আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
76 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (34 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ

একজন বোন একজনকে টাকা ধার দিয়েছে ২২ হাজার টাকা।এখন অই বোন এর অই টাকাটা অনেক দরকার কিন্তু যাকে দিয়েছে সে ঘুরাচ্ছে।মনে হচ্ছে সে টাকা টা আর দিবে না।

যিনি টাকা ধার দিয়েছে আর যিনি নিয়েছে তারা ছাড়া আর কেউ জানে না।অই বোন এই টাকা টা ২ বছর আগে তাকে দিয়েছে আর বলেছিল আমি কাউকে বলবো না আপনার আর আমার মধ্যেই থাকবে।আমার যখন লাগবে তখন দিলেই হবে।

এখন অই বোন যাকে টাকা টা দিয়েছে তার পরিবারকেও জানাতে পারছে না।যে টাকা নিয়েছে তাকে বলছে আমি আপনার পরিবারকে জানাবো সে অই বোনকে বলছে আমার পরিবারকে জানালে তারা আপনাকে কোনদিন টাকা দিবে না।আমি দিব এইটা চান্স আছে কিন্তু তারা দিবে না।এইখানে আপনার অই লস।আমার ও প্রবলেম।

এখন তাই অই বোন যাকে ধার দিয়েছে তার পরিবারকে জানাতে পারছে না।

এখন অই বোন কি তার পরিবারকে জানাবে? এতে কি তার কথা দেওয়া খিলাফ হবে?

১এখন এই টাকা টা পাওয়ার জন্য কোন আমল করতে পারে কি?

যাতে যাকে টাকা দিয়েছে সে দিয়ে দিবে।

২ এই টাকা টা এখন সদকা হিসেবে নিয়ত করলে কি সদকা হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (678,080 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
যদি কেউ ঋণ গ্রহণ করার পর তা দিতে অপারগ হয় বা কষ্টে পতিত হয়, সে সময় ঋণদাতার করণীয়ও আল্লাহ ঘোষণা করেছেন,
‘আর ঋণগ্রস্থ ব্যক্তি যদি অভাবী হয়, তাহলে তাকে স্বচ্ছল হওয়া পর্যন্ত অবকাশ দাও। আর যদি ঋণ মাফ করে দাও, তাহলে সেটা তোমাদের জন্য আরও উত্তম, যদি তোমরা তা জানতে।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ২৮০)


প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষকে তাদের ঋণ পরিশোধের ব্যাপারে অনেক সতর্ক করেছেন।

ঋণ পরিশোধের গুরুত্ব সম্পর্কে অনেক হাদীস রয়েছেঃ-

وَعَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَطْلُ الْغَنِيِّ ظُلْمٌ فَإِذَا أُتْبِعَ أحدكُم على مَلِيء فَليتبعْ»

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সক্ষম ব্যক্তির জন্য (অন্যের দেনা পরিশোধে) গড়িমসি করা জুলুম। ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি দেনা পরিশোধের জন্য কোনো সক্ষম ব্যক্তির ওপর দায়িত্ব অর্পণ করলে তা গৃহীত করা কর্তব্য। 
(সহীহ : বুখারী ২২৮৭, মুসলিম ১৫৬৪, আবূ দাঊদ ৩৩৪৫, নাসায়ী ৪৬৯১, তিরমিযী ১৩০৮, ইবনু মাজাহ ২৪০৪, আহমাদ ৮৯৩৮, সহীহ আত্ তারগীব ১৮১৪।)

হযরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন ‘কোনো ব্যক্তি ঋণ রেখে মারা গেলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওই ব্যক্তির জানাযা পড়াতেন না বরং অন্যকে পড়াতে নির্দেশ দিতেন। (দারাকুতনি, তারগিব-তারহিব)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঋন গ্রহিতা যদি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও ঋন আদায় না করে গড়িমসি করে,তাহলে তো এটি স্পষ্ট জুলুম।
এক্ষেত্রে নিজের হক আদায়ের লক্ষ্যে ঋন গ্রহনের বিষয় তার পরিবার,নিজের পরিবার সকলকে জানানো যাবে।

প্রয়োজনে আইনের সহায়তা নেয়া যেতে পারে 

আর যদি ঋন গ্রহিতার ঋন পরিশোধের কোনোভাবেই সামর্থ্য না থাকে,সেক্ষেত্রে তাকে আরো সময় দেয়া যেতে পারে।

(০২)
উক্ত টাকায় যদি সদকা হিসেবে নিয়ত করলে দেখতে হবে যে এটি কোন সদকাহ?

যদি নফল সদকাহ এর নিয়ত করা হয়,তাহলে তাহা করা যাবে।

কিন্তু যদি যাকাতের নিয়ত করা হয়,সেক্ষেত্রে সে যাকাত গ্রহনের হকদার হলেও এখন এমন নিয়ত করার সুযোগ নেই।

কেননা যাকাতের ক্ষেত্রে আদায়ের সময় যাকাতের নিয়ত থাকা আবশ্যক। 
,
وشرط صحة أدائھا نیة مقارنة لہ أي: للأداء ولو کانت المقارنة حکماً کما لو دفع بلا نیة ثم نوی والمال قائم في ید الفقیر الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الزکاة، ۳: ۱۸۷، ط: مکتبة زکریا دیوبند)، قولہ: ”والمال قائم في ید الفقیر“: بخلاف ما إذا نوی بعد ھلاکہ، بحر۔ وظاھرہ أن المراد بقیامہ في ید الفقیر بقاوٴہ في ملکہ لا الید الحقیقیة وأن النیة تجزیہ مادام في ملک الفقیر ولو بعد أیام (رد المحتار)

সারমর্মঃ যাকাত আদায়ের জন্য শর্ত হলো আদায়ের সময় তার নিয়ত করা।
হ্যাঁ যদি যাকাত আদায়ের সময় নিয়ত না করে থাকে,তবে যাকাত গ্রহিতার কাছে সম্পদ থাকাকালীন সময়ের মধ্যেই যদি যাকাত দাতা নিয়ত করে,তাহলে যাকাত আদায় হয়ে যাবে।

الفتاوى الهندية (1/ 171):
'' ومن أعطى مسكيناً دراهم وسماها هبةً أو قرضاً ونوى الزكاة فإنها تجزيه، وهو الأصح، هكذا في البحر الرائق ناقلاً عن المبتغى والقنية''
সারমর্মঃ
কেহ যদি মিসকিনকে  হেবা বা করজের নামে সদকাহ করে,আর তাতে যাকাতের নিয়ত করে,তাহলে তাহা যথেষ্ট হবে।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...