ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বিতির নামায সম্পর্কে পাকিস্তানের বিশিষ্ট গবেষক আলেম মাওলানা মুহাম্মাদ ইউসুফ লুধিয়ানভী রাহ.
'হাদীস ও আছারের আলোকে বিতর নামায'
শীর্ষক একটি ফেকহী মাক্বালা লিখেছেন।তাই এ বিষয়ে নতুন করে লিখার কোনো প্রয়োজন নাই। নিম্নে উনার মাক্বালাকে উপস্থাপন করছি-
প্রশ্ন : বিতরের নামাযে দুই রাকাতের পর আত্তাহিয়্যাতুর জন্য বসা এবং তৃতীয় রাকাতে ফাতিহা-কিরাতের পর আল্লাহু আকবার বলে দুই হাত কান পর্যন্ত ওঠানো অতঃপর হাত বেঁধে কুনূত পাঠ করা কি দলীল দ্বারা প্রমাণিত?
অথচ হযরত আয়েশা রা.-এর বিশুদ্ধ বিবরণে আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তিন রাকাত, পাঁচ রাকাত বা সাত রাকাত বিত্র পড়তেন তখন দুই রাকাতের পর আত্তাহিয়্যাতুর জন্য বসতেন না। তদ্রূপ বিতর নামায এক রাকাত পড়াও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।
আশা করি বিষয়টি পরিষ্কার করবেন। পাশাপাশি আরো জানতে চাই যে, কুনূত পাঠের সময় দুই হাত দোয়ার মতো ওঠাবে, না নামাযের মতো হাত বেঁধে রাখবে?
হাদীস শরীফের আলোকে সমাধান প্রদান করে কৃতজ্ঞ করবেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/859
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মাযহাবের উপর ভিত্তি করে নয়। বরং হাদীসের উপর ভিত্তি করে আপনি জানতে চাচ্ছেন। মূলত মাযহাব কুরআন হাদীসের উপর ভিত্তি করেই রচিত।মাযহাবের কিতাবে হাদীসের ভিত্তিতে সবিস্তারে বর্ণিত রয়েছে। যেহেতু জনসাধারণ সবগুলো বুঝবে না, তাই আমরা মাযহাবের ভিত্তিতেই প্রয়োজনীয় হাদীস উল্লেখ পূর্বক মাস'আলা বলে থাকি।আপনি উপরে লিংকে ক্লিক করে পড়ে নিবেন।
সহজ কথা আপনাকে বলবো, উত্তম হল, এক সালামে তিন রাকাত।এবং তৃতীয় রাকাতে তাকবীর দিয়ে দু'আয়ে কুনুত পড়া। আশা রাখি না বুঝলে কমেন্ট করবেন।