১৪৪] 

ট্যাক্স সম্পর্কে চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ "আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় " (৩৫/১৪)  এভাবে বর্ণিত রয়েছে যে,

ذَهَبَ الْفُقَهَاءُ إِلَى أَنَّ لِلإِْمَامِ فَرْض َضَرَائِبَ عَلَى الْقَادِرِينَ لِوُجُوهِ الْمَصَالِحِ الْعَامَّةِ وَلِسَدِّ حَاجَاتِ الْمُسْلِمِينَ
قَال القرطبي: اتَّفَقَ الْعُلَمَاءُ عَلَى أَنَّهُ إِذَا نَزَلَتْ بِالْمُسْلِمِينَ حَاجَةٌ بَعْدَ أَدَاءِ الزَّكَاةِ فَإِنَّهُ يَجِبُ صَرْفُ الْمَال إِلَيْهَا
 (١) .(١) القرطبي ٢ / ٢٤٢، وابن عابدين ٢ / ٥٧.
الموسوعة الفقهية الكويتية ٣٥/١٤

ভাবার্থঃ মহামান্য ফুকাহায়ে কেরাম মনে করেন যে,
সরকার জনসাধারণের সেবা ও বিভিন্ন প্রয়োজন মিটাতে উপার্জন সক্ষম নাগরিকদের উপর ট্যাক্স অত্যাবশ্যকীয় করতে পারবে,বৈধ রয়েছে।
ইমাম কুরতুবী রাহ উদ্ধৃতিতে বলা হয় যে, তিনি বলেন,সম্পদশালী নাগরিকগণ যাকাত প্রদাণের পরও মুসলিম জনসাধারণের আর্থিক ঘাটতি দেখা দিলে  সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ট্যাক্স প্রদান করা তাদের উপর ওয়াজিব।(তাফসীরে কুরতুবী-২/২৪২
রদ্দুল মুহতার-ইবনে আবেদিন;২/৫৭)

কিন্তু এ কারণে ব্যবসাকৃত টাকাকে হারাম বলা যাবে না।
যদিও আমদানী করার পদ্ধতিটা শরয়ী সাপোর্ট যোগ্য নয়। কিন্তু এ কারণে পণ্য বিক্রির টাকাকে হারাম বলা যাবে না।

এভাবে কর ও ট্যাক্স ফাকি দিয়ে পণ্য আমদানী করা থেকে বিরত থাকাই কর্তব্য। 

বিস্তারিত জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার বাবার আমদানী করার পদ্ধতিটা শরয়ী সাপোর্ট যোগ্য নয়। কিন্তু এ কারণে পণ্য বিক্রির টাকাকে হারাম বলা যাবে না।
তাই এই ব্যবসা থেকে উপার্জিত টাকা আপনার জন্য হালাল হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...